নরসিংদীতে স্ত্রী-সন্তানের শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুনের ঘটনায় দগ্ধ দুজনের মৃত্যু হয়েছে। অভিযুক্ত ফরিদ মিয়ার স্ত্রী রিনা বেগম (৩৮) মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকাল ৯টার দিকে ও ছেলে ফরহাদ সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন চন্দ্র সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
অভিযুক্ত ফরিদ মিয়া একজন পিকআপভ্যান চালক। তিনি মাদকাসক্ত বলে এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে ফরিদ মিয়ার স্ত্রী রিনা বেগম ও বেলা সাড়ে ১২টায় ছেলে ফরহাদ ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
জানা যায়, ফরিদ মিয়া ও রিনা বেগম এর দাম্পত্য জীবনে পারিবারিক কলহ চলছিল। এসব কারণে রিনা বেগম তার বাবার বাড়ি সঙ্গীতা এলাকায় সন্তানদের নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) পারিবারিক কলহের জের ধরে ঘটনার দিন রাত ২টার দিকে ফরিদ মিয়া ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় তার স্ত্রী, সন্তান ও শ্যালিকার গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়ে ঘরের বাইরে থেকে দরজায় তালাবদ্ধ করে পালিয়ে যান। পরে এলাকাবাসী টিনের বেড়া ভেঙে ঘরের ভেতর থেকে দগ্ধদের উদ্ধার করে। তাদের মধ্যে গুরুতর দগ্ধ রিনা বেগম ও ফরহাদকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
নিহত রীনার বাবা মহন মিয়া বলেন, ফরিদ নেশাগ্রস্ত, সে আমার মেয়ের ওপর দীর্ঘদিন ধরে অত্যাচার করছে। সে রাতে তাদের আগুন জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দিল। আমি তার বিচার চাই।
এ ঘটনার পর গত ২৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় অভিযুক্ত ফরিদ মিয়াকে রায়পুরা উপজেলার বারৈচা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে নরসিংদী মডেল থানা পুলিশ। বর্তমানে তিনি জেলহাজতে রয়েছেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন চন্দ্র সরকার বলেন, আগুনে দগ্ধ ফরিদ মিয়ার স্ত্রী রিনা বেগম ও ছেলে ফরহাদ ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। অভিযুক্ত ফরিদ মিয়া কারাগারে রয়েছেন।
সঞ্জিত সাহা/এমএন/জিকেএস

3 days ago
4









English (US) ·