মাদকের সর্বনাশা খেল: মায়ের হাতেই ছেলের জেল

1 week ago 8

ছেলে নেশায় আসক্ত। মাদকের টাকা জোগাড় করতে গিয়ে বাড়িতে নানা অঘটন ঘটায়। পরিবারে এ নিয়ে অশান্তি। অতিষ্ঠ মা ছেলের অত্যাচার সইতে না পেরে  উপজেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেছিলেন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ওই ছেলেকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল রনী এই সাজা দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত যুবকের নাম কবির হোসেন রাশেদ (২৭)। তিনি সখীপুর পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের গড়গোবিন্দপুর গ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে।

গুগলে সার্চ দিলে এরকম আরও ঘটনা সামনে চলে আসে।

  • শরীয়তপুর

: শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় মাদকাসক্ত ছেলে ফারুক ছৈয়ালের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে বাবা-মা তাকে ধরে পুলিশে দেন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে এক বছরের কারাদণ্ড দেন।

  • ঝালকাঠি

: ঝালকাঠির নলছিটিতে মাদকাসক্ত ছেলে সোহাগ জোমাদ্দারকে তার মা ফরিদা বেগম পুলিশের হাতে তুলে দেন।

  • ময়মনসিংহ

: ময়মনসিংহের ফুলপুরে এক মাদকাসক্ত ছেলের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে এক মা তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।

  • ঠাকুরগাঁও

: ঠাকুরগাঁওয়ে এক মাদকাসক্ত ছেলে তার মা ও স্ত্রীর ওপর শারীরিক নির্যাতন ও ঘরের জিনিসপত্র ভাঙচুর করলে তার মা তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাকে সাজা দেন।

দেশে মাদকসেবীর সংখ্যা এক কোটিরও বেশি। এর মধ্যে শিক্ষিত, অশিক্ষিত, নিম্নবিত্ত, উচ্চবিত্ত, নারী-পুরুষ এবং শিশু-কিশোর থেকে সব বয়সী লোকরাই রয়েছে। এভাবে নেশায় দিনে অপচয় হয় প্রায় ১০০ কোটি টাকা। সমাজে দেখা দিচ্ছে মারাত্মক অবক্ষয়। তরুণ প্রজন্মের বিরাট অংশ মাদকের ছোবলে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় সরকার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ করে মাদকের সরবরাহ ও চোরাচালান বন্ধ করতে পারে।

কী ভয়াবহ অবস্থা। একবার ভাবা যায়!

মাদক হলো এমন এক রাসায়নিক পদার্থ যা মস্তিষ্কের স্বাভাবিক কার্যকারিতা পরিবর্তন করে এবং ব্যক্তি ও সমাজের জন্য ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। যখন কেউ বারবার বা অত্যধিক পরিমাণে মাদক সেবন করে, তখন তাকে মাদকাসক্ত বা মাদক অপব্যবহারকারী হিসেবে গণ্য করা হয়। এটি একটি রোগ, যার ফলে ব্যক্তি মাদকের ওপর শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। 

মাদক গ্রহণ এমন এক অপরাধ, যা একপর্যায়ে নিজের নিয়ন্ত্রণে থাকে না; বরং সে নিজেই মাদক বা নেশার নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। ফলে চাইলেই যখন- তখন সেখান থেকে বের হয়ে আসা যায় না; অর্থাৎ এক সময় সে নেশাকে ছাড়তে চাইলেও নেশা তাকে সহজে ছাড়ে না বা ছাড়তে চায় না। দুঃখজনক বাস্তবতা হচ্ছে, এই নেশার জগৎ ক্রমাগত বড় হচ্ছে। সব বয়সী, সব শ্রেণি পেশার মানুষের এক বিরাট অংশ নেশায় বুঁদ হয়ে আছে।  যার সর্বশেষ উদাহরণ সখীপুরের মাদকাসক্ত যুবক কবির হোসেন রাশেদ।

