আবাসিক ভবনে মশার লার্ভার বিষয়ে ভবন মালিকদের প্রাথমিকভাবে সতর্কতা নোটিশ দেওয়া শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। সোমবার (১০ নভেম্বর) ডিএনসিসির জনসংযোগ বিভাগ এই তথ্য জানিয়েছে।
এর আগে, গত রোববার (৯ নভেম্বর) ডিএনসিসির ফেসবুক পেজে একটি সতর্কতা নোটিশের ছবি প্রচার করা হয়। ওই নোটিশে স্বাক্ষর করেছেন ডিএনসিসির অঞ্চল-২ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
এক ভবন মালিককে দেওয়া ওই নোটিশে বলা হয়, বর্ষা ও শুষ্ক মৌসুমে মশার প্রজনন বৃদ্ধি পায়, বিধায় মশার প্রজনন বা বংশবৃদ্ধিনিয়ন্ত্রণে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন মশক নিধন কার্যক্রম জোরদার করণসহ বিভিন্ন ধরনের জনসচেতনতা মূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ব্যক্তি মালিকানাধীন, সরকারি/আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের অধীনস্থ স্থাপনার ভেতরে বা আশেপাশে পড়ে থাকা অব্যবহৃত পাত্র, প্লাস্টিকের ড্রাম, বালতি, ফুলের টব, পরিত্যক্ত টায়ার, চৌবাচ্চা, কমোড, ডাবের খোসা, নারকেলের মালা, ওয়াসার পানির মিটার, ছাদ বাগান, লিফটের গর্ত, বেজমেন্টে জমে থাকা পানি এবং অধীনস্থ জলাশয়ের কচুরিপানা, জলজ আগাছা, ময়লা আবর্জনা যুক্ত বদ্ধ পানি মশার প্রজননের সূতিকাগার হিসেবে কাজ করছে।
ওই নোটিশে আরও বলা হয়, এই সমস্যা এককভাবে সিটি করপোরেশনের পক্ষে সমাধান করা সম্ভব নয়। সবার সক্রিয় অংশগ্রহণ ও সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ঢাকা মহানগরীকে পরিচ্ছন্ন রাখার পাশাপাশি মশকমুক্ত নগরী হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব। জনস্বার্থের জন্য এটি অতীব জরুরি। এমতাবস্থায়, মশার প্রজননরোধে আপনার নিয়ন্ত্রণাধীন বাসাবাড়ি বা প্রতিষ্ঠানের অধীনস্থ স্থাপনা ও জলাশয়ের মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংস করে আগামী পাঁচ কার্য দিবসের মধ্যে ডিএনসিসির সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক অফিসকে জানাতে হবে। অন্যথায় জনস্বার্থে স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন ২০০৯ এর ৫ম তফসিলের ২৭,৩০,৩১,৩৪ ধারা অনুযায়ী মামলা/অর্থদণ্ডের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে এই নোটিশে প্রাপক বা ভবন মালিকের নাম প্রকাশ করেনি ডিএনসিসি।
এমএমএ/এমএমকে

4 hours ago
7









English (US) ·