কাশ্মীরে হামলার পর পাকিস্তান-ভারত সীমান্তে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হলেও সাধারণ পাকিস্তানিরা এই সময়ে যুদ্ধ চায় না। তারা মনে করছেন, দেশের ভঙ্গুর অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অবস্থার মধ্যে আরেকটি যুদ্ধ দেশের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ‘টাইমস অব পাকিস্তান’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইসলামাবাদের এক শিক্ষার্থী বলেন, নেতারা শুধু শক্তি দেখাতে চান। অথচ আমরা অনেক সমস্যার মধ্যে আছি। এখন আমাদের দরকার শান্তি, নতুন কোনো বিপদ নয়।
তিনি আরও বলেন, গত কয়েক বছরে দেশে মুদ্রাস্ফীতি এত বেড়েছে- নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কেনাও কষ্টকর হয়ে উঠেছে। রাজনীতিবিদদের কার্যকারিতা নিয়েও তিনি হতাশা প্রকাশ করেন।
দেশটিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যুদ্ধ নিয়ে নানা মিম ছড়াচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি সাধারণ মানুষের মানসিক চাপ সামলানোর একটি উপায়।
যদিও রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে সেনাবাহিনীর প্রতি মানুষের ক্ষোভ রয়েছে, কিন্তু যুদ্ধ পরিস্থিতিতে সেই সেনাবাহিনীর পক্ষেই আবার সমর্থন দেখা যাচ্ছে।
এদিকে ভারতের সঙ্গে উত্তেজনার পাশাপাশি আফগান সীমান্তেও পাকিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতি অস্থির হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি আফগান সীমান্তে সেনাবাহিনী ৫৪ জন সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলাও বেড়েছে।
পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মোহাম্মদ আওরঙ্গজেব জানিয়েছেন, ভারতের সঙ্গে উত্তেজনার কারণে দেশের অর্থনীতিতে নতুন ধাক্কা লাগছে, যা ঘুরে দাঁড়ানোর পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে।
উত্তেজনার প্রভাব পড়েছে পর্যটন খাতেও। একসময় জমজমাট নীলম উপত্যকার কেরান শহর এখন পর্যটকশূন্য। স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে নিষেধাজ্ঞা না থাকলেও নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কার কারণে কেউ আর আসছেন না।

5 months ago
39









English (US) ·