‘যারা জামায়াতকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল তারাই নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে’

2 hours ago 5
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেছেন, যারা জামায়াতকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল তারাই আজ নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। আমরা মহান মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে ছিলাম না, আমরা স্বাধীনতার পক্ষে কিন্তু ভারতের বিরুদ্ধে ছিলাম। এজন্য আমাদের স্বাধীনতাবিরোধী আখ্যা দিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। যে মিথ্যা মামলায় জামায়াতের মজলুম নেতাদের ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। বুধবার (১২ নভেম্বর) সকালে ফেনীর দাগনভূঞায় জামায়াতে ইসলামী দাগনভূঞা উপজেলা ও পৌর শাখার আয়োজনে পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।   এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেন, যারা জামায়াত নেতাদেরকে ফাঁসি দিয়ে হত্যা করে উল্লাস করেছে তারা আজ কোথায়? আমাদের মহান নেতা শহীদ মীর কাসেম আলী যখন বিদেশে ছিলেন তখন দেশ থেকে অনেকেই ফোন করে দেশে আসতে নিষেধ করেছিলেন। তখন তিনি বলেছেন, ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা যদি আমার অপরাধ হয় তবে যা হওয়ার হবে। আমি দেশকে ভালোবাসি দেশের মানুষকে ভালোবাসি। আমি দেশে ফিরব। তখন তিনি দেশে ফিরে আসেন। চোরের মতো বিদেশে লুকিয়ে থাকেননি। পরে মিথ্যা সাজানো মামলায় তাকে মানবতাবিরোধী আখ্যা দিয়ে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝোলানো হয়েছে।  তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ তাদের অসহায় নেতাকর্মীদের ফেলে রেখে দেশ থেকে কোটি কোটি টাকা পাচার করে পালিয়েছে। আর যারা দেশের পক্ষে কাজ করে তারা কখনো পালায় না। জামায়াতে ইসলামীর এ নেতা বলেন, আগামী নির্বাচনে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আপনারা একবার দাঁড়িপাল্লায় ভোট দিয়ে দেখেন আমরা কেমন কাজ করি। আমরা রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে দেশের চেহারা পাল্টে দেব। সকল অনিয়ম দুর্নীতি অনাচার দূর করব। এর আগে জামায়াত সরকারে থেকে কৃষি ও শিল্প মন্ত্রণালয় চালিয়েছে। এক টাকার দুর্নীতির অভিযোগ কেউ দিতে পারেনি। আমরা দুর্নীতি করব না, দুর্নীতি করতেও দেব না। এ পরীক্ষায় আমরা আগেই উত্তীর্ণ হয়েছি। দাগনভূঞা উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা গাজী ছালাহ উদ্দিনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফেনী জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আবদুল হান্নান, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ফখরুদ্দিন মানিক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের মজলিসে শূরা সদস্য মেজবাহ উদ্দিন সাঈদ।
Read Entire Article