গাজীপুরের টঙ্গীতে ইমাম অপহরণ, হিন্দুত্ববাদী আগ্রাসন বন্ধ, দেশবিরোধী অব্যাহত ষড়যন্ত্রের দায়ে ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) বাদ জুমা এই বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাস থেকে শুরু হয়ে বাহাদুর শাহ পার্ক প্রদক্ষিণ করে ক্যাম্পাসেই এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘ইসকন তুই জঙ্গি, স্বৈরাচারের সঙ্গী’, ‘জঙ্গিবাদের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা' ইত্যাদি স্লোগান দেন’।
সমাবেশে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা বলেন, বাংলাদেশে ইসকনের কাজ হচ্ছে মন্দির নির্মাণ করা, হিন্দুদের মাঝে সম্প্রীতির বন্ধন বজায় রাখা। কিন্তু আমরা দেখি তারা হিন্দুত্ববাদী কার্ড খেলে পুরো দেশ অশান্ত করার পাঁয়তারা করছে। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পরও তারা দেশকে অশান্ত করার চেষ্টা করেছে। তারা আমাদের ভাই আইনজীবী আলিফকে প্রকাশ্যে হত্যা করেছে। বিশ্বের অনেক দেশেই ইসকন নিষিদ্ধ আছে। তাহলে বাংলাদেশে ইসকনকে নিষিদ্ধ করতে বাধা কোথায়?
আরও পড়ুন
সৌদিসহ বিশ্বের যেসব দেশে নিষিদ্ধ 'ইসকন'
বাংলাদেশ শাখা দায় না নিলেও চিন্ময়কে সমর্থনের ঘোষণা মূল ইসকনের
তিনি আরও বলেন, আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই- ইসকন শুধু মুসলিম না তারা হিন্দুদেরও শত্রু, তারা মানবতার শত্রু। আমরা অবিলম্বে ইসকনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা চাই।
জবি শাখা ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক নূর মোহাম্মদ বলেন, ইসকন একটি ধর্মীয় সংগঠন। কিন্তু তারা ধর্মীয় কার্যক্রমের আড়ালে রাজনৈতিক স্বার্থে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা দাবি জানাই, এটা স্পষ্ট করুক তাদের কার্যক্রম আসলে কী কী এবং তারা কোন কোন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তাদের বাহির থেকেও আর্থিকভাবে সাহায্য করা হয়। কী উদ্দেশে এবং কী জন্য করা হয় সেটাও আমরা জানতে চাই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ইব্রাহিম খলিল বলেন, আমরা ভেবেছিলাম জুলাই বিপ্লবের পর ইন্টেরিম সরকার সব ধরনের জঙ্গি কার্যক্রম পরিচালনা নিষিদ্ধ করবে। কিন্তু আমরা দেখছি তারা সেটি করতে ব্যর্থ হয়েছে। ইসকন তাদের জঙ্গি কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। এরইমধ্যে বিভিন্ন দেশে ইসকন নিষিদ্ধ আছে। কিন্তু আমাদের দেশে বিগত সময় দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে তাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে সহযোগিতা করা হয়েছে। বর্তমানেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। ইসকন একটা জঙ্গি সংগঠন। সুতরাং আইন করে তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে।
জবির আইন ও ভূমি প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী আবদুল আলিম আরিফ বলেন, ইসকন এমন একটি সংগঠন যারা আমেরিকার আদালতে ৪০০ এর ওপরে শিশুদের যৌন নির্যাতনের জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। হিন্দুদের ভেতরেও তারা সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করছে। এছাড়াও, তারা পূর্বে সিলেটে একজন ইমামকে হত্যা করেছে। চিম্ময় এর আগে একবার বলেছিল- আওয়ামী লীগের আন্দোলন মানে ইসকনের আন্দোলন। মুসলিম দেশের পাশাপাশি অনেক অমুসলিম দেশেও ইসকনকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং অনেক দেশে তারা নজরদারিতে আছে। সুতরাং সার্বভৌমত্ব রক্ষার স্বার্থেই ইন্টেরিমকে আইন করে ইসকন নিষিদ্ধ করতে হবে।
টিএইচকিউ/এএমএ/এএসএম

2 weeks ago
7









English (US) ·