শুধু শহরেই নয়, গ্রামেও ছড়িয়ে পড়েছে মাদক। তার বিষাক্ত ছোবল শেষ করে দিচ্ছে তারুণ্যের শক্তি ও অমিত সম্ভাবনা। ব্যক্তি ও পারিবারিক জীবনের অবক্ষয়, প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তির অসামঞ্জস্যতা, হতাশা এবং মূল্যবোধের অভাবের সুযোগ নিয়ে মাদক তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে তরুণ সমাজের প্রতি। বেকারত্বও মাদকের বিস্তারে সহায়ক-এমন কথাও বলছেন বিশ্লেষকরা। এই মরণ নেশার বিস্তারে সমাজে একদিকে যেমন অপরাধ বাড়ছে, তেমনিভাবে নষ্ট হচ্ছে সামাজিক শৃঙ্খলা। এ অবস্থা চলতে থাকলে একটি সমাজের অন্ধকারের অতল গহ্বরে হারিয়ে যেতে খুব বেশি সময় লাগবে না।

নিষিদ্ধ জগতে অস্ত্রের পর মাদকই সবচেয়ে লাভবান ব্যবসা। বিশেষ করে ফেনসিডিল ও ইয়াবা সহজলভ্য এবং বহনযোগ্য বলে এর বিস্তার দেশজুড়ে। সত্যি বলতে কি দেশের এমন কোনো এলাকা খুঁজে পাওয়া যাবে না যেখানে মাদকের থাবা নেই। দেশজুড়ে এক বিশাল জাল বিস্তার করে আছে এই মরণ নেশার ভয়াবহ সিন্ডিকেট। আন্তর্জাতিক অপরাধ চক্র মাফিয়াদের সঙ্গে রয়েছে এদের শক্ত ও গভীর যোগাযোগ।

দুঃখজনক যে, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসা ও সেবন প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণের বাইরেই থাকছে। যুব সমাজ ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে। রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির পেশার মানুষ মাদক কারবারিতে জড়িয়ে পড়েছে। সীমান্ত এলাকায় যেসব থানা আছে ওইসব থানার পুলিশ সদস্যরাই মাদক কারবারে জড়িয়ে পড়ছে বেশি।

মাদক চোরাচালানের জন্য রয়েছে বিভিন্ন রুট। বিমানবন্দর থকে শুরু করে স্থলবন্দর, সমুদ্রবন্দর, সীমান্ত এলাকায় মাদকের ছড়াছড়ি। এর কিছু ধরা পড়ে। বাকিটা চলে যায় মাদকসেবী ও ব্যবসায়ীদের কাছে। এছাড়া কারাগারেও রয়েছে মাদকের জমজমাট ব্যবসা। রাজধানীর উপকণ্ঠে সম্প্রতি স্থানান্তরিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারসহ দেশের বিভিন্ন কারাগারে অভিনব কায়দায় মাদক ও বিভিন্ন নিষিদ্ধ পণ্য পাচারের অভিযোগ উঠেছে। কারাগার কর্তৃপক্ষ এ ধরনের অপতৎপরতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেও অনেক সময় চোখ ফাঁকি দিয়ে মাদক ঢোকে কারাগারে। মোবাইল ফোন দিয়ে কারাগারে বসে শীর্ষস্থানীয় অপরাধীদের মাদকব্যবসা ও চাঁদাবাজিসহ অপরাধ জগৎ নিয়ন্ত্রণের খবরও অজানা নয়।

পুলিশের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, ভৌগোলিক কারণে বাংলাদেশে মাদকের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি। এশিয়ার গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গল (মিয়ানমার, লাওস ও থাইল্যান্ড), গোল্ডেন ক্রিসেন্ট (ইরান, আফগানিস্তান ও পাকিস্তান), গোল্ডেন ওয়েজ (ভারতের হিমাচল প্রদেশ, উত্তর প্রদেশ, অরুণাচল প্রদেশ, নেপাল ও ভুটানের কিছু অংশ) নামে পরিচিত মাদক চোরাচালানের তিনটি প্রধান অঞ্চলের কেন্দ্র বাংলাদেশে।

নিষিদ্ধ বস্তু হওয়ায় মাদক পাচারকারীরা অভিনব সব পন্থা অবলম্বন করে পুলিশের চোখ ফাঁকি দেওয়ার জন্য। টিফিন ক্যারিয়ারের ভেতর বিশেষ কায়দায় মোবাইল পাচার, জুতার সোল ও শুকনো খাবারের ভেতর গোপনে মাদক পাচার হচ্ছে। এছাড়া পরিধেয় শার্টের কলার ও হাতায়, প্যান্টের কোমড়ের অংশে এবং টিফিনবক্সের ভেতরে মোবাইল, গাঁজা, হেরোইন, ফেনসিডিলসহ নিষিদ্ধ পণ্য কারা অভ্যন্তরে নেওয়া হচ্ছে। এ ধরনের অপতৎপরতা বন্ধে কারা কর্তৃপক্ষকে নজরদারি বাড়াতে হবে। কারাগার হচ্ছে সংশোধনাগার। সেখানে যদি মাদক ঢোকে তাহলে অবস্থা কী হবে একবার ভাবা যায়!

