৮৭ মিনিট পর্যন্ত ইন্টার মিয়ামি পিছিয়ে ৩-১ ব্যবধানে। অনেক সমর্থকরা তখন ধরেই নিয়েছিলেন এই ম্যাচে হারের কষ্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে হবে মিয়ামিকে। আবারও কেউ কেউ স্বস্তিদায়ক কিছু দেখার অপেক্ষা করছিলেন শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত।
অবশেষে মিয়ামির ত্রাণকর্তা রূপে বরাবরের মতোই আবির্ভূত হলেন লিওনেল মেসি। ৮ মিনিটের ব্যবধানে দুর্দান্ত ফ্রি-কিক গোলের সঙ্গে এক এসিস্টও করলেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। এতে প্রমাণিত হলো, কেন মেসিকে বড় মুহূর্তের খেলোয়াড় বলা হয়।
শনিবার রাতে ফিলাডেলফিয়া ইউনিয়নের বিপক্ষে শেষ মুহূর্তে গোল আর এসিস্ট করে মিয়ামিকে ৩-৩ গোলে ড্র এনে দিয়েছেন মেসি। এতে গুরুত্বপূর্ণ এক পয়েন্ট পেয়েছে মিয়ামি। তাছড়া শেষ ৭ ম্যাচের মধ্যে ৫টিতে হারায় এই ড্র মিয়ামির অনেক জরুরি ছিল।
অন্যদিকে এই ড্রয়ে টানা তিন ম্যাচের জয়রথ থামলো ফিলাডেলফিয়ার। তবে তারা টানা ৯ ম্যাচে অপরাজিত।
এর আগে, বারিবোর দুটি গোলেই ফিলাডেলফিয়া এগিয়ে ছিল। ৪৪তম মিনিটে, ইন্ডিয়ানা ভাসিলেভের হেড থেকে আসা বলে মিকােল উরে একটি ছোট্ট টাচ দিয়ে বল বাড়িয়ে দেন বারিবোর কাছে, যিনি গোলরক্ষক অস্কার উস্তারিকে পরাস্ত করেন।
২-০ গোলে এগিয়ে প্রথমার্ধের খেলা শেষ করে ফিলাডেলফিয়া। স্বাগতিকদের প্রথম গোল আসে ৭ মিনিটে। কাই ওয়াগনারের কর্নার থেকে গোল করেন কোয়িন সুলিভান। এরপর ৪৪ মিনিটে ইন্ডিয়ানা ভাসিলেভের হেড থেকে আসা বলে মিকােল উরে হালকা স্পর্শ করে বল বাড়িয়ে দেন তাই বারিবোর দিকে। মিয়ামি গোলরক্ষক অস্কার উস্তারিকে পরাস্ত করে গোল করেন বারিবো।
মিয়ামির প্রথম গোল আসে ৬০ মিনিটে। নোয়া অ্যালেনের ক্রস থেকে তাদেও আলেন্দে নিখুঁত হেডে বল জালে জড়ান (২-১)। ৭৩ মিনিটে আবারও গোল করে ফিলডেলফিয়াকে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে দেন বারিবো।
৮৭ মিনিটে মেসি চিরচেনা স্টাইলে ফ্রি-কিক থেকে দুর্দান্ত গোল করে ব্যবধান ৩-২ এ নামিয়ে আনেন। এতে মিয়ামির একটি সম্ভাবনা তৈরি হয়।
ম্যাচের শেষাংশে তুমুল আক্রমণ শুরু করে মিয়ামি। ৯৫ মিনিটে সেগোভিয়া ডি-বক্সের বাইরে থেকে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়দের ফাঁকি দিয়ে বল পাঠান ফিলাডেলফিয়ার জালে। ফলে ৩-৩ গোলে ড্র করে এক পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে মিয়ামি।
গত বছরের সাপোর্টারস শিল্ড জয়ী মিয়ামি পরবর্তী ম্যাচে বুধবার রাতে মন্ট্রিয়ালকে স্বাগত জানাবে ফোর্ট লডারডেলে।
এমএইচ/এমএস

5 months ago
58









English (US) ·