যোগ্যপ্রার্থী না থাকায় ৪৪তম বিসিএসের ২৯টি পদ খালি

7 hours ago 8

প্রায় চার বছর পর ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশিত হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে মোট শূন্যপদ ছিল এক হাজার ৭১০টি, কিন্তু চূড়ান্ত ফলাফলে নিয়োগের জন্য সুপারিশ পেয়েছেন এক হাজার ৬৮১ জন। ফলে ২৯টি ক্যাডার পদ ফাঁকা রয়েছে। এসব পদে যোগ্যপ্রার্থী পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টায় পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) মাসুমা আফরিনের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ৪৪তম বিসিএসের প্রিলি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার পর যোগ্যতাসম্পন্ন প্রার্থী না পাওয়ায় কারিগরি বা পেশাগত ক্যাডারের ২৯টি পদে প্রার্থী মনোনয়ন করা সম্ভব হয়নি। পিএসসির প্রচেষ্টা থাকলেও পদগুলোতে যোগ্য প্রার্থী না পাওয়ায় পদগুলো শূন্যই থেকে যাচ্ছে।

প্রথম দফায় গত ৩০ জুন ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়। তাতে এক হাজার ৬৯০ জনকে সুপারিশ করা হয়েছিল। তখন কারিগরি/পেশাগত ক্যাডারের ২০টি পদ শূন্য থেকে যাচ্ছে বলে জানিয়েছিল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।

৪৪তম বিসিএসের সংশোধিত ফল প্রকাশ, সুপারিশ পেলেন ১৬৮১ প্রার্থী
প্রাথমিকের ৬৫৫০২ প্রধান শিক্ষক দশম গ্রেডে উন্নীত

তবে প্রথম দফার চূড়ান্ত ফলাফলে ৩০৩ জন প্রার্থী রিপিট ক্যাডারে (আগের কোনো বিসিএসে একই ক্যাডারে নিয়োগ পেয়ে কর্মরত) সুপারিশপ্রাপ্ত হন। এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে বিধি পরিবর্তনের উদ্যোগ নেয় পিএসসি।

প্রায় পাঁচ মাস পর অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে বিধি সংশোধন অনুমোদন দেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এরপর সংশোধিত ফলাফল প্রকাশ করলো পিএসসি। তাতে শূন থাকা পদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯টিতে।

২০২১ সালের ৩০ নভেম্বর ৪৪তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। এতে আবেদন করেন প্রায় ৩ লাখ ৫০ হাজার ৭১৬ জন প্রার্থী। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ১৫ হাজার ৭০৮ জন।

২০২৪ সালের এপ্রিলে এ বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কারণে প্রথম দফায় এবং সরকার পতনের পর ২৫ অগাস্ট দ্বিতীয় দফায় তা স্থগিত করা হয়।

লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ মোট ১১ হাজার ৭৩২ জনের মধ্যে ততদিনে ৩ হাজার ৯৩০ জন প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। ক্ষমতার পট-পরিবর্তনের পর 'ন্যায্যতা বজায় রাখতে’ প্রার্থীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে আগের কমিশনের নেওয়া পরীক্ষা বাতিল করে নতুন করে মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় পিএসসি।

পরে চলতি বছর তাদের পুনরায় মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। তাদের মধ্য থেকে চূড়ান্তভাবে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের জন্য এক হাজার ৬৮১ জন চূড়ান্তভাবে নিয়োগের সুপারিশ পেলেন।

এএএইচ/এমএএইচ/

Read Entire Article