অক্টোবর উইন্ডোতে হংকংয়ের বিপক্ষে দুই ম্যাচের প্রস্তুতি শুরুর আগে বাংলাদেশের সামনে টিকে ছিল এএফসি এশিয়ান কাপে কোয়ালিফাই করার সম্ভাবনা। ঘরের মাঠে হেরে আর প্রতিপক্ষের মাঠে ড্র করায় শেষ হয়ে যায় সম্ভাবনা। বাংলাদেশের যে ম্যাচ দুটি বাকি আছে, তা কেবলই আনুষ্ঠানিকতা। তবে এই আনুষ্ঠানিকতার দুই ম্যাচের মধ্যে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটির রয়েছে অন্যরকম আবেদন। দুই দেশের জন্যই ম্যাচটি মর্যাদার।
আগামী ১৮ নভেম্বর ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে হবে বাংলাদেশ ও ভারতের ম্যাচ। তার আগে হামজা চৌধুরীরা প্রীতি ম্যাচ খেলবে নেপালের বিপক্ষে ১৩ নভেম্বর। এই দুই ম্যাচ সামনে রেখে বাংলাদেশের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে শুক্রবার। অনুশীলনে নামার আগে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন ডিফেন্ডার রহমত মিয়া। গত মার্চে হামজা চৌধুরীর আগমন, ভারতের বিপক্ষে ড্রয়ের পর সবার প্রত্যাশা ছিল এবার বাংলাদেশ শেষ ম্যাচ পর্যন্ত ফাইট দেবে এশিয়ান কাপে কোয়ালিফাই করার জন্য। তবে বাস্তবে হয়েছে উল্টো- দুই ম্যাচ হাতে রেখেই বিদায় নিশ্চিত হয়েছে হামজা-শামিতদের নিয়ে গড়া দলটি।
এ বিদায়ে মনোকষ্ট আছে ফুটবলভক্তদের। ডিফেন্ডার রহমত মিয়াও বলেছেন, কষ্ট তাদেরও আছে। ‘এখন শেষ দুই ম্যাচ জিতলেও লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবো না। এখানে একটা কষ্ট তো থাকবে। এবার এশিয়ান কাপে আমাদের টিম ভালো করছে। সামনে আরও ভালো করার সম্ভাবনা আছে। তো এইবার যে আমরা কোয়ালিফাই করতে পারিনি তা নিয়ে সব প্লেয়ারের মধ্যে সেই কষ্টটা আছে। পরবর্তীতে ইনশাআল্লাহ সবাই আরও ভালো করার চেষ্টা করবে। যে ম্যাচ চলে গেছে তা নিয়ে ভেবে লাভ নেই। সামনে যে ম্যাচগুলো আসছে সেটা নিয়ে ফোকাস করা উচিত’ - বলেছেন অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার রহমত মিয়া।
ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে সবাই উজ্জীবিত আছেন উল্লেখ করে রহমত মিয়া বলেছেন, ‘ভারতের সঙ্গে খেলা হলে সবাই অনেক রোমাঞ্চিত থাকে। তো আগের মতো এবারও সবাই রোমাঞ্চিত। আমাদের সবার ফোকাস প্রস্তুতিতে। শুরু হলো, সবাই আসলে একসঙ্গে ভালো প্রস্তুতি নিতে পারবো ইনশাআল্লাহ।’ কোচ ক্যাবরেরা কবে আসবেন সে প্রসঙ্গে রহমত বলেছেন, ‘আর কোচের ব্যাপারে জানি না সে কবে আসবে, এটা অফিশিয়াল বিষয়।’
ঘরেফিরে সেই নেপালের বিপক্ষেই প্রস্তুতি ম্যাচ। এ প্রসঙ্গে রহমত বলেছেন, ‘প্রত্যেকটা ম্যাচের আগে একটা প্রস্তুতি ম্যাচ অনেক গুরুত্বপূর্ণ। যদি শক্ত টিম হয় অবশ্যই আমাদের জন্য ভালো। কিন্তু শক্ত প্রতিপক্ষ না পাওয়া গেলে অন্তত সমমানের একটা টিম থাকলেও হয়। প্রস্তুতি তো প্রস্তুতিই।’
পেশাদার ফুটবলারদের অনেককে স্থানীয় পর্যায়ে টুর্নামেন্ট খেলতে দেখা যায়- এমন অভিযোগ আছে। সিনিয়র খেলোয়াড় হিসেবে এটাকে কিভাবে দেখেন রহমত। সেখানে অনপুযুক্ত মাঠে খেলোয়াড়দের চোট পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। রহমত বলেছেন, ‘প্রথমত লোকাল টুর্নামেন্টগুলা খেলতে গিয়ে কেউ ইনজুরিতে পড়েছেন কিনা আমার জানা নেই। দ্বিতীয়ত আসলে যখন আমরা এলাকাতে থাকি, তখন এলাকার যারা গণ্যমান্য ব্যক্তি আছেন তারা চান যে, ন্যাশনাল টিমের প্লেয়াররা বাড়িতে আসছেন তারা যেন আমাদের মাঠে খেলেন। তো আমার মনে হয় যে সামাজিক এবং রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করেই প্লেয়ারদের আসলে বাধ্য হতে হয় নিজের মাঠে খেলতে।’
সব সময়ই দেখা যায় অনুশীলন শুরু হয় এলোমেলোভাব। কয়েকদিন পূর্নাঙ্গ দলই পাওয়া যায় না। এ প্রসঙ্গে রহমত মিয়া বলেছেন, ‘এটা আসলে একেকটা উইন্ডোতে একেক রকম পরিস্থিতি তৈরি হয়। যেমন বসুন্ধরা এখন খেলতেছে এফসি চ্যালেঞ্জ লিগ। কিন্তু আমাদের অন্য খেলোয়াড়রা যারা অন্য ক্লাবে খেলে তাদের কোন খেলা নেই আপাতত। এটা ভালো না যে, এক টিম খেলতেছে এবং আরেক টিমের সব প্লেয়ার বসে আছেন। ১৪ জন আসছেন। আবার ১১ জন আসবেন।’
ক্যাম্পের বাকি খেলোয়াড় কারা আছেন সে প্রসঙ্গে রহমত বলেছেন, ‘আমি আসলে প্লেয়ার লিস্ট সম্পর্কে জানি না। কোচ সেটা ভালো জানেন কারা আসবেন। আমাদের হামজা ও শমিত পরে জয়েন করবেন। তাছাড়া বসুন্ধরা থেকে কারা কারা জয়েন করবে সেটা কোচিং স্টাফের জানার বিষয়। আমরা প্লেয়াররা কিভাবে জানতে পারি।’
আইএইচএস/

16 hours ago
6









English (US) ·