যানবাহনে আগুন দেওয়ার বিষয়টি মানুষ ভালোভাবে নিচ্ছে না: প্রসিকিউটর

6 hours ago 10

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মুখোমুখী (ফেস) না হয়ে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করা, যানবাহনে আগুন দেওয়ার বিষয়টি সাধারণ মানুষ মোটেই ভালোভাবে নিচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম।

মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

নিশ্চয়ই সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মন্তব্য করে এক প্রশ্নের জবাবে গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম বলেন, আওয়ামী লীগ কেন এ ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে? ট্রাইব্যুনাল বা আদালত ফেস (মুখোমুখি) না করে রাস্তাঘাটে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করা, যানবাহনে আগুন দিয়ে মানুষের ওপর নির্যাতন বা মানুষের ভোগান্তির কারণ সৃষ্টি করা নিশ্চয়ই সাধারণ মানুষ ভালোভাবে নেবে না। সাধারণ মানুষ এটাকে মোটেই ভালোভাবে নিচ্ছে না বলে তারা মনে করেন।

শেখ হাসিনার রায়কে কেন্দ্র করে ট্রাইব্যুনালে ডিএমপির কমিশনার এসেছিলেন। নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে সার্বিকভাবে কোনো কথা হয়েছে কি না? আর রায়ের সার্বিক পরিস্থিতি কেমন?—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার বলেন, ট্রাইব্যুনালের পক্ষ থেকে ১৩ নভেম্বর রায়ের দিন নির্ধারণ করা হবে। কবে রায় হবে, এটা ১৩ নভেম্বর জানা যাবে। সেটাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ বা বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করবে। দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও সেই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

এরই ধারাবাহিকতায় হয়তো ডিএমপির কমিশনার ট্রাইব্যুনালে এসেছিলেন জানিয়ে প্রসিকিউটর বলেন, ট্রাইব্যুনাল সম্পর্কে কমিশনারের সঙ্গে প্রসিকিউশনের কোনো কথা হয়নি। বাইরে কী করে গেছেন, এটা কমিশনার ভালো জানবেন। তারা আশা করছেন, রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ বাহিনী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করছে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার বলেন, তাদের (প্রসিকিউশন) সবকিছুই স্বাভাবিকভাবে চলছে। কোনো ধরনের চাপ নেই। রায়ের তারিখ এলে রায় হবে। এদিন আবু সাঈদের মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ হয়েছে।এভাবেই ট্রাইব্যুনাল স্বাভাবিক গতিতে চলছে।

১৩ নভেম্বর ঘিরে সার্বিকভাবে উত্তেজনা বিরাজ করছে। বাসে আগুন দেওয়া হচ্ছে, ককটেল বিস্ফোরিত হচ্ছে—এই বিষয়গুলো কি স্বাভাবিক এমন প্রশ্নের জবাবে প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার বলেন, এ জন্য সুপ্রিম কোর্ট, অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস, প্রসিকিউশন অফিসসহ আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ হয়েছে। সাধারণ বা যারা অপ্রয়োজনীয় কাজে ঘোরেন বা ভবঘুরে আছেন, তাদের চলাচলের ব্যাপারে কিছু নিয়ন্ত্রণও আরোপ করা হয়েছে।
এসব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে করা হয়েছে। এর সঙ্গে প্রসিকিউশন বা ট্রাইব্যুনালের কোনো সম্পর্ক নেই। যেকোনো পরিস্থিতিতেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।

এফএইচ/এমএমকে

Read Entire Article