আত্মহত্যা প্রতিরোধে সচেতনতামূলক কনটেন্ট নির্মাণের তাগিদ

2 weeks ago 8

আত্মহত্যা সংক্রান্ত বিষয়বস্তু নির্মাণে দায়িত্বশীলতা ও সচেতনতা অপরিহার্য। কারণ, চলচ্চিত্র, নাটক, সংবাদ কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উপস্থাপিত দৃশ্য বা সংলাপ অনেক সময় দর্শকের মনে গভীর প্রভাব ফেলে—যা ইতিবাচকও হতে পারে, আবার বিপরীতও। আত্মহত্যা প্রতিরোধে সচেতন সচেতনতামূলক নির্মাণ জরুরি।

রোববার (২৬ অক্টোবর) রাজধানীর হলিডে ইন হোটেলে ‘আত্মহত্যা প্রতিরোধে চলচ্চিত্র নির্মাতা ও অন্যদের ভূমিকা’ শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।

জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের আয়োজনে এ সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রতিষ্ঠানের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মুনতাসীর মারুফ এবং লেখক ও সাংবাদিক সাইফুল্লাহ রিয়াদ।

সেমিনারের মূল আলোচনায় তুলে ধরা হয়, আত্মহত্যা-সম্পর্কিত কনটেন্ট নির্মাণের সময় কিছু নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। যেমন—আত্মহত্যার পদ্ধতি বা দৃশ্য দেখানো থেকে বিরত থাকা, সংকট সামলে ওঠা ও ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প তুলে ধরা, আত্মহত্যা প্রতিরোধে সহায়তার উপায় সম্পর্কে জানানো এবং মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া।

পরিচালক অধ্যাপক ডা. মাহবুবুর রহমানের সঞ্চালনায় সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. খায়ের আহমেদ চৌধুরী। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন- সাইকিয়াট্রিস্ট সোসাইটির সদস্যসচিব অধ্যাপক ডা. নিজাম উদ্দীনসহ মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, চলচ্চিত্র পরিচালক, শিল্পী-কলাকুশলী এবং সাংবাদিকরা।

বক্তারা বলেন, আত্মহত্যা নিয়ে ভুল ধারণা ভাঙতে ও ইতিবাচক বার্তা ছড়িয়ে দিতে গণমাধ্যম ও বিনোদন মাধ্যমের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। দায়িত্বশীল গল্পবলন ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমেই সমাজে আশার আলো ছড়ানো সম্ভব।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. খায়ের আহমেদ চৌধুরী বলেন, নাটক ও অভিনয়ের মাধ্যমে বিষয়টি তুলে ধরতে পারলে মানুষ শিক্ষা নেবে। আত্মহত্যা রোগ নয়, সামাজিক প্রবণতা। এটি প্রতিরোধে মিডিয়া ব্যক্তিত্বদের এগিয়ে আসতে হবে। তাদের অভিনয়ে এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের আনন্যাচারাল ডেথের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনার পরই আত্মহত্যার অবস্থান। তরুণদের মধ্যে, বিশেষ করে মেয়েদের মধ্যে এ প্রবণতা বেশি।

সভাপতির বক্তব্যে মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মাহবুবুর রহমান বলেন, আত্মহত্যা প্রতিরোধযোগ্য সমস্যা। আমরা সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এটি প্রতিরোধ করতে পারি। প্রত্যেকে যার কাজটুকু সচেতনভাবে করলেই হয়। দুঃখ কষ্টের সমাধান আত্মহত্যা- এটা যেন কেউ মনে না করে। বরং বিকল্প উপায়ে বেঁচে থাকার উপায় বের করতে হব। সমস্যার সমাধানে নজর দিতে হবে।

এসইউজে/এমকেআর/জিকেএস

Read Entire Article