কয়েক মাস ধরে টানা উচ্চ দামে থাকা রাজশাহীর সবজির বাজারে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। এক সময় যেখানে অধিকাংশ সবজি ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল, সেখানে এখন দাম নেমে এসেছে ৫০-৮০ টাকার মধ্যে।
বিক্রেতারা বলছেন, মাঠে নতুন সবজি উঠতে শুরু করেছে, শীত পুরোপুরি নামলে দাম আরও কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) সকালে রাজশাহীর সাহেববাজার, ভদ্রা ও লক্ষ্মীপুর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ সবজিতেই আগের তুলনায় ২০-৩০ টাকা পর্যন্ত কমেছে দাম। বাজারে প্রতি কেজি করলা ৬০-৭০ টাকা, ঢেঁড়শ ৫০ টাকা, বরবটি ৭০ টাকা, চিচিঙ্গা ৩০ টাকা, ঝিঙে ৫০ টাকা, ধন্দুল ৫০ টাকা, গোল বেগুন ৮০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, শিম ১০০ টাকা, পেঁপে ২০ টাকা, লাউ ৫০ টাকা (প্রতি পিস), ফুলকপি ৫০ টাকা (ছোট), বাঁধাকপি ৪০ টাকা (ছোট), মূলা ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকা, কচু ৩৫ টাকা, কাঁচামরিচ ১৬০ টাকা, টমেটো ১১০ টাকা, গাজর ৮০ টাকা এবং আলু ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
জানা গেছে, বাজারে ক্রেতাদের মাঝে কিছুটা স্বস্তি ফিরলেও টমেটো, গাজর ও কাঁচামরিচের মতো কিছু পণ্যের দাম এখনো বেশি, তবে সামগ্রিকভাবে সবজির বাজার কিছুটা শান্ত হয়েছে।
নগরীর ভদ্রা এলাকার বাসিন্দা জামাল উদ্দিন বলেন, গত কয়েক মাস ধরে বাজারে ঢুকলেই ভয়ে পেয়ে যেতাম, সবজির দামে যেন আগুন। এখন কিছুটা স্বস্তি লাগছে। বেশিরভাগ সবজি ৫০-৮০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে, যদিও কিছু সবজি এখনো ১০০ টাকায় রয়ে গেছে।

সাহেববাজারের সবজি বিক্রেতা আব্দুল খালেক জানান, নতুন সবজি উঠছে মাঠে। সরবরাহ বাড়ায় দামও কমে এসেছে। শীত পড়লে নতুন সবজি আরও বেশি আসবে, তখন দাম আরও কমে যাবে।
এদিকে অপরিবর্তিত রয়েছে মাছের মাংসের বাজার। বাজারে রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩৬০-৩৮০ টাকা, পোয়া মাছ ৬০০ টাকা, মৃগেল মাছ ২৮০ টাকা, তেলাপিয়া ২৫০ টাকা, এক কেজি থেকে কিছুটা বেশি পাঙাশের দাম ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, দেড় কেজির বেশি পাঙাশের দাম ২৫০ টাকা। এছাড়া শিং মাছ সাড়ে ৫০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা। চিংড়ি মাছ ৯০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা। বোয়াল ৮০০-১০০০ টাকা, কোরাল ৮৫০-৯০০ টাকা, আইড় ৭০০-৮০০ টাকা, কাতল ৪৫০ টাকা।
অন্যদিকে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০-১৮০ টাকায়, আর সোনালি মুরগির কেজির জন্য গুনতে হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা। এছাড়া লাল লেয়ার কেজিপ্রতি ৩২০ টাকা ও দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৫৫০-৬০০ টাকায়। এক ডজন ব্রয়লার মুরগির ডিমের দাম এখন ১৪০-১৪৫ টাকা। সাদা ডিম ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা।
বাজারে মিনিকেট চাল প্রকারভেদে ৮২ থেকে ৯২ টাকা এবং নাজিরশাইল ৮৪ থেকে ৯০ টাকা, স্বর্ণা ৬২ থেকে ৬৫ টাকা এবং ব্রি২৮ বিক্রি হচ্ছে ৭২ থেকে ৭৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশি পেঁয়াজ ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারগুলোতে আদা ১০০ টাকা, রসুন দেশি ১০০ টাকা, দেশি মশুর ডাল ১২৫ টাকা, ছোলা ১০০ টাকা, খেসারির ডাল ১১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। চিনি ১২০ টাকা কেজি, সয়াবিন তেল খোলা ১৬৫, বোতলজাত ১৭৫ টাকা লিটার বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে চলতি সপ্তাহে মাছের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। এছাড়াও গরুর মাংস প্রতিকেজি ৭৫০ টাকা ও খাসির মাংস ১১০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
সাখাওয়াত হোসেন/এমএন/জেআইএম

3 days ago
11









English (US) ·