• ধানের শীষের মনোনয়ন পেতে মাঠে বিএনপির দুই নেতা
• ভোটের মাঠে সক্রিয় জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপিও
• মূল লড়াই হবে বিএনপি-জামায়াতের প্রার্থীর মধ্যে
• উন্নয়নে যিনি কাজ করবেন তাকেই ভোট দেবেন ভোটাররা
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিভিন্ন দলের সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে তোড়জোড় শুরু হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ঢাকা-৪ আসনেও (শ্যামপুর-কদমতলী) বিরাজ করছে নির্বাচনি আমেজ। ভোটারদের নিজের দিকে টানতে জোর প্রচারণা শুরু করেছেন প্রার্থীরা। সম্ভাব্য প্রার্থীদের ছবি সংবলিত ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টারে ছেয়ে গেছে নির্বাচনি এলাকার অলিগলি।
এদিকে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দিয়ে কাকে জনপ্রতিনিধির চেয়ারে বসাবেন সে বিষয়ে হিসাব-নিকাশ কষছেন ভোটাররাও। এক্ষেত্রে স্থানীয়দের সঙ্গে প্রার্থীদের সম্পর্ক, নাগরিক ভোগান্তি নিরসনে নেওয়া পদক্ষেপ ও বিগত দিনে দলের জন্য যারা ত্যাগ স্বীকার করেছেন তারাই ভোটযুদ্ধে এগিয়ে থাকবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী আ. ন. ম. সাইফুল ইসলামের প্রচারণা/ছবি: জাগো নিউজ
এই আসনে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) বেশ কিছু সম্ভাব্য প্রার্থী প্রচারণা চালাচ্ছেন। তবে বিএনপি ও জামায়াতের প্রার্থীর মধ্যেই মূল লড়াই হবে বলে মনে করছেন ভোটাররা।
বিএনপির ভেতর নীরব লড়াই
ঢাকা-৪ আসনে বিএনপির মনোনয়ন দৌড়ে রয়েছেন মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আ. ন. ম. সাইফুল ইসলাম ও সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন। এর মধ্যে রবিন ঢাকা-৪ আসনে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক সালাউদ্দিন আহমেদের ছেলে। শেষ পর্যন্ত দলীয় মনোনয়ন নিশ্চিত করতে দুজনই জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এই দুই নেতার নীরব প্রতিদ্বন্দ্বিতা এখন সবার কাছেই স্পষ্ট।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দিয়ে কাকে জনপ্রতিনিধির চেয়ারে বসাবেন সে বিষয়ে হিসাব-নিকাশ কষছেন ভোটাররাও। এক্ষেত্রে স্থানীয়দের সঙ্গে প্রার্থীদের সম্পর্ক, নাগরিক ভোগান্তি নিরসনে নেওয়া পদক্ষেপ ও বিগত দিনে দলের জন্য যারা ত্যাগ স্বীকার করেছেন তারাই ভোটযুদ্ধে এগিয়ে থাকবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রবিনের অনুসারীরা বলছেন, পারিবারিক ঐতিহ্য ও সংগঠনের দায়িত্বশীল পদে থাকার কারণে বিএনপির মনোনয়ন দৌড়ে তিনি এগিয়ে।

বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী তানভীর আহমেদ রবিনের পোস্টার/ছবি: জাগো নিউজ
অন্যদিকে সাইফুল ইসলামের কর্মীরা দাবি করছেন, আন্দোলন-সংগ্রামে মাঠে থাকা নেতা হিসেবে স্থানীয় নেতাকর্মীদের কাছে তার জনপ্রিয়তা অন্য যে কারও চেয়ে বেশি।
কথা হলে আ. ন. ম. সাইফুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘গরিব দেশ, সমস্যা অসংখ্য। শিক্ষা, সমাজ, রাজনীতি—সব জায়গায় একনায়কতন্ত্রের ছায়া। মানুষকে মুক্ত করতে হবে, দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়তে হবে। মনোনয়ন পাই বা না পাই, মানবসম্পদ তৈরির কাজ থেকে পিছপা হবো না।’
সাইফুল ইসলাম আরও বলেন, তরুণরাই এবার ভোটের ফ্যাক্টর। শেখ হাসিনার পতনে ভূমিকা রাখা এই প্রজন্মই ঠিক করবে জাতি কোন পথে যাবে।

