গণফোরামের ইমেরিটাস সভাপতি ও সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেন বলেছেন, সংবিধান হচ্ছে রাষ্ট্র পরিচালনার দলিল। বিগত ৫৩ বছর ধরে এই সংবিধানে নানা পরিবর্তন হয়েছে। এটি সংস্কার একটি সংবেদনশীল বিষয়। এই প্রক্রিয়াটি অবশ্যই জনগণের মতামতের ভিত্তিতে পরিচালিত হওয়া উচিত।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ৪ নভেম্বর সংবিধান দিবস উপলক্ষে গণফোরাম আয়োজিত ‘বাংলাদেশের সংবিধান ও সংস্কার প্রস্তাব’ শীর্ষক আলোচনা সভায় লিখিত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তার পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক ডা. মিজানুর রহমান।
তিনি বলেন, কোনো ব্যক্তিই এককভাবে সংবিধান পরিবর্তন করার অধিকার রাখেন না। সংস্কারের প্রস্তাবগুলোতে অবশ্যই জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন হতে হবে এবং সমাজের বর্তমান চাহিদার সঙ্গে আমাদের মৌলিক মূল্যবোধের সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে।
ড. কামাল বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে সংবিধান পর্যালোচনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে যে কোনো সংস্কারের সময় আমাদের মনে রাখতে হবে, সংবিধান আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশের ভিত্তি, বাংলাদেশের সব মানুষের ত্যাগ ও একতাবদ্ধ আকাঙ্ক্ষার ফসল।
ড. কামাল বলেন, সরকারের স্বৈরতান্ত্রিক আচরণ এবং গণতন্ত্রহীনতার জন্য শুধু সংবিধানকে দায়ী করার প্রবণতা থেকে বের হতে হবে। বরং সরকার ও রাজনৈতিক দলের মধ্যে গণতন্ত্র অনুশীলন সর্বাগ্রে গুরুত্ব দিতে হবে। বিগত সময়ে দেশের যেসব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান দলীয়করণের ফলে জনআকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে, সেগুলো সংস্কার জরুরি। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এ বিষয়ে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে না পারলে গণতন্ত্র কখনোই প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করবে না।
কেএইচ/এমআইএইচএস

15 hours ago
11









English (US) ·