বেসরকারি স্কুল ও কলেজের এমপিও নীতিমালায় সংশোধনী আনা হয়েছে। এতে উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় ও উচ্চমাধ্যমিক কলেজের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক পদ বিলুপ্ত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ ‘বিভিন্ন পদের’ নিয়োগ যোগ্যতায় পরিবর্তন এনেছে।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) পরিপত্র জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) বিভাগ।
সংশোধনী নীতিমালা দেখা যায়, ২০২১ সালের মার্চে জারি করা নীতিমালায় উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় ও উচ্চমাধ্যমিক কলেজের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক পদ সৃষ্টি করা হলেও সংশোধনীতে তা বিলুপ্ত করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে আগের মতোই সহকারী অধ্যাপক পদে প্রভাষকদের পদোন্নতির সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
এর মাধ্যমে সাড়ে চার বছর পর উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় ও উচ্চমাধ্যমিক কলেজের প্রভাষকরা সহকারী প্রভাষক পদে পদোন্নতি পাওয়ার সুযোগ পেলেন।
উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় ও উচ্চমাধ্যমিক কলেজের সহকারী অধ্যাপক পদের যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা সাড়ে চার বছর আগে সৃষ্ট জ্যেষ্ঠ প্রভাষকের মতোই রাখা হয়েছে।
পরিপত্রে বলা হয়েছে, শুধু উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় ও উচ্চমাধ্যমিক কলেজের এমপিওভুক্ত প্রভাষকরা আট বছর সন্তোষজনক চাকরির পূর্তিতে প্যাটার্নভুক্ত প্রভাষক ও সহকারী অধ্যাপক মোট পদের ৫০ শতাংশ বিভিন্ন সূচকেব ১০০ নম্বরের মূল্যায়নের ভিত্তিতে সহকারী অধ্যাপক পদের পদোন্নতি পাবেন।
অন্য প্রভাষকরা চাকরির ১০ বছর পূর্তিতে জাতীয় বেতন স্কেলের গ্রেড ৯ থেকে ৮ প্রাপ্য হবেন এবং ধারাবাহিকভাবে এমপিওভুক্তির ১৬ বছর পূর্তিতে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পাবেন। সহকারী অধ্যাপক পদের বেতন জ্যেষ্ঠ প্রভাষকের মতোই গ্রেড-৬ এ হবে।
সংশোধনীতে উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ পদে নিয়োগের যোগ্যতায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। আগে উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পেতে একই ধরনের বিদ্যালয় বা উচ্চমাধ্যমিক কলেজের অধ্যক্ষ পদে বা ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ পদে এমপিওভুক্তরা, ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক পদে তিন বছরের অভিজ্ঞতাসহ ১২ বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন শিক্ষকরা এবং এমপিওভুক্ত উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় বা উচ্চমাধ্যমিক কলেজের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক পদে তিন বছরের অভিজ্ঞতাসহ ১২ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন শিক্ষকরা নিয়োগের সুযোগ পেতেন।
এখন তাদের সঙ্গে স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি বা সমমানধারী বা স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চার বছরের স্নাতক বা সমমান ডিগ্রিধারী (সমগ্র শিক্ষাজীবনে একটির বেশে তৃতীয় বিভাগ বা শ্রেণি নয়) প্রধান শিক্ষক বা সহকারী প্রধান শিক্ষকরাও উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ পদে নিয়োগের সুযোগ পাবেন।
মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদের দুই বছরের অভিজ্ঞতাসহ ১৩ বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা নিয়ে এবং সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে দুই তিন বছরের অভিজ্ঞতাসহ ১৫ বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা নিয়ে শিক্ষকরা উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ পদে নিয়োগে সুযোগ পাবেন।
মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগের যোগ্যতায়ও পরিবর্তন আনা হয়েছে।
আগের নীতিমালায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ইনডেক্সধারী প্রধান শিক্ষক বা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ইনডেস্কধারী সহকারী প্রধান শিক্ষক বা নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ইনডেক্সধারী প্রধান শিক্ষক পদে তিন বছরের অভিজ্ঞতাসহ এমপিওভুক্ত পদে মোট ১৫ বছরের শিক্ষকতা অভিজ্ঞতাসহ শিক্ষকরা নিয়োগের সুযোগ পেতেন।
সংশোধনী অনুযায়ী, তাদের সঙ্গে সিনিয়র শিক্ষক হিসেবে তিন বছরের অভিজ্ঞতাসহ মোট ১৭ বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতাসহ শিক্ষকরা নিয়োগ পাবেন।

 3 days ago
                        14
                        3 days ago
                        14
                    








 English (US)  ·
                        English (US)  ·