সৌম্য-সাইফকেই কৃতিত্ব দিলেন মিরাজ

2 weeks ago 11

দিন শেষে ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠলো বাঁহাতি টাইগার ওপেনার সৌম্য সরকারের হাতে। তাই বলে তার ওপেনিং পার্টনার সাইফ হাসানের ভূমিকাকেও খাটো করে দেখার কিছু নেই। কেউ তা করছেনও না। সবার একটাই কথা, সৌম্য-সাইফের অমন আক্রমণাত্মক ব্যাটিং এবং উদ্বোধনী জুটিতে ২৫.২ ওভারে ১৭৬ রান তুলে দেওয়ার কারণেই বাংলাদেশ পেয়েছে ২৯৬ রানের বিশাল পুঁজি।

যাতে সৌম্য সরকারের অবদান ছিল ৮৬ বলে ৪ ছক্কা ও ৬ বাউন্ডারিতে ৯১ (স্ট্রাইক রেট ১১১.১১)। আর সাইফ হাসান উপহার দিয়েছেন সমান ৬ ছক্কা ও ৬ বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ৭২ বলে ৮০ রানের ঝোড়ো ইনিংস। স্ট্রাইক রেট ১০৫.৮১।

এই জুটি ভাঙার পরও বাংলাদেশের ইনিংসে আরও ২৪.৪ ওভার, মানে ১৪৮ বল। ৯ উইকেট হাতে রেখে ওই ডেলিভারিগুলো থেকে বল পিছু রান তুললেও (১৭৬+১৪৮) বাংলাদেশের স্কোর হতো ৩২৪। কিন্তু তাওহিদ হৃদয়, নাজমুল শান্ত, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, রিশাদ হোসেন, নাসুম আহমেদ, মেহেদী হাসান মিরাজ ও নুরুল হাসানরা তা পারেননি।

তাই ৫০ ওভার শেষে স্কোর গিয়ে থামে ২৯৬-এ। এই পিচে সেটাই যে অনেক। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটাররা সেই বিশাল টার্গেট সামনে রেখে কিছুই করতে পারেনি। মাত্র ১১৭ রানেই থেমে যায় শাই হোপ বাহিনীর ইনিংস।

তার মানে পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে সৌম্য সরকার আর সাইফ হাসানের ওই উদ্বোধনী জুটিই সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে আজ জিতিয়েছে বাংলাদেশকে।

খুব স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচ শেষে টাইগার ক্যাপ্টেন মেহেদি হাসান মিরাজের মুখে সৌম্য আর সাইফের প্রশংসা। সংবাদ সম্মেলনে কথা বলতে এসে বাংলাদেশ অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ বলেন, ‘আমরা অনেক দিন পারিনি। সৌম্য আর সাইফের আগ্রাসী ব্যাটিং আজকের ম্যাচে আমাদের জিততে খুব বড় ভূমিকা রেখেছে।’

সৌম্য ও সাইফ শুরু থেকেই ঝুঁকি নিয়ে অনেক আক্রমণাত্মক শট খেলেছে উল্লেখ করে মিরাজ বলেন, ‘আমাদের স্কোরলাইন দেখে মনে হতে পারে উইকেট খুব সহজ ছিল। কিন্তু সৌম্য আর সাইফ অনেক হিসেব-নিকেশ করে তবেই বাড়তি নিয়ে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেই হিসেব সহজ করে ফেলেছে।’

‘এক কথায়, অনেক ক্যালকুলেটিভ রিস্ক নিয়েছে সৌম্য ও সাইফ। সেই ক্যালকুলেটিভ রিস্কি শটগুলোর কারণেই তাদের দুজনের পক্ষে বড় বড় ইনিংস খেলা সহজ হয়েছে। যা আমাদেরও বড়সড় স্কোর গড়তে রেখেছে সহায়ক ভূমিকা।’

এআরবি/এমএমআর/জেআইএম

Read Entire Article