গত এক দশকের বেশি সময় কোকেন পাচারের রুট হিসেবে বাংলাদেশকে ব্যবহার করা হচ্ছে। বাংলাদেশ হয়ে ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা, ভারতসহ বিভিন্ন দেশে কোকেন পাচার হয়েছে। ১০ বছরে প্রায় ৫০ কেজি কোকেন উদ্ধার হয়েছে। এর মধ্যে ২০২৩ সালের ২৬ জানুয়ারি উদ্ধার হয় সাড়ে ৮ কেজি কোকেন। এই সময় মালাবি, ক্যামেরুন, নাইজেরিয়া ও বাংলাদেশের আটজনকে ধরা হয়। চক্রের প্রধান নাইজেরিয়ার এক নাগরিক। এই চক্র এখনো তাদের অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।

মাদক পাচারকারীরা আশ্রয় নেয় বিভিন্ন পন্থা ও কৌশলের। মানব শরীরের ভেতর, গোপনাঙ্গে মাদক পাচারের পন্থা পুরোনো হয়ে গেছে। এমনকি কফিনের ভেতরে মাদক পাচারের ঘটনাও ঘটেছে। এর আগে রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় সাপুড়েদের সাপ রাখার বাক্স থেকে, বড় মিষ্টি কুমড়ার ভেতর, মিষ্টির বাক্স, দরজার চৌকাঠের ভেতর বাক্স করে ফেনসিডিল বহনের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তা ধরা পড়ে।

অ্যাম্বুলেন্স বা কফিনে করে মাদক বহন করলে অনেক সুবিধা। এতে অনেকের চোখ ফাঁকি দেওয়া যায়। যানজটে পড়লে সাইরেন বাজিয়ে উল্টো পথেও চলে যাওয়া যায়। র‌্যাব-পুলিশের চেকপোস্টে তল্লাশিতেও পড়তে হয় না। কারণ কফিনবাহী একটি অ্যাম্বুলেন্সকে সাধারণ কেউ সন্দেহের চোখে দেখে না। এটা খুবই উদ্বেগের বিষয় যে, মাদক ব্যবসায়ীরা মাদক পাচারের জন্য অ্যাম্বুলেন্সের মতো একটি জরুরি এবং স্পর্শকাতর পরিবহন ব্যবহার করছে। এতে কোন অ্যাম্বুলেন্সে সত্যিকারের রোগী বা কফিনের ভেতরে আসলে লাশ না অন্য কিছু আছে এ নিয়ে সন্দেহ দেখা দেওয়াটা স্বাভাবিক।

এ নিয়ে অর্থাৎ পুলিশ এবং অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহারকারী উভয় পক্ষকেই বিড়ম্বনায় পড়তে হবে। এ সুযোগটিই নেয় মাদককারবারীরা। এজন্য অবশ্যই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে অ্যাম্বুলেন্সের মালিককেও শাস্তির আওতায় আনতে হবে। অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে মাদক পরিবহনের মতো গর্হিত কাজ যাতে আর কেউ করতে সাহস না পায় সেজন্য এ ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবেই।

এটা খুবই আশঙ্কার বিষয় যে বাংলাদেশে দিন দিন মাদকসেবীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ সংখ্যা এক কোটিরও বেশি বলে বিভিন্ন পরিসংখ্যানে বলা হয়। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে মাদক ব্যবসার ট্রানজিট রুট হিসেবেও ব্যবহৃত হচ্ছে বাংলাদেশ। এ অবস্থায় মাদকবিরোধী অভিযান জোরদার করতে হবে। মাদকদ্রব্য কোনো অবস্থায়ই যাতে দেশের ত্রিসীমায় ঢুকতে না পারে সেটি নিশ্চিত করতে হবে যে কোনো মূল্যে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশে মাদকসেবীর সংখ্যা এক কোটিরও বেশি। এর মধ্যে শিক্ষিত, অশিক্ষিত, নিম্নবিত্ত, উচ্চবিত্ত, নারী-পুরুষ এবং শিশু-কিশোর থেকে সব বয়সী লোকরাই রয়েছে। এভাবে নেশায় দিনে অপচয় হয় প্রায় ১০০ কোটি টাকা। সমাজে দেখা দিচ্ছে মারাত্মক অবক্ষয়। তরুণ প্রজন্মের বিরাট অংশ মাদকের ছোবলে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। শিশুরাও জড়াচ্ছে মাদকে। বছরে মাদকের ২৫ হাজার মামলা হয়। কিন্তু সাক্ষ্যপ্রমাণের অভাবে অধিকাংশেরই ফাইনাল রিপোর্ট দিতে পারে না পুলিশ। ফলে অপরাধীরা থেকে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে।

