ভারতশাসিত কাশ্মীরের পহেলগামে গত ২২ এপ্রিল ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হন। এরপর অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে পাকিস্তানের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত হানে ভারতের সশস্ত্র বাহিনী। পাল্টা হামলা চালায় পাকিস্তানও। দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা হলেও উত্তেজনার পারদ এখনো চড়া।
এমন পরিস্থিতিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের বাজারদর নিয়ে চিন্তায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের আমজনতা। পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে কেউ যেন কালোবাজারি করতে না পারে, তাই শহর থেকে গ্রামের বাজারগুলোতে নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী।
আরও পড়ুন>>
দেশের এই পরিস্থিতিতে অসাধু ব্যবসায়ীরা যুদ্ধের জিগির তুলে অত্যাবশ্যকীয় বিভিন্ন পণ্য, খাদ্য সামগ্রীর দাম বাড়িয়ে মোটা অংকের মুনাফা লোটার চেষ্টা করতে না পারে, তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
এবার আগামী তিন মাসের জন্য পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলোতে যেন কোনো ধরনের খাদ্য ঘাটতি না হয়, তার জন্য আগাম প্রস্তুতি নিতে জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ।
দেশে জরুরি অবস্থা জারি হলে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের যেন আগাম সব প্রস্তুতি থাকে, তা নিয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে ভার্চুয়ালি বৈঠক করেন মুখ্যসচিব। এসময় এই মুহূর্তে রাজ্যের প্রতি জেলায় কত খাদ্য মজুত রয়েছে এবং খাদ্য কালোবাজারি রুখতে কী কী প্রস্তুতি রয়েছে, তা নিয়ে আলোচনা করেন তিনি।
পশ্চিমবঙ্গের লাগোয়া সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে বিশেষ নজরদারি চালানোর নির্দেশ দেন মনোজ পন্থ। এছাড়া, সুন্দরবনের জলপথ এবং উত্তরবঙ্গের দুর্গম পাহাড়ি ঘেঁষা সীমান্ত এলাকাগুলোতেও বিশেষ নজর রাখতে বলা হয়েছে।
আপৎকালীন পরিস্থিতিতে চিকিৎসা সেবায় যেন ঘাটতি না থাকে তারও নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। রাজ্য পুলিশ ও কলকাতা পুলিশের জন্য একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
রাজ্যের সচিবালয় নবান্নের পক্ষ থেকে স্পষ্ট বলে দেওয়া হয়েছে, সম্ভাব্য পরিস্থিতি সামাল দিতে কী কী প্রস্তুতি নিতে হবে।
ডিডি/কেএএ/

5 months ago
87









English (US) ·