মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার শত্রুদের বিরুদ্ধে ফেডারেল আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ব্যবহার করছেন। এমনটাই মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রের অর্ধেকেরও বেশি নাগরিক।
রয়টার্স/ইপসস পরিচালিত সর্বশেষ এক জরিপে দেখা গেছে, ট্রাম্পের দ্বিতীয় দফার মেয়াদের নয় মাস পার হতে না হতেই রাজনৈতিক বিভাজন নিয়ে উদ্বেগও বেড়েছে।
জরিপ অনুযায়ী, ৫৫ শতাংশ অংশগ্রহণকারী একমত হয়েছেন যে ট্রাম্প তার শত্রুদের টার্গেট করতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে ব্যবহার করছেন, যেখানে ২৬ শতাংশ একমত নন, আর বাকি অংশ অনিশ্চিত বা কোনো মতামত দেননি।
দলীয়ভাবে দেখলে, ৮৫ শতাংশ ডেমোক্র্যাট এবং ২৯ শতাংশ রিপাবলিকান অংশগ্রহণকারী এই মতের পক্ষে ছিলেন।
গত এক মাসে ট্রাম্প প্রশাসনের বিচার বিভাগ প্রেসিডেন্টের তিনজন বিশিষ্ট রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক অভিযোগ এনেছে — সাবেক এফবিআই পরিচালক জেমস কোমি, নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিশিয়া জেমস, এবং সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন। তারা সবাই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
ঐতিহাসিকভাবে, মার্কিন বিচার বিভাগ প্রেসিডেন্টের থেকে একটি নিরপেক্ষ দূরত্ব বজায় রাখে, যাতে অভিযোগ তদন্তের স্বাধীনতা অক্ষুণ্ণ থাকে।
২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তিনি নিজের শত্রুদের শাস্তি দেবেন। কোমি ও জেমসের প্রতি তার বিশেষ অসন্তোষ ছিল, কারণ তারা অতীতে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্ত পরিচালনা করেছিলেন, যা তিনি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেন।
জরিপে আরও উঠে এসেছে যে দেশটি গভীরভাবে বিভক্ত এবং এই রাজনৈতিক বিভাজন নিয়ে সাধারণ মানুষ বেশ চিন্তিত।
প্রায় ৬৭ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, তারা যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক বিভাজন ও সংঘাত নিয়ে উদ্বিগ্ন। এর মধ্যে ৪৩ শতাংশ বলেছেন তারা ‘অত্যন্ত উদ্বিগ্ন’, যা ২০২৩ সালের অক্টোবরের ৩৯ শতাংশ থেকে বেড়েছে।
ট্রাম্পের বর্তমান মেয়াদে উচ্চমাত্রার রাজনৈতিক সহিংসতা দেখা গেছে — যার মধ্যে রয়েছে এক ডেমোক্র্যাটিক আইনপ্রণেতা ও এক রিপাবলিকান কর্মীর হত্যাকাণ্ড, এবং পেনসিলভানিয়ায় ট্রাম্পের ওপর হামলা যেখানে তিনি আহত হন।
জরিপে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৩১ শতাংশ রিপাবলিকান, ২৮ শতাংশ ডেমোক্র্যাট, এবং ৪১ শতাংশ স্বতন্ত্র বা কোনো দলের সঙ্গে যুক্ত নন।
এমএসএম

3 weeks ago
10








English (US) ·