সিরাজগঞ্জে ছয় দাবিতে মিল্কভিটায় দুধ সরবরাহ বন্ধ খামারিদের

6 hours ago 4

ছয় দফা দাবিতে সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ি মিল্কভিটায় দুধ সরবরাহ বন্ধ রেখেছে সমবায়ী খামারিরা। রোববার (২ নভেম্বর) সকাল থেকে দাবি আদায়ে এই কর্মসূচি পালন করছেন তারা। খামারিদের উৎপাদিত দুধ স্থানীয় ঘোষদের কাছে বিক্রি করছেন।

খামারিদের দাবি গুলো হলো- দুধের দাম প্রতি লিটারে ১০ টাকা বৃদ্ধি, এমডির অপসারণ, সমবায়বান্ধব কমিটি গঠন, অসাধু কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, ন্যায্য মূল্যে গো-খাদ্য সরবরাহ এবং এলএফএআইদের বেতন বৃদ্ধি ও কৃত্রিম প্রজননের সুবিধা নিশ্চিতকরণ।

এর আগে গত ২৫ অক্টোবর দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায়ীরা এ ছয় দফা দাবি আদায়ে সাত দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে রোববার (২ নভেম্বর) থেকে দুধ সরবরাহ বন্ধের ঘোষণা দেন।

বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেডের আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, প্রায় তিন মাস যাবৎ মিল্কভিটার কোনো কমিটি নেই। পরপর দুই বার অসমবায়ীদের দ্বারা এডহক কমিটি গঠন করে মিল্কভিটা পরিচালিত হয়ে আসছিল। এই এডহক কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হলেও তারা এখনও বহাল তবিয়তে রয়েছেন। বর্তমান এমডি জাহিদুল ইসলাম সমবায়ী নন। ফলে তিনি সমবায়ীদের স্বার্থে কোনো কাজই করছেন না।

সিরাজগঞ্জে ছয় দাবিতে মিল্কভিটায় দুধ সরবরাহ বন্ধ খামারিদের

তিনি আরও বলেন, সমবায়ীরা দুধের ন্যায্য মূল্য না পেয়ে পথে বসার উপক্রম হয়েছে। এরই মধ্যে অনেক সমবায়ী তাদের গবাদিপশু বিক্রি করে দুগ্ধ উৎপাদন থেকে অন্য পেশায় চলে গেছেন। অথচ মিল্কভিটা সমবায়ীদের কাছ থেকে প্রতি লিটার দুধ ৪৮-৫১ টাকায় কিনে ১০০ টাকায় বিক্রি করছে। আর আমরা দীর্ঘদিন ধরে প্রতি লিটার দুধে ১০ টাকা বৃদ্ধির দাবি করলে তারা আমলে না নিয়ে উল্টো কর্মকর্তাদের ২০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি করেছেন। তাদের ছয় দফা দাবি না মানা পর্যন্ত তারা মিল্ক ভিটায় দুধ দিবেন না বলে জানান তিনি।

মিনা ডেইরি ফার্মের মালিক মাহফুজা খাতুন মিনা জানান, তার দুটি ডেইরিতে প্রতিদিন ২৫০ থেকে ৩০০ লিটার দুধ উৎপাদন হয়। কিন্তু মিল্ক ভিটায় ন্যায্য দাম না পেয়ে সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছেন। এখন তিনি নিয়মিতভাবে খোলাবাজারেই দুধ বিক্রি করছেন।

এ প্রসঙ্গে শাহজাদপুর উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. বিল্লাল হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, এ উপজেলায় ছোট বড় মিলে প্রায় ২৫-৩০ হাজার গো-খামার রয়েছে। যা থেকে দৈনিক দৈনিক প্রায় পাঁচ লাখ লিটার দুধ উৎপাদিত হয়। এসব দুধ সমবায়ী খামারিদের মাধ্যমে মিল্কভিটা প্রতিদিন গড়ে দেড় লাখ লিটার দুধ সংগ্রহ করে। বাকি সাড়ে তিন লাখ লিটার দুধ বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, স্থানীয় ঘোষ মিষ্টি ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেন।

এম এ মালেক/এমএন/জেআইএম

Read Entire Article