লতিকচু চাষে আলোর মুখ দেখছেন রফিকুল

2 weeks ago 7

লতিকচু চাষে আলোর মুখ দেখেছেন মাগুরার শালিখা উপজেলার তালখড়ি ইউনিয়নের কুশখালি গ্রামের রফিকুল ইসলাম। এ বছর প্রায় লক্ষাধিক টাকার লতিকচু বিক্রি হবে বলে আশা করছেন তিনি।

প্রান্তিক কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান, এ বছর ৭৩ শতক জমিতে লতিকচু চাষ করেছেন। জমিতে আশানুরূপ ফলন হওয়ায় তিনি খুব খুশি। বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে জমি ভালোভাবে চাষ দিয়ে লতিকচু আবাদ করতে হয়। দুই মাস পর চারা গাছ বড় হলে জমিতে সেচ দিতে হয়। লতিকচু কাদা-দোআঁশ মাটিতে চাষ করলে ভালো হয়। চাষে পর্যাপ্ত পানির দরকার হয়। পানি কম হলে কচু বৃদ্ধি পায় না। তাই নিয়মিত সেচ দেওয়ার পাশাপাশি পানি বেশি প্রয়োজন।

তিনি বলেন, ‘গত বছর আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় চাষ নানা ভাবে ব্যাহত হয়েছিল। উৎপাদন খরচের তুলনায় ফলন ভালো না হওয়ায় সফলতা পাইনি। চলতি বছর ৭৩ শতক জমিতে চাষ হয়েছে। এতে মোট উৎপাদন খরচ হয়েছে ৬০ হাজার টাকা। আশা করছি এ বছর ৮০-৯০ হাজার টাকার লতিকচু বিক্রি করতে পারবো।’

আরও পড়ুন
ঘাস থেকে গুড় তৈরি করে স্বাবলম্বী খাদিজা বেগম
শেকড় প্রযুক্তিতে ১০ গুণ বেশি সবজি চাষে বাজিমাত

পরিশ্রম সম্পর্কে রফিকুল বলেন, ‘লতিকচু চাষে বেশ পরিশ্রম। উত্তোলনের সময় জমিতে ৫-৬ জন শ্রমিক লাগে। জমি কাদাপূর্ণ হওয়ায় মাটির নিচ থেকে উত্তোলন করতে হয়। অনেক সময় শ্রমিক না পাওয়ায় উত্তোলন করতে পারি না। অনেক শ্রমিক কাদার ভেতর থেকে উত্তোলন করতে চান না। উত্তোলন শেষে ময়লা পরিষ্কার করে ভালোভাবে পানিতে ধুয়ে নিতে হয়। ওপরের অংশে যে লতি থাকে; সেটা আলাদা করতে হয়। তারপর কচু এবং লতি দুইভাবে বিক্রি করি। কার্তিক মাসের শেষদিকে কচু উত্তোলন করি।’

তিনি আরও বলেন, ‘কৃষি বিভাগ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো সহযোগিতা পাইনি। নিজের চেষ্টা ও পরিশ্রমে চাষ করি। গ্রামের অধিকাংশ চাষিই কচু চাষে আগ্রহী কম। তবে এখন গ্রামের অনেকেই চাষ করছেন। কচুর লতি খেতে খুবই ভালো এবং স্বাস্থ্যকর। আমরা মাগুরার বিভিন্ন হাট-বাজারে মহাজনদের কাছে পাইকারি বিক্রি করি। অনেক সময় অনেক মহাজন জমিতে এসে লতি ও কচু সংগ্রহ করে নিয়ে যান।’

মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (শস্য) মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ‘লতিকচু চাষ জেলায় খুবই কম। তবে শ্রীপুর ও শালিখা উপজেলায় চাষ বেশি হয়। আমরা এ চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করছি। সাথে সাথে সার্বিক সহযোগিতা করছি।’

মো. মিনারুল ইসলাম জুয়েল/এসইউ/এমএস

Read Entire Article