মাদকের ক্ষতিকর প্রভাব

মাদকাসক্তি একজন ব্যক্তির শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য, সম্পর্ক এবং সামগ্রিক জীবনের ওপর গভীর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। 

শারীরিক ক্ষতি

  • কিডনি অন্যান্য অঙ্গের ক্ষতি: অবৈধ মাদক এবং অ্যালকোহলের অপব্যবহার কিডনিসহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে।
  • দুর্বল স্বাস্থ্য: মাদকের কারণে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে এবং বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। 

মানসিক আচরণগত ক্ষতি

  • মস্তিষ্কের ক্ষতি: মাদক মস্তিষ্কের স্বাভাবিক কার্যকারিতা ব্যাহত করে, ফলে মনোযোগের অভাব এবং স্মৃতিশক্তির দুর্বলতা দেখা দেয়।
  • একাকিত্ব বিষণ্ণতা: মাদকাসক্তি একাকিত্ব ও বিষণ্ণতার মতো মানসিক সমস্যা তৈরি করে।
  • আচরণগত পরিবর্তন: মাদকাসক্ত ব্যক্তিরা প্রায়শই পরিবার ও বন্ধুদের থেকে দূরে সরে যায় এবং স্বাভাবিক আচরণ পরিবর্তন করে। 

মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে হলে মাদকদ্রব্যের প্রাপ্তি সহজলভ্য যাতে না হয় সেটি নিশ্চিত করতে হবে। যে কোনো মূল্যে ঠেকাতে হবে মাদকের অনুপ্রবেশ। দেশেও যাতে মাদকদ্রব্য উৎপাদন হতে না পারে সে ব্যাপারেও পদক্ষেপ নিতে হবে। দুঃখজনক হচ্ছে, মাঝে-মধ্যে মাদকের চালান ধরা পড়লেও তাদের মূল কুশীলবরা থেকে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে। অভিযোগ রয়েছে, সমাজের প্রভাবশালী অনেক ব্যক্তি এসব সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত থাকায় তাদের টিকিটি স্পর্শ করতে পারে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এই অবস্থার পরিবর্তন জরুরি।

প্রতিরোধের উপায়

  • সচেতনতা বৃদ্ধি: স্কুল এবং কমিউনিটি পর্যায়ে মাদকের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে সচেতনতামূলক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা।
  • পারিবারিক ভূমিকা: পিতা-মাতার উচিত সন্তানদের প্রতি যত্নশীল হওয়া এবং তাদের সঙ্গে মাদকের বিপদ সম্পর্কে খোলামেলা আলোচনা করা।
  • আইনি পদক্ষেপ: সরকার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ করে মাদকের সরবরাহ ও চোরাচালান বন্ধ করতে পারে।
  • পরামর্শ চিকিৎসা: মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা। 

মাদকের ভয়াল থাবা থেকে দেশকে বাঁচাতে হলে মাদক সিন্ডিকেট যতই শক্তিশালী হোক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ব্যাপারে সামাজিক সচেতনতারও কোনো বিকল্প নেই। ধর্মীয় মূল্যবোধ ও নীতিনৈতিকতার উন্মেষ ঘটাতে হবে। যারা ইতিমধ্যে মাদকাসক্ত হয়েছে তাদেরও সহানুভূতিশীল দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সুস্থধারায় ফিরিয়ে আনতে হবে। বাড়াতে হবে মাদক নিরাময় কেন্দ্রের সংখ্যাও। সর্বোপরি সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি করে যার যার অবস্থান থেকে মাদকের বিরুদ্ধে লড়াই করে এই যুদ্ধে জয়ী হতেই হবে।

লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট। ডেপুটি এডিটর, জাগো নিউজ।
[email protected]

এইচআর/এমএফএ/জিকেএস

Read Entire Article