গণভোট আগে বা পরে হওয়ার মধ্যে রাজনৈতিক তাৎপর্যগত কোনো পার্থক্য নেই বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির শফিকুল কবির মিলনায়তনে নাগরিক ঐক্য আয়োজিত ‘রাজনীতির বর্তমান এবং ভবিষ্যত পথরেখা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আশা করবো সরকার কোনো একটি বিশেষ দলের দিকে ঝুঁকে পড়বে না। গতকাল জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল বলেছেন, ফেব্রুয়ারির নির্বাচন পিছিয়ে গেলে অসুবিধা নেই। তাদের গণভোট আগে হতেই হবে। কিন্তু গণভোট আগে হওয়া আর গণভোট জাতীয় নির্বাচনের দিনে, একইদিনে হওয়ার মধ্যে কোনো রাজনৈতিক তাৎপর্যগত পার্থক্য নেই। আমরা গণভোটের মধ্যে যা কিছু অর্জন করতে চাচ্ছি, সেটা আগে হলে যা অর্জন করবো, জাতীয় নির্বাচনের দিনে হলেও একই জিনিস অর্জন করবো।
আরও পড়ুন
গণভোট আগে না হলে জাতীয় নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে: জামায়াত
নির্বাচনের আগে গণভোট অযৌক্তিক: ফখরুল
সাকি বলেন, কেবল আমার রাজনৈতিক প্রস্তাব গৃহীত হলো, আমরা যা বললাম তাই হলো। এইরকম একটি অবস্থান থেকে গণভোটের বিষয় নিয়ে যে জটিলতা তৈরি হচ্ছে এটা করা কোনোভাবেই ঠিক হবে না। এটা যারা করছেন, বোঝা যাচ্ছে যে মূল বিষয়টা দাঁড়িয়ে যাচ্ছে যে হয় নির্বাচনকে পেছাতে হবে। অথবা এখানে পরিস্থিতির মধ্যে কোনোরকম যে জটিলতা সেটাকে আরও গভীর করতে হবে। অথবা বার্গেনিং করতে হবে।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে তিনি বলেন, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের শহীদের রক্তের পরে দাঁড়িয়ে যে দায়িত্ব আমাদের আছে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক উত্তরণ করার, এই জুলাই জাতীয় সনদের বাস্তবায়ন নিয়ে যেন আমরা বার্গেন না করি। বার্গেনিং করে আমরা যেন ক্ষমতার অংশীদারত্ব না চাই। এইটা রক্তের ঋণের দায় বহন করা। এটাকে আমরা রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জনের বিষয়ে যেন পরিণত না করি। সেটা আমাদের কারও জন্যই ভালো নয়।
এমএইচএ/এএমএ/জিকেএস

9 hours ago
4









English (US) ·