আবু সাঈদ হত্যা মামলায় টানা তিনবার সাক্ষী আনতে ব্যর্থ প্রসিকিউশন

22 hours ago 4

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ আবু সাঈদ হত্যা মামলায় পরপর তিন ধার্য তারিখে সাক্ষী আনতে প্রসিকিউশন ব্যর্থ হয়েছে, এমন মন্তব্য করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী আজিজুর রহমান দুলু।

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে প্রেস ব্রিফিংয়ে এমন মন্তব্য করেন তিনি। আবু সাঈদ হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ পরপর তিনবার পেছানো প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। আসামি এএসআই আমির হোসেন ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়ের হয়ে লড়ছেন এ আইনজীবী।

আইনজীবী দুলু বলেন, আইনের একটি ভিত্তি হলো প্রিন্সিপাল অব ন্যাচারাল জাস্টিস। সেই প্রিন্সিপাল অব ন্যাচারাল জাস্টিস ও ক্রিমিনাল রুলস অ্যান্ড অর্ডার-২০০৯ অনুযায়ী আদালতে যেসব আবেদন কোনো একপক্ষ দেবেন, অপরপক্ষকে এর অনুলিপি হস্তান্তর করতে হয়। গত তিনটি ধার্য তারিখে সাক্ষী উপস্থাপনের জন্য সময়ের আবেদন দিয়েছেন প্রসিকিউশন। কিন্তু আইন অনুযায়ী আমরা কোনো কাগজ পাইনি। এরপরও দেখলাম সাক্ষী উপস্থিত হয়নি।

আরও পড়ুন
আপনি বেশি কথা বলেন, আদালত বিব্রত হয়: স্টেট ডিফেন্সকে ট্রাইব্যুনাল
সংবিধান ১৭ বার সংশোধন হলেও জনগণ বা রাষ্ট্রের কল্যাণ হয়নি

তিনি বলেন, প্রসিকিউশনের দায়িত্ব হলো কোনো ব্যক্তি বা আসামির বিরুদ্ধে চার্জ (অভিযোগ) প্রমাণ করা। এর অন্যতম প্রক্রিয়া সাক্ষী উপস্থাপন করা। অথচ সেই সাক্ষীই গত তিন কার্যদিবসে হাজির হয়নি। আমরা কারণ জানতে না পারলেও প্রতীয়মান হয় যে প্রসিকিউশনের ব্যর্থতার কারণে আদালতে আসেননি সাক্ষী। অথবা আদালত থেকে যে সমন বা নোটিশ সাক্ষীদের পাঠানো হয়েছে, তা সঠিকভাবে হয়েছে কি না জানি না। তবে এর দায়িত্বও প্রসিকিউশনের। কারণ, প্রসিকিউশনের দায়িত্বের প্রধান অংশ হলো চার্জ প্রমাণের জন্য সাক্ষীকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা। এতে তারা ব্যর্থ হয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাবেক ভিসি হাসিবুর রশীদসহ ৩০ আসামির বিরুদ্ধে ১০ম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল। তবে সাক্ষী না আসায় সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়ে আগামী ১০ নভেম্বর দিন ঠিক করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।

মামলার মোট ৩০ আসামির মধ্যে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে থাকা ছয় আসামি হলেন– এএসআই আমির হোসেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী, রাফিউল হাসান রাসেল ও আনোয়ার পারভেজ। এছাড়া অন্যসব আসামি পলাতক।

এর আগে গত ২৭ আগস্ট সূচনা বক্তব্য (ওপেনিং স্টেস্টমেন্ট) উপস্থাপন করা হয়। সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। গত ৬ আগস্ট ৩০ আসামির বিরুদ্ধে ফর্মাল চার্জ (আনুষ্ঠানিক অভিযোগ) গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

এফএইচ/কেএসআর/এএসএম

Read Entire Article