ক্লুলেস মার্ডার মামলা দায়ের হওয়ার আট ঘণ্টার মধ্যে হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে ডবলমুরিং মডেল থানা পুলিশ। এ ঘটনায় রুনা আক্তার প্রকাশ বিলু (৩৫) ও ইব্রাহীম খলিলুল্লাহ প্রকাশ মিজান (৫০) নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার দুজন স্বামী-স্ত্রী বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শনিবার (১০ মে) পাহাড়তলী বাজারস্থ ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের পাশে সুলতান সাহেবের একতলাবিশিষ্ট বিল্ডিংয়ের ছাদ থেকে রনজিৎ দত্ত নিলক (৫৪) নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত নিলক জিসকা ফার্মাসিটিউক্যাল কোম্পানির রিপ্রেজেন্টেটিভ পদে কর্মরত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি পটিয়া জেলায়। তিনি পরিবার নিয়ে পাহাড়তলী এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
পুলিশ জানায়, শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে জরুরি সেবা ‘৯৯৯’-এর মাধ্যমে ডবলমুরিং থানা পুলিশ জানতে পারে যে, পাহাড়তলী বাজারস্থ ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের পাশে সুলতান সাহেবের একতলাবিশিষ্ট বিল্ডিংয়ের ছাদে অজ্ঞাতনামা এক পুরুষের মরদেহ পড়ে আছে। তাৎক্ষণিক থানার টহল টিমে দায়িত্বরত উপপরিদর্শক সোগকে খবর পৌঁছানো হলে তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নিহত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেন। পরে নিহতের পরিচয় শনাক্তের জন্য সিএমপির বিভিন্ন থানায় ছবিসহ বেতার বার্তা প্রেরণ করেন।
এর আগে শনিবার নিহতের স্ত্রী শিপ্রা মজুমদার (৪৯) তার স্বামীকে খুঁজে না পেয়ে নগরীর পাহাড়তলী থানা ও আকবরশাহ থানায় যোগাযোগ করেন। পরে জানতে পারেন ডবলমুরিং থানা পুলিশ অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছেন। পরে তিনি থানায় এসে মরদেহটি তার স্বামীর বলে শনাক্ত করেন।
এ বিষয়ে নগর পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার হোসাইন মোহাম্মদ কবির ভূইয়া কালবেলাকে বলেন, নিহতের পরিবার রোববার ডবলমুরিং থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এরপর মামলার রহস্য উদঘাটন ও আসামিদের গ্রেপ্তারে মাঠে অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ। বিশ্বস্ত সোর্সের সহযোগিতা নগরীর পাহাড়তলী বাজারে ফাস্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের পাশে কামাল সাহেবের ভবনের ২য় তলা থেকে হত্যাকাণ্ডের অন্যতম প্রধান আসামি রুনা আক্তার প্রকাশ পিংকি আক্তার প্রকাশ বিলুকে (৩৫) গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যে নগরীর ডবলমুরিং থানাধীন দেওয়ানহাট এলাকা থেকে ইব্রাহীম খলিলুল্লাহ প্রকাশ মিজানকে (৫০) গ্রেপ্তার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে নিহতের সঙ্গে আসামি রুনা আক্তারের প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিক কালবেলাকে বলেন, ঘটনার দিন রনজিৎ দত্ত নিলক রুনা আক্তারের বাসায় যায়। সেখানে তাকে নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করিয়ে তার কাছে থাকা ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ নিয়ে নেয়। ওই নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবনে রনজিৎ অচেতন হয়ে পড়লে আসামিরা তাকে পাশের একটি বিল্ডিংয়ের ছাদে ফেলে দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে।

                        5 months ago
                        83
                    








                        English (US)  ·