সন্ত্রাসী কার্যকলাপের দায়ে বিএনপির মনোনয়নবঞ্চিতসহ ৫ নেতা বহিষ্কার

4 hours ago 5

ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনে মনোনয়নের জেরে বিএনপির দুই পক্ষের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ভাঙচুরের ঘটনার পর মনোনয়নবঞ্চিত আহাম্মদ তায়েবুর রহমান হিরনসহ ৫ নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

রোববার (৯ নভেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তাদের বহিষ্কার করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে দলের অভ্যন্তরে হাঙ্গামা, সহিংসতা, রক্তপাতসহ সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করার জন্য ময়মনসিংহ জেলাধীন গৌরীপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আহাম্মদ তায়েবুর রহমান হিরন, যুগ্ম-আহ্বায়ক তাজুল ইসলাম খোকন, সদস্য মাসুদ পারভেজ কার্জন, গৌরীপুর পৌর বিএনপির সদস্যসচিব সুজিত কুমার দাস ও যুগ্ম-আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান পলাশকে দলের প্রাথমিক সদস্যসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে আহাম্মদ তায়েবুর রহমান হিরন জাগো নিউজকে বলেন, আমার বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষ কেন্দ্রে ভুল তথ্য দিয়েছে। কেন্দ্র সঠিকভাবে যাচাইবাছাই করেনি বলেই বহিষ্কার করা হয়েছে। আশা করছি, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও দলের মহাসচিব গৌরীপুর আসনের দিকে নজর দেবেন। আমি যদি বর্তমান মনোনয়ন পাওয়া ইকবাল হোসেনের চেয়ে বেশি জনপ্রিয় হয়ে থাকি ও সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়, আমার অনুসারীরা শান্তিপূর্ণ মহিলা সমাবেশ করাকালীন সময় ইকবাল হোসেনের কর্মী-সমর্থক হামলা করে থাকে তাহলে আমার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হোক এবং আমাকে মনোনয়ন দেওয়া হোক।

আরও পড়ুন:
ময়মনসিংহে বিএনপির সমাবেশে সংঘর্ষ, ‘হার্ট অ্যাটাকে’ ছাত্রদল কর্মীর মৃত্যু

তিনি আরও বলেন, আমি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান থেকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। এখন সব শ্রেণি-পেশার মানুষ আমাকেই এমপি হিসেবে দেখতে চাচ্ছে। তাদের চাওয়ার কারণেই মনোনয়ন চেয়েছি। আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে আমি সবচেয়ে বেশি হামলা মামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছি। অনেকবার গ্রেফতার হয়ে পরিবার ছেড়ে কারাগারে থাকতে হয়েছে। এখন দল আমাকে বহিষ্কার করেছে। এর চেয়ে দুঃখজনক আর কিছু হতে পারে না। দল পুনঃবিবেচনা করবে এমনটাই আমি আশা করছি।

এর আগে এদিন বিকেলে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও গৌরীপুর আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার এম ইকবাল হোসেনের কর্মী-সমর্থক ও মনোনয়নবঞ্চিত আহমেদ তায়েবুর রহমান হিরনের সমর্থকদের মধ্যে মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। একপর্যায়ে হিরনের সমর্থকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এসময় মহিলা সমাবেশের মঞ্চ ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। পরে দুই পক্ষের কর্মী-সমর্থকদের সংঘর্ষ, দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা-ধাওয়ায় অন্তত ১৫ জন আহত হন। তাদের মধ্যে ৮ জনকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

এছাড়া সংঘর্ষের আগে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ইকবাল হোসেনের সমাবেশে এসেছিলেন তানজিন আহমেদ আবিদ নামে এক ছাত্রদল কর্মী। পরে সংঘর্ষের সময় সড়কে থাকা তানজিন আহমেদ আবিদ স্ট্রোক করে মারা যান। এ ঘটনায় দলীয় নেতাকর্মীসহ মৃতের স্বজনদের মধ্যে শোকাবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

কামরুজ্জামান মিন্টু/এমএন/এএসএম

Read Entire Article