হাসিনার অপরাধের প্রমাণ হিমালয়ের মতো দৃঢ়, ক্রিস্টালের মতো স্বচ্ছ

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আদালতে যে প্রমাণ দেওয়া হয়েছে তা হিমালয়ের মতো দৃঢ় ও ক্রিস্টালের (স্ফটিক) মতো স্বচ্ছ বলে দাবি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘পতিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আমরা এই মামলার অভিযোগ প্রমাণের জন্য যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ আদালতে দাখিল করেছি। এসব তথ্য-প্রমাণ হিমালয়ের মতো দৃঢ়, ক্রিস্টালের মতো স্বচ্ছ। পৃথিবীর যেকোনো আদালতে এই তথ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করা হলে অপরাধীদের অপরাধ সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হবে। এই আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে।’

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তাজুল ইসলাম এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা আদালতে উপস্থাপন করেছি যে অপরাধ করার পরও আসামিদের অনুশোচনা নেই। হাসিনা প্রতিনিয়ত নানাভাবে হুমকি দিচ্ছেন। সর্বশেষ কিছুদিন আগেও বাংলাদেশে একটা গৃহযুদ্ধ লাগানোর চেষ্টা করেছেন। তিনি সেনাবাহিনীকে উসকানি দিয়েছেন। কিন্তু দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী তার উসকানিতে পা দেয়নি। বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক মানুষ এই উসকানি বুঝতে পেরেছে, তারা এতে পা দেয়নি। অনুশোচনাহীন এরকম হত্যাকারীদের ব্যাপারে আদালতের দৃষ্টিভঙ্গি স্বচ্ছ থাকা উচিত যে তারা কোনোরকম অনুকম্পা পাওয়ার যোগ্য নন।’

চিফ প্রসিকিউটর জানান, আন্তর্জাতিক আইনে স্বীকৃত গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার জন্যই ১৯৭৩ সালের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনটি বিশেষভাবে তৈরি করা হয়। কারণ, এসব অপরাধের বিচার করার সক্ষমতা বাংলাদেশের প্রচলিত অন্য আইনে নেই। এই আইনটি সম্পূর্ণভাবে আন্তর্জাতিক মান সামনে রেখে তৈরি করা হয়। এই সরকার ক্ষমতায় আসার পরে আইনটিকে আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সংগতি রেখে সংশোধন করা হয়েছে। সুতরাং এই আইন নিয়ে আসামিপক্ষ যে আপত্তি করেছে তা গ্রহণযোগ্য নয়।

এফএইচ/একিউএফ/জেআইএম