সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে দীর্ঘ ১৩ বছর আগে শাশুড়িকে গলা টিপে হত্যার দায়ে পুত্রবধূ আফরোজা খাতুনকে মৃত্যুদণ্ড ও তার পরকীয়া প্রেমিক লিয়াকত হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একই সঙ্গে আফরোজাকে এক লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং লিয়াকতকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রোববার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে সিরাজগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-৩ এর আদালতের বিচারক মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আফরোজা খাতুন একই জেলার কামারখন্দ উপজেলার রসুলপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মালেকের স্ত্রী। অপরদিকে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি লিয়াকত হোসেন বেলকুচি উপজেলার সুবর্ণসাড়া গ্রামের ওসমান শেখের ছেলে।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাড. হামিদুল ইসলাম দুলাল রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, আসামি আফরোজা খাতুন পলাতক রয়েছে। তবে লিয়াকত হোসেন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, আফরোজা খাতুন জেলার বেলকুচি উপজেলার জিধুরী গ্রামের শেখ সুলতানের সৎ ছেলে মৃত আব্দুল মালেকের স্ত্রী। তিনি ঢাকার একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। সেই সঙ্গে বিভিন্ন অসামাজিক কাজে জড়িয়ে পড়েন। এ নিয়ে আফরোজা খাতুন ও তার স্বামীর পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এক পর্যায়ে ২০০৬ সালে স্বামী আব্দুল মালেক মারা যান। এতে আফরোজা খাতুন আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেন। ২০১২ সালের ১৭ অক্টোবর আফরোজা শশুরবাড়িতে বেড়াতে আসে। খাওয়া-দাওয়া শেষে সন্ধ্যায় শাশুড়ি রাবিয়া খাতুনকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর তারা আর ফিরে আসেনি। পরদিন ১৮ অক্টোবর বাড়ির পাশে সেতুর ডোবা থেকে রাবিয়া খাতুনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পরে নিহতের স্বামী শেখ সুলতান বাদী হয়ে আফরোজা খাতুন ও তার পরকীয়া প্রেমিক লিয়াকত হোসেনসহ তিনজনকে আসামি করে বেলকুচি থানায় হত্যা মামলা করেন। পরে পুলিশ আফরোজা খাতুনকে গ্রেফতার করলে সে তার শাশুড়িকে গলা টিপে হত্যার দায় স্বীকার করেন।
মামলার তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ১ জুলাই দুজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। দীর্ঘ সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আজ রায় দেন আদালত।
এম এ মালেক/এএইচ/জিকেএস

2 weeks ago
6









English (US) ·