জামায়াত মনোনীত প্রার্থী সৈয়দ জয়নুল আবেদীনের প্রচারণায় টানানো পোস্টার/ছবি: জাগো নিউজ
তানভীর আহমেদ রবিনের মন্তব্য জানতে গত এক সপ্তাহে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও সাড়া পাওয়া যায়নি।
মাঠে সক্রিয় জামায়াত-এনসিপিও
বিএনপির পাশাপাশি ভোটের মাঠে সক্রিয় জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপিও। আসনটিতে জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য ও দলটির মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন এবং এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের প্রধান সমন্বয়কারী মো. নিজাম উদ্দিন প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
‘গরিব দেশ, সমস্যা অসংখ্য। শিক্ষা, সমাজ, রাজনীতি—সব জায়গায় একনায়কতন্ত্রের ছায়া। মানুষকে মুক্ত করতে হবে, দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়তে হবে। মনোনয়ন পাই বা না পাই, মানবসম্পদ তৈরির কাজ থেকে পিছপা হবো না।’ —আ. ন. ম. সাইফুল ইসলাম, বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী
সৈয়দ জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত নিরাপদ সমাজ গড়াই আমাদের প্রথম অঙ্গীকার। ঢাকা-৪ হবে পরিচ্ছন্ন ও নিরাপদ নগর।’
জানতে চাইলে নিজাম উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, ‘ঢাকা-৪ ও নোয়াখালীর একটি আসনে প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে। ঢাকা-৪ আসনের বড় সমস্যা চাঁদাবাজি ও মশার উপদ্রব। নির্বাচিত হলে এই দুই সমস্যার সমাধানই হবে আমার অগ্রাধিকার।’

কাদাপানিতে বেহাল চেয়ারম্যানবাড়ী সংলগ্ন এলাকার একটি সড়ক/ছবি: জাগো নিউজ
নিজাম উদ্দিন মনে করেন, মানুষের মধ্যে ধারণা তৈরি হয়েছে—আওয়ামী লীগ যেমন চাঁদাবাজি করেছে, বিএনপিও তেমন করবে। এ ধারণাটিই ভোটে প্রভাব ফেলতে পারে।
আরও পড়ুন
ঢাকা-৯/বিএনপি-জামায়াত-এনসিপিতে হেভিওয়েট প্রার্থী, লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি
ঢাকা-২ আসন/ বিএনপিতে পিতা-পুত্র, জামায়াত-এনসিপিতে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী
ঢাকা-৫ আসন/ বিএনপিতে সালাহউদ্দিন-নবী-নয়ন, জুলাই স্পিরিট নিয়ে মাঠে জামায়াত
ঢাকা-৭ আসন/বিএনপির মনোনয়ন চান হাফ ডজন নেতা, নির্ভার জামায়াত-ইসলামী আন্দোলন
ঢাকা-৮ আসন/মির্জা আব্বাস-ড. হেলালের লড়াইয়ের আভাস, আলোচনায় ওসমান হাদী
ঢাকা-১৩ আসন/ববি হাজ্জাজে ছন্দপতন বিএনপিতে, মোবারকে ফুরফুরে জামায়াত
ধানের শীষ-দাঁড়িপাল্লা-লাঙ্গল যেভাবে প্রতীক হয়ে উঠলো
মূল লড়াই হবে বিএনপি-জামায়াতের মধ্যে
স্থানীয় একাধিক ভোটার মনে করছেন, শেষ পর্যন্ত বিএনপির মনোনয়ন যেই পাক না কেন ভোটের মাঠে তাকে মূল যুদ্ধটা করতে হবে জামায়াত মনোনীত প্রার্থীর সঙ্গেই। এবারের নির্বাচনে ধানের শীষ ও দাঁড়িপাল্লার মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে মনে করেন ভোটাররা।
মাঠের রাজনীতি ও ভোটারদের মনোভাব
৫২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি রবিউল ইসলাম দিপু জাগো নিউজকে বলেন, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্যসচিব তানভীর আহমেদ রবিনের পক্ষেই তৃণমূল ঐক্যবদ্ধ। এখানে অন্য কোনো প্রার্থী এলে ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে।
তবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক রাজু আহমেদ বলেন, ধানের শীষের ঘাঁটি ঢাকা-৪। কিন্তু বিতর্কিত বা ‘বাইরের’ মুখ এলে ভোটাররা মুখ ফিরিয়ে নেবে। আন্দোলনের সময় হামলা-মামলায় আ. ন. ম. সাইফুলই আমাদের পাশে ছিলেন।
‘মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত নিরাপদ সমাজ গড়াই আমাদের প্রথম অঙ্গীকার। ঢাকা-৪ হবে পরিচ্ছন্ন ও নিরাপদ নগর।’ —সৈয়দ জয়নুল আবেদীন, জামায়াত মনোনীত প্রার্থী
৫৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল আজিজ মুন্সী স্বপন বলেন, ‘এখানে বিএনপির দুজন আর জামায়াতের একজন প্রার্থী প্রচারণা চালাচ্ছেন। প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে।’

