ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত সংঘাতের জেরে স্থগিত হওয়া আইপিএল আবার শুরু হতে পারে সামনেরে সপ্তাহেই। তবে আইপিএল ফিরলেও বিদেশি ক্রিকেটাররা ফিরবে কি না এ নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। বিশেষ করে এই আসর নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা পড়েছেন দুশ্চিন্তায়। এমনকি টুর্নামেন্ট পুনরায় শুরু হলেও শেষ ভাগে অংশ না নেওয়ার ব্যাপারে অনেকেই চিন্তাভাবনা শুরু করে দিয়েছেন, এমনটাই দাবি অস্ট্রেলিয়ান সংবাদমাধ্যম এএপির।
রোববার দিল্লি ক্যাপিটালসের তারকা পেসার মিচেল স্টার্ক সিডনি বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন। ওই দিন থেকেই আইপিএল ও পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল)-এর বিদেশি খেলোয়াড়রা দেশে ফিরতে শুরু করেছেন। দুই দেশের মধ্যে টানটান উত্তেজনা ও কাশ্মীরে বিস্ফোরণের ঘটনার পর বাতিল করা হয় একাধিক ম্যাচ।
ধর্মশালায় বৃহস্পতিবারের ম্যাচ চলাকালীন বোমা হামলার সতর্কতায় খেলা বন্ধ হয়ে যায় ১০ ওভার পরেই। দর্শকদের বের করে দেওয়া হয় মাঠ থেকে। পরদিন ট্রেনে করে সরিয়ে নেওয়া হয় দিল্লি ক্যাপিটালস ও পাঞ্জাব কিংসের ক্রিকেটারদের।
এই অভিজ্ঞতায় ভীত অনেক অস্ট্রেলিয়ান খেলোয়াড়। আইপিএল আবার শুরু হলেও, সব অজি তারকা যে ফিরে যাবেন এমনটা নিশ্চিত নয়। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়ের মধ্যে ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে তীব্র অনিচ্ছা কাজ করছে।
মিচেল স্টার্কের সঙ্গে দেশে ফিরেছেন স্ত্রী ও অস্ট্রেলিয়ার নারী দলপতি এলিসা হিলিও। তবে অস্ট্রেলিয়ার কোচিং স্টাফদের কেউ কেউ এখনও ভারতে অবস্থান করছেন। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, বাকি আসর কীভাবে পরিচালিত হবে।
অন্যদিকে, পাকিস্তানে থাকা অজি ক্রিকেটারদের ফিরিয়ে আনা হয়েছে যে বিমানঘাঁটি দিয়ে। কয়েক ঘণ্টা পরেই সেখানে হামলার ঘটনা ঘটে। সেই দলে ছিলেন শন অ্যাবট, বেন ডোয়ারশুইস, অ্যাশটন টার্নার, মিচ ওউন, ম্যাক্স ব্রায়ান্ট ও রাইলি মেরেডিথ। ডেভিড ওয়ার্নার আগেই দেশ ছেড়েছিলেন।
এই অবস্থায় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) ভাবছে, আইপিএলের বাকি অংশ হয়তো ভারতের দক্ষিণাঞ্চলে স্থানান্তর করা হতে পারে, যা পাকিস্তান সীমান্ত থেকে অনেক দূরে। তবে আরও একটি সম্ভাব্য বিকল্প হলো, বিদেশে—দক্ষিণ আফ্রিকা, সংযুক্ত আরব আমিরাত কিংবা এমনকি ইংল্যান্ডে—আইপিএল আয়োজন করা।
মে ২৫-এর মধ্যে আইপিএলের উইন্ডো শেষ হয়ে যাবে। এর পরপরই অস্ট্রেলিয়া দল বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের প্রস্তুতি শুরু করবে, যা জুন ১১ থেকে শুরু হওয়ার কথা দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে।
তাই আইপিএল নিয়ে অস্ট্রেলিয়ান তারকাদের মনযোগ এখন মূলত নিরাপত্তা ও ভবিষ্যৎ প্রস্তুতির দিকে। মাঠে ফিরলেও, তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা না গেলে এ বছরের আইপিএল অজিদের জন্য অসম্পূর্ণই থেকে যেতে পারে।

                        5 months ago
                        80
                    








                        English (US)  ·