লাশের গন্ধে ভারী সুদানের আকাশ, আহমাদুল্লাহর ৫ প্রশ্ন 

3 hours ago 7

সুদানের উত্তর দারফুর রাজ্যের আকাশে এখন ভেসে বেড়াচ্ছে ধোঁয়ার কুণ্ডুলি আর বাতাসে মিশে আছে যেন মৃত্যুর গন্ধ। রাজ্যটির রাজধানী এল-ফাশের শহরের রাস্তাগুলো এখন নিস্তব্ধ কবরস্থানে পরিণত হয়েছে, যেখানে মানুষের কান্নার শব্দও হারিয়ে গেছে।

শহরটি গত সপ্তাহে দখল করে নেয় আধা-সামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)। এ সময় তারা কমপক্ষে ১,৫০০ মানুষকে হত্যা করে। শুধু একটি হাসপাতালে নিহত হয় প্রায় ৪৬০ জন।

কয়েক দিন আগেও শান্ত-জীবন্ত শহরটি এখন মৃতদেহের স্তূপে ভরে গেছে। অবস্থা এতটাই শোচনীয়, সেগুলো দাফন করারও কেউ নেই। মর্মান্তিক এই পরিস্থিতে প্রশ্ন উঠছে ‘বিশ্ব বিবেক’ নিয়ে। প্রশ্ন তুলেছেন বাংলাদেশের প্রখ্যাত ইসলামি স্কলার শায়খ আহমাদুল্লাহও।

শনিবার (১ নভেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ‘বিশ্বের বৃহত্তম মানবিক সংকটে পড়েছে আফ্রিকার দেশ সুদান। গত তিন দিনে অন্তত দেড় হাজার মানুষকে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা, যার মধ্যে হাসপাতালের প্রায় পাঁচশ রোগী এবং তাদের স্বজনও রয়েছে। শুধু তাই নয়, ২০২৩ সালে শুরু হওয়া সংঘাতে এখন পর্যন্ত দেড় লাখের বেশি মানুষ মারা গেছে। এছাড়া সন্ত্রাসীদের ভয়ে দেশটির প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘দরিদ্র দেশটিতে এতবড় মানবিক বিপর্যয় চলছে অথচ বিপর্যয়ের তুলনায় মানবাধিকার সংস্থাগুলোর কার্যকর কোনো তৎপরতা চোখে পড়েনি। আফ্রিকায় শান্তিরক্ষা মিশনের উদ্দেশ্য নিয়ে সচেতন মানুষের মনে নানামুখী প্রশ্ন রয়েছে। সেই প্রশ্নই কি তবে সত্য? শান্তিরক্ষার নামে আফ্রিকায় তাদের কাজ কি তবে শুধুই নিজেদের আখের গোছানো?’

আহমাদুল্লাহ আরও বলেন, শান্তিরক্ষা নামের সার্থকতা রক্ষার্থেও কি তারা সুদানের সহিংসতা বন্ধে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেবে না? এই একই ঘটনা উন্নত কোনো দেশে সংঘটিত হলে পৃথিবীজুড়ে যে তোলপাড় শুরু হতো এবং যে পরিমাণ মিডিয়া কাভারেজ পেত, তার সিকিভাগ মনোযোগও কি পাচ্ছে সুদান? গরিব এবং মুসলমান বলেই কি কথিত সভ্যদের কাছে তাদের জীবনের কোনো দাম নেই?

Read Entire Article