গাইবান্ধা-৩ আসনে ভোট করতে চান এনসিপির সোহাগ

5 hours ago 9

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্লাপুর-পলাশবাড়ী) আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) প্রার্থী হিসেবে ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন দলের কেন্দ্রীয় সংগঠক ