ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় চলমান যুদ্ধবিরতির মধ্যেই গাজা উপত্যকায় বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে ৯০ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। নিহতদের মধ্যে ২৪ জন শিশু। এছাড়াও পশ্চীম তীর থেকে ৯ জন ফিলিস্তিনি নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরাসরি নির্দেশে এ হামলা চালানো হয়েছে।
আল-জাজিরার তথ্য মতে, ইসরায়েলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে হামাসের গুলিতে একজন ইসরায়েলি সৈন্য নিহত হওয়ায় পাল্টা প্রতিশোধ নিতেই এমন হামলা চালানো হয়েছে। এর আগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু দক্ষিণ গাজার রাফাহ এলাকায় গুলিবিনিময়ের পর প্রবল পাল্টা আঘাত হানার নির্দেশ দেন। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী পরে নিশ্চিত করে যে তাদের এক সদস্য ওই সংঘর্ষে নিহত হয়েছে।
চলমান হামলার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ইসরায়েল প্রতিশোধ নিয়েছে কারণ তাদের এক সেনা নিহত হয়েছেন। তবে তিনি দাবি করেন, হামাসকে আচরণ ঠিক করতে হবে। তবে এই হামলা যুদ্ধবিরতিতে কোনো বাধা সৃষ্টি করবে না।
এই হামলা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির পর সবচেয়ে বড় সহিংসতা।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় চলমান যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৬৮ হাজার ৫২৭ জন নিহত এবং ১ লাখ ৭০ হাজারের বেশি আহত হয়েছেন বলে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
অন্যদিকে, ওয়াশিংটনে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স বলেছেন, হামলা ও উভয় পক্ষের অভিযোগ সত্ত্বেও যুদ্ধবিরতি এখনো কার্যকর রয়েছে।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ছোটখাটো সংঘর্ষ তো হবেই। আমরা জানি, হামাস বা গাজার অন্য কোনো গোষ্ঠী একজন ইসরায়েলি সৈন্যের ওপর হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলের প্রতিক্রিয়া স্বাভাবিক, তবে প্রেসিডেন্টের নেতৃত্বে গঠিত শান্তিচুক্তি টিকে থাকবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
এদিকে হামাস দাবি করেছে, রাফাতে ইসরায়েলি সৈন্যের ওপর হামলার ঘটনায় তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
কেএম

 2 days ago
                        10
                        2 days ago
                        10
                    








 English (US)  ·
                        English (US)  ·