শান্তি ও অহিংসার বার্তা নিয়ে আইএসইউতে অনুপ্রেরণামূলক সেমিনার 

9 hours ago 7
শান্তি ও অহিংসার মাধ্যমে ব্যক্তি ও সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনের বার্তা ছড়িয়ে দিতে ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটিতে (আইএসইউ) অনুষ্ঠিত হয়েছে এক অনুপ্রেরণামূলক সেমিনার।  বুধবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাখালী ক্যাম্পাসে আয়োজিত এ সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ফ্যাকাল্টি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির ডিন অধ্যাপক ড. মো. আবুল কাসেম। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার খ্যাতিমান অধ্যাপক ও মানবতাবাদী চিন্তাবিদ ডিক্লেয়ার আর্নাল্ডো ম্যান্দেজ হেগ। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আইএসইউ উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল আউয়াল খান, পাকিস্তানের পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এরশাদ আহমেদ মুঘল, হিউম্যানিস্ট মুভমেন্টের আন্তর্জাতিক সমন্বয়ক একেএম সামছুদ্দোহা পাটোয়ারীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। প্রধান বক্তা ডিক্লেয়ার আর্নাল্ডো ম্যান্দেজ হেগ বলেন, টেকসই শান্তির সূচনা হয় ব্যক্তিগত পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে। তিনি মনে করিয়ে দেন, ব্যক্তি ও সমাজের উন্নয়ন একে অপরের পরিপূরক— একটিকে বাদ দিয়ে অন্যটি অর্জন করা সম্ভব নয়।  সামাজিকমাধ্যমে সহিংস আচরণের প্রবণতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, সহিংসতা কেবল সহিংসতাকেই জন্ম দেয়। এ ছাড়া মানসিক প্রশান্তি বজায় রাখতে ধ্যান, আত্মনিয়ন্ত্রণ ও ইতিবাচক বিনোদনের চর্চার পরামর্শ দেন তিনি। সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মো. আবুল কাসেম বলেন, নিজেদের এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে যেন আচরণে পরিবার ও সমাজের ওপর কোনো নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে। সামাজিক পরিবর্তন একদিনে আসে না; ব্যক্তিগত শুদ্ধতার মধ্য দিয়েই শুরু হয় বড় পরিবর্তন। অধ্যাপক এরশাদ আহমেদ মুঘল বলেন, আমরা এমন এক বিশ্ব চাই যেখানে যুদ্ধ বা সংঘাত থাকবে না। শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য মানবতার বোধকে এগিয়ে আনতে হবে। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. ফাইজুল্লাহ কৌশিক। সঞ্চালনা করেন সুলতানা মুশফিকা রহমান। আইএসইউর বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা এ আয়োজনে অংশগ্রহণ করেন। এ সময় বক্তারা শিক্ষার্থীদের নানা প্রশ্নের উত্তর প্রদান করেন।
Read Entire Article