রংপুরে পেঁয়াজের কেজি ১২০ টাকা, কাঁচামরিচ ১১০

2 days ago 5

রংপুরের বাজারে কমছে না পেঁয়াজের দাম। খুচরা বাজারে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকা। এছাড়া সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে টমেটো, শসা, বাঁধাকপি ও ফুলকপির। তবে দাম কমেছে কাঁচামরিচ ও ডিমের। এছাড়া অপরিবর্তিত রয়েছে অধিকাংশ সবজিসহ মাছ ও মাংস।

মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রংপুর নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।

রংপুরে পেঁয়াজের কেজি ১২০ টাকা, কাঁচামরিচ ১১০

সিটি বাজারের পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রেতা মহসিন আলী জাগো নিউজকে বলেন, বাজারে পাতা পেঁয়াজ উঠতে শুরু করেছে। কেজি ৫৫-৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে পাতা পেঁয়াজ। তবে সরবরাহ কম। আর দুই সপ্তাহের মধ্যে পাতা পেঁয়াজের আমদানি বাড়বে। এছাড়া মুড়িকাটা পেঁয়াজ মাসখানেকের মধ্যে বাজারে উঠতে শুরু করবে। ফলে এখন যে পেঁয়াজের বাজার দর তা আর থাকবে না।

তিনি আরও বলেন, পেঁয়াজের এখন মৌসুম শেষ দিকে। এ কারণে দাম বেড়েছে। এছাড়া ভারত বা অন্য দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে না। তবে আমদানি ছাড়াই এবার দেশি পেঁয়াজ দিয়েই চাহিদা পূরণ হয়েছে। এটা অত্যন্ত সুখবর।

এছাড়া কাঁচামরিচ দুই সপ্তাহ আগে ১৪০-১৬০ টাকায় বিক্রি হলেও মঙ্গলবার বিক্রি হচ্ছে ১০০-১১০ টাকা।

সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা পর্যায়ে টমেটোর দাম ১১০-১৩০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৪০-১৫০ টাকা, গাজর গত সপ্তাহের মতোই ১৮০-২০০ টাকা, কাঁকরোল ৭০-৮০ টাকা, ঝিংগা ৪০-৫০ টাকা, মুলা ৩৫-৪০ টাকা, ফুলকপি ৫০-৬০ টাকা, বাঁধাকপি ৫০-৬০ টাকা, চালকুমড়া (আকারভেদে) ৪০-৫০ টাকা, কাঁচকলার হালি ২০-২৫ টাকা, দুদকুষি ৩৫-৪০ টাকা, চিকন বেগুন ৪০-৫০ টাকা, গোল বেগুন ৭০-৮০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৪০-০ টাকা, পটল ৩৫-৪০ টাকা, বরবটি ৭০-৮০ টাকা, শিম ৭০-৮০ টাকা, পেঁপে ২০-২৫ টাকা, শসা ৩০-৪০ টাকা বেড়ে হয়েছে ৫০-৬০ টাকা, করলা ৫০-৬০ টাকা, লাউয়ের দাম কমে (আকারভেদে) ৪০-৬০ টাকা, কচুরলতি ৫০-৬০ টাকা, কচুর ৩০-৪০ টাকা, লেবুর হালি ১৫-২০ টাকা, ধনেপাতা ৮০-১০০ টাকা এবং মিষ্টি কুমড়া ৪৫-৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

অপরদিকে, দেশি আদা গত সপ্তাহের মতোই ১৪০-১৫০ টাকা টাকা, আমদানি করা আদা ১৪০-১৬০ টাকা, দেশি রসুন আগের মতোই ১০০-১২০ টাকা, আমদানি করা রসুন ১৮০-২০০ টাকা, শুকনা মরিচ আগের মতো ৩৫০-৪০০ টাকা এবং প্রকারভেদে শাকের আঁটি ১৫ থেকে ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

রংপুরে পেঁয়াজের কেজি ১২০ টাকা, কাঁচামরিচ ১১০

মুলাটোল আমতলা বাজারের সবজি বিক্রেতা আলম মিয়া বলেন, বাজারে দুই-একটি সবজির দাম বেড়েছে। তবে অধিকাংশ সবজি অপরিবর্তিত রয়েছে।

এদিকে দাম কমেছে পোলট্রি মুরগির ডিমের। দোকান ভেদে এক হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪২-৪৪ টাকা।

বাজারে কার্ডিনাল আলু গত সপ্তাহের মতোই ১৮-২০ টাকা, শিল আলু ৪০-৪৫ টাকা, ঝাউ আলু ৪০-৪৫ টাকা, দেশি সাদা আলু ২৫-৩০ টাকা এবং বগুড়ার লাল পাগড়ি ৩৫-৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মুরগির বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগি গত সপ্তাহের মতোই ১৭০-১৮০ টাকা, পাকিস্তানি সোনালী মুরগি ২৮০-৩২০ টাকা, পাকিস্তানি এবং দেশি মুরগি ৪৮০-৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে গরুর মাংস অপরিবর্তিত ৭২০-৭৫০ টাকা এবং ছাগলের মাংস ১০০০-১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

খুচরা বাজারে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল আগের মতো ১৮৫-১৯০ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৮০-২০০ টাকা, মসুর ডাল (চিকন) ১৫০-১৬০ টাকা, মাঝারি ১০০-১১০ টাকা, মুগডাল ১৬০-১৮০ টাকা, বুটের ডাল ১২০-১৩০ টাকা, খোলা চিনি ১১০ টাকা, ছোলাবুট ১০০-১১০ টাকা, প্যাকেট আটা ৫৫ টাকা, খোলা আটা ৪৫-৫০ টাকা এবং ময়দা ৬৫-৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

চালের বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহের মতোই স্বর্ণা (মোটা) ৪৮-৫০ টাকা, স্বর্ণা (চিকন) ৫৮-৬০ টাকা, বিআর২৮- ৭০-৭৫ টাকা, বিআর২৯- ৬০-৬৫ টাকা, জিরাশাইল ৭২-৭৫ টাকা, মিনিকেট ৮২-৮৫ এবং নাজিরশাইল ৮৫-৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, আকারভেদে রুইমাছ ৩০০-৩৮০ টাকা, টেংরা ৪০০-৫৬০ টাকা, মৃগেল ২২০-২৫০ টাকা, কারপু ২৫০-২৬০ টাকা, পাঙাশ ১৫০-২০০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০-২৫০, কাতল ৩০০-৫০০ টাকা, বাটা ১৮০-২৪০ টাকা, শিং ৩০০-৪০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৮০-২৬০ টাকা এবং গছিমাছ ৮০০-১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

জিতু কবীর/এমএন/জিকেএস

Read Entire Article