সুপারসনিক বিমানের সফল পরীক্ষা, কী আছে এতে
বাণিজ্যিক বিমানযাত্রায় নতুন দিগন্ত খুলে দিতে যাচ্ছে নাসার এক্স-৫৯ সুপারসনিক বিমান। একপ্রকার নীরবেই হয়ে গেল এ বিমানের উড্ডয়নমূলক পরীক্ষা। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) ক্যালিফোর্নিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে একটি মরুভূমিতে বিমানটির সফল পরীক্ষা চালানো হয়। শব্দের চেয়ে কয়েকগুণ গতিতে চললেও বিমানটিতে শব্দের মাত্রা নিয়ন্ত্রণেই রাখা হয়েছে। অত্যন্ত চকচকে সুপারসনিক বিমানটি নাসার জন্য তৈরি করেছে অ্যারোস্পেস ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লকহিড মার্টিন।
বিমানটি ঘণ্টাখানেক আকাশে ওড়ার পর এটি নাসার আর্মস্ট্রং ফ্লাইট রিসার্চ সেন্টারের কাছে একটি এয়ার ফোর্স বেসে নিরাপদে অবতরণ করে। এ সময় বাণিজ্যিক এই বিমানটির সঙ্গে নাসার একটি চেজ প্লেনও ছিল। সুপারসনিক বিমানটিতে অনন্য এক নকশা জুড়ে দেওয়া হয়েছে। কারণ, এ ধরনের বিমানে শব্দের মাত্রা থাকে অসহনীয়। ফলে এ বিষয়টি মাথায় রেখে শব্দের মাত্রা এমনভাবে কমিয়ে আনা হয়েছে, যেমন একটি গাড়ির দরজা জোরে বন্ধ করতে যে শব্দ শোনা যায়। সেই শব্দই এখানে উৎপন্ন হবে।
সুপারসনিক এই বিমানটি তৈরিতে ২০১৮ সাল থেকে নাসা লকহিড মার্টিনকে অন্তত ৫১৮ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছে। বিমানটির নকশা তৈরির করার পর বাস্তবে রূপ দেওয়া ছিল অত্যন্ত কষ্টসাধ্য। একক ইঞ্জিনবিশিষ্ট এই বিমানটির দৈর্ঘ্য ১০০ ফুট বা ৩০ মিটার।
এটির পরীক্ষামূলক উড্ডয়নের সময় গতি ছিল ঘণ্টায় ২৩০ মাইল বা ৩৭০ কিলোমিটার। এ ছাড়া উড্ডয়নের সময় এর উচ্চতা ছিল ১২ হাজার ফুট। তবে লকহিড মার্টিনের তথ্যানুযায়ী, এক্স-৫৯ বিমানটি ৫৫ হাজার ফুট উচ্চতায় ঘণ্টায় ৯২৫ মাইল বা ১ হাজার ৪৯০ কিলোমিটার গতিতে চলতে সক্ষম, যা সাধারণ যাত্রীবাহী বিমানের তুলনায় দ্বিগুণ উচ্চতায় এবং প্রায় দ্বিগুণ গতিতে উড়তে পারে।

14 hours ago
6









English (US) ·