বেহাল সড়কে ভোগান্তি নিয়ে চলাচল করতে হয় স্থানীয়দের/ছবি: জাগো নিউজ
তবে তিনি মনে করেন, এই আসনটিতে নাগরিক দুর্ভোগই এখন মূল ইস্যু। নাগরিক সমস্যা সমাধানে যিনি ভূমিকা রাখতে পারবেন তিনিই ভোটারদের মন জয় করতে পারবেন। বিতর্কিত কাউকে প্রার্থী করলে জনগণ মুখ ফিরিয়ে নেবে।
নির্বাচনি এলাকা ও ভোটার সংখ্যা
ঢাকা-৪ আসনের সীমানায় পড়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৪৭, ৫১, ৫২, ৫৩, ৫৪, ৫৮, ৫৯, ৬০ ও ৬১ নম্বর ওয়ার্ড। এই আসনের মোট ভোটার ৩ লাখ ৪৩ হাজার ৪৯ জন। এই আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৪৩ হাজার ৪৯। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭৫ হাজার ৯৪ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ৬৭ হাজার ৯৫৩। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার দুজন।
নির্বাচনি ইতিহাস
ঢাকা-৪ জাতীয় সংসদের ১৭৬ নম্বর আসন। ১৯৭৩ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এখানে ১২ বার জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছে। এর মধ্যে বিএনপির প্রার্থী চারবার, বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের প্রার্থী তিনবার ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী তিনবার জয়ী হন। দুটি নির্বাচনে জয়লাভ করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী।
১৯৭৩ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মীর আবুল খায়ের ও ১৯৭৯ সালে বিএনপির আনোয়ার উদ্দিন শিকদার এমপি নির্বাচিত হন। সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা ১৯৮৬ সালে স্বতন্ত্র ও ১৯৮৮ সালে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে জয়ী হন।
১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে জয়ী হন বিএনপির প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমেদ। ১৯৯৬ সালের জুনের নির্বাচনে জয়ী হন আওয়ামী লীগের হাবিবুর রহমান মোল্লা। এরপর ২০০১ সালে আবার এমপি নির্বাচিত হন বিএনপির সালাউদ্দিন আহমেদ।
‘ঢাকা-৪ ও নোয়াখালীর একটি আসনে প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে। ঢাকা-৪ আসনের বড় সমস্যা চাঁদাবাজি ও মশার উপদ্রব। নির্বাচিত হলে এই দুই সমস্যার সমাধানই হবে আমার অগ্রাধিকার।’ —নিজাম উদ্দিন, এনসিপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের প্রধান সমন্বয়কারী
২০০৮ সালের নির্বাচনে এমপি হন আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দিলে জয়ী হন সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা। সর্বশেষ ২০২৪ সালের নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী সানজিদা খানম ও জাতীয় পার্টির সৈয়দ আবু হোসেন বাবলাকে হারিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেন আওলাদ হোসেন। তবে তিনিও আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গেই জড়িত।
নাগরিক ভোগান্তি থেকে রেহাই চান স্থানীয়রা
ঢাকা-৪ আসনের অন্তর্গত শ্যামপুর ও কদমতলী—রাজধানীর সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোর মধ্যে অন্যতম। নির্বাচনি আসনের বিভিন্ন এলাকাজুড়ে এখন পোস্টার-ফেস্টুনের রাজত্ব। কমিশনার রোড, মিরাজনগর বাজার রোড, রসুলবাগ, জিয়া সরণি, চেয়ারম্যানবাড়ী, ধোলাইপাড় মোড়—সব জায়গায় চোখে পড়ে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের ছবি সংবলিত বড় বড় ব্যানার, ফেস্টুন। বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগও করতে দেখা গেছে প্রার্থীদের। কিন্তু এবার প্রার্থীদের মিষ্টি কথায় গলতে চান না ভোটাররা। তাদের চাওয়া নাগরিক সমস্যা সমাধানে কার্যকরি উদ্যোগ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শনির আখড়া থেকে জিয়া সরণি পর্যন্ত রাস্তাগুলো ভাঙা, পাশের খাল অপরিচ্ছন্ন। সামান্য বৃষ্টি হলেই চেয়ারম্যানবাড়ীসংলগ্ন সড়কে জমে হাঁটুপানি। অলিগলির অবস্থা আরও করুণ। ওয়াসার পানির মান এতই খারাপ যে অনেকে বোতলজাত পানি কিনে ব্যবহার করেন।
এছাড়া নির্বাচনি আসনের বিভিন্ন এলাকায় মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। জুরাইন, বিক্রমপুর প্লাজা ও আশপাশের ফুটপাতে দোকান বসিয়ে দখল-চাঁদাবাজির অভিযোগও পুরোনো।
স্থানীয় চায়ের দোকানি জীবন রায় জাগো নিউজকে বলেন, ‘ওয়াসার পানি খাওয়ার অযোগ্য। রাস্তা এমন ভাঙা যে একটু বৃষ্টি হলেই হাঁটুপানি জমে যায়। যিনি এমপি হবেন তিনি যেন আগে রাস্তাঘাট আর জলাবদ্ধতার সমস্যা সমাধান করেন।’
স্থানীয় ভোটার মাহবুব বলেন, ‘বৃষ্টি মানেই জলাবদ্ধতা। এ সমস্যা থেকে আমরা মুক্তি চাই।’ এবার সুষ্ঠু ভোট হলে অপেক্ষাকৃত তরুণ প্রার্থীই জিতবে বলেও মনে করেন তিনি।
কেএইচ/এমএমকে/এমএমএআর/এমএফএ/জেআইএম

15 hours ago
6









English (US) ·