বলিউড অভিনেত্রী নেহা ধুপিয়া সম্প্রতি নিজের শরীরের প্রদাহ কমানোর জন্য নিয়েছিলেন ২১ দিনের অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি হোমমেড ড্রিংক চ্যালেঞ্জ।
পুষ্টিবিদ রিচা গঙ্গানির পরামর্শে তৈরি এই বিশেষ ঘরোয়া পানীয় তিনি প্রতিদিন নিজের রুটিনে যোগ করেছিলেন। লক্ষ্য ছিল ওজন কমানো নয়, বরং শরীরের ভেতরের প্রদাহ কমিয়ে সুস্থতা ফিরিয়ে আনা।
চ্যালেঞ্জ শেষ হওয়ার পর নেহা ইনস্টাগ্রামে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি খুবই খুশি এবং নিজের শরীরে ইতিবাচক পরিবর্তন লক্ষ্য করেছেন।

নেহা জানিয়েছেন,  ‘এই ২১ দিন আমাকে দেখিয়েছে, শরীরকে সুস্থ রাখতে শুধু বাহ্যিক যত্ন নয়, ভেতরের যত্নও জরুরি।' এই চ্যালেঞ্জ নিয়েছে নেহার অনেক অনুসারীই আগ্রহী হয়ে পড়েছেন এবং নিজেদের ডায়েটে এমন স্বাস্থ্যকর পানীয় যোগ করার কথা ভাবছেন।
- কেমন পানীয়
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কাঁচা হলুদ, আদা, কালো গোলমরিচ ও কালোজিরা দিয়ে তৈরি নেহা ধুপিয়া প্রাকৃতিক পানীয় পান করেছেন। এটি শরীরের ভেতরের প্রদাহ কমাতে এবং সার্বিক সুস্থতা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করেছে।
- সকালের পানীয়ের বানানোর পদ্ধতি
কাঁচা হলুদ ১ টুকরো, কাঁচা আদা ৫-৭টি, কালো গোলমরিচের গুঁড়া ১ চা চামচ, কালোজিরা ১ চা চামচ নিয়ে সামান্য পানির সঙ্গে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি আইস কিউব ট্রেতে ঢেলে ফ্রিজে রাখুন। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক কাপ হালকা গরম পানিতে একটি কিউব দিয়ে ১ চা চামচ এমসিটি তেল (অথবা বিকল্প) যোগ করে পান করুন। ঘরে এমসিটি অয়েল না থাকলে ঘি, নারকেল তেল অথবা অলিভ অয়েলও ব্যবহার করতে পারেন।
- বিশেষ পানীয়ের উপকারিতা
পুষ্টিবিদদের মতে, এই পাঁচটি উপকরণের প্রতিটিতে রয়েছে অনন্য পুষ্টিগুণ যা শরীরের প্রদাহ কমাতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। হলুদ ও আদায় থাকা কারকিউমিন এবং জিঞ্জেরল শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা প্রদাহ-বিরোধী হিসেবে কাজ করে। কালো গোলমরিচে থাকা পাইপেরিন কারকিউমিনের শোষণ বাড়ায়। কালোজিরা শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করে। এমসিটি অয়েল, ঘি, নারকেল তেল বা অলিভ অয়েল শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ শোষণে সাহায্য করে। নিয়মিত তিন সপ্তাহ এই পানীয় গ্রহণ করলে প্রদাহ কমে, হজম শক্তি বাড়ে এবং সারাদিন শরীর থাকে প্রাণবন্ত ও সতেজ।

- নেহা যে লাভবান হলেন চ্যালেঞ্জে
২১ দিনের অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি ড্রিংক চ্যালেঞ্জ শেষ করে নেহা ধুপিয়া জানিয়েছেন, তার অন্ত্রের স্বাস্থ্য অনেক ভালো হয়েছে, ত্বক আগের চেয়ে উজ্জ্বল দেখাচ্ছে এবং সবচেয়ে বড় পরিবর্তন- শরীরের প্রদাহ কমে গেছে। এছাড়া পেটফাঁপার সমস্যাও অনেকটাই কমেছে। এই পানীয়টি তার শরীরে দারুণভাবে কাজ করেছে।
নেহা আরও জানান, এই চ্যালেঞ্জের লক্ষ্য ওজন কমানো নয় বরং শরীরকে ভেতর থেকে সুস্থ রাখা এবং যে কোনো পোশাকে নিজেকে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে উপস্থাপন করতে সহায়তা করা।
রিচা গঙ্গানির এই চ্যালেঞ্জ শুরু করার আগে অবশ্যই চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত। কারণ কিছু নির্দিষ্ট শারীরিক অবস্থায়-যেমন পিত্তথলির সমস্যা, রক্ত পাতলা করার ওষুধ সেবন, বা অ্যাসিডিটির প্রবণতা থাকলে হলুদ ও আদা ব্যবহারে সতর্ক থাকা প্রয়োজন।
তিন সপ্তাহের মধ্যেও কেউ যদি শরীরে প্রদাহ কিছুটা কমে যাওয়া বা হালকা স্বস্তি অনুভব করেন, সেটি ইতিবাচক লক্ষণ। তবে বিপাকীয় বা দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ কমাতে সময় লাগে এবং এর জন্য জীবনযাপনে ধারাবাহিক পরিবর্তন জরুরি।
সূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
আরও পড়ুন 
মৌনীর বদমাশে ঝালমুড়ির জাদু, দাম মাত্র ৫৫০ টাকা 
মালাইকার ত্বকের রহস্য যে পানীয়তে 
এসএকেওয়াই/জিকেএস

 2 days ago
                        10
                        2 days ago
                        10
                    








 English (US)  ·
                        English (US)  ·