হাসিনাসহ ২৮৬ জনের নামে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা বিচারের জন্য প্রস্তুত

5 hours ago 3

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আরও ২৮৫ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় তা মহানগর দায়রা জজ আদালতে স্থানান্তরের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ ও ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’ নামের একটি জুম মিটিংয়ে যোগ দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল।

মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইশরাত জেনিফার জেরিন এ আদেশ দেন।

এ মামলায় মোট ২৮৬ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে, যার মধ্যে শেখ হাসিনাও রয়েছেন। তাদের মধ্যে ২৫৮ জন পলাতক।

গত ১৪ অক্টোবর আদালত শেখ হাসিনা ও অন্য পলাতকদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানিয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেন। পরে আরও তিনজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়।

সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) ও মামলার বাদী মো. এনামুল হক বলেন, ‘বর্তমানে ২৮ জন আসামি কারাগারে আছেন। এরমধ্যে ঢাকা মহানগর উত্তর যুব মহিলা লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য সাবিনা আখতার তুহিন রয়েছেন। পলাতকদের বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর আজ আদালত মামলাটি ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিচারের জন্য পাঠানোর আদেশ দেন।’

শেখ হাসিনার পাশাপাশি মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন—সাবেক এমপি সাবিনা আখতার তুহিন, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ড. রাব্বী আলম, জয় বাংলা ব্রিগেড সদস্য কবিরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, এলাহী নওয়াজ মাসুম, জাকির হোসেন জিকু, অধ্যাপক তাহেরুজ্জামান, একেএম আখতারুজ্জামান, আজিদা পারভীন পাখি, অ্যাডভোকেট এএফএম দিদারুল ইসলাম, মকসুদুর রহমান, সাবেক এমপি সৈয়দা রুবিনা আখতার, সাবেক এমপি পঙ্কজ নাথ, লায়লা বানু, ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, রিতু আখতার, নুরুননবি নিবির, সাবিনা বেগম ও শরিফুল ইসলাম রমজান।

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০২৪ সালের ১৯ ডিসেম্বর ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’ শিরোনামে একটি ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে অংশগ্রহণকারীরা শেখ হাসিনাকে আবারও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রিইনস্টল করার লক্ষ্যে ‘গৃহযুদ্ধ’ শুরুর অঙ্গীকার করেন।

সিআইডির তদন্তে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতা ড. রাব্বী আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত ওই অনলাইন বৈঠকে দেশ-বিদেশ থেকে মোট ৫৭৭ জন যুক্ত হয়েছিলেন, যারা শেখ হাসিনার নির্দেশনা মেনে চলার অঙ্গীকার করেন।

সিআইডির এএসপি এনামুল হক ২০২৫ সালের ২৭ মার্চ শেখ হাসিনা ও আরও ৭২ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করেন। পরবর্তীকালে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৯৬ ধারার অধীনে তাকেই মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

তদন্ত শেষে ২০২৫ সালের ১৪ আগস্ট সিআইডি কর্মকর্তা শেখ হাসিনাসহ মোট ২৮৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করে সব আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

এমডিএএ/এমকেআর/এমএস

Read Entire Article