দেশে পৌঁছে কাতার সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় পৌঁছে তিনি কাতার সরকারের প্রতি এই কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, কাতার সরকার শুধু এয়ার অ্যাম্বুলেন্সই প্রদান করেনি বরং বিমানের খরচ, ওষুধ এবং চিকিৎসা সেবার সবকিছু নিশ্চিত করেছে। এই সহায়তার জন্য খালেদা জিয়া কাতার সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, কাতার সরকার খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য সবকিছু নিশ্চিত করেছে এবং এই মানবিক সহায়তা দেশনেত্রীর সুস্থতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
আরও পড়ুন
- ফিরোজায় পৌঁছেছেন খালেদা জিয়া
- জিয়ার বাবুর্চির হাতে খালেদা-দুই পুত্রবধূর জন্য বিশেষ রান্না
- লাখো কর্মীর ভালোবাসায় সিক্ত খালেদা জিয়া
তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, আমরা আশা করছি খুব শিগগির এমন পরিস্থিতি তৈরি হবে যেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও দেশে ফিরে জাতির নেতৃত্বে যোগ দিতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, যিনি বেগম জিয়াকে তাচ্ছিল্য করেছিলেন, তিনিই আজ পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। পক্ষান্তরে বেগম জিয়া আজও এখানেই আছেন, জাতির নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত। তারেক রহমানের দেশে ফেরার জন্যও বিএনপি অনেকটাই আশাবাদী।
বিএনপির পক্ষ থেকে সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশ এবং অন্যান্য সরকারি সংস্থাগুলোর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়েছে, যারা খালেদা জিয়ার দেশে প্রত্যাবর্তনে সহায়তা করেছে। ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, যেসব সংস্থা মানবিক অবস্থান থেকে সহযোগিতা করেছে, তাদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা।
চার মাস পর লন্ডনে উন্নত চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। মঙ্গলবার (৬ মে) সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তিনি ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান।
সেখান থেকে দুপুর ১টা ২৫ মিনিটে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় পৌঁছান খালেদা জিয়া। তার সঙ্গে পুত্রবধূ দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জুবাইদা রহমান, ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শামিলা রহমানও দেশে এসেছেন।
কেএইচ/ইএ/এমএস

5 months ago
80









English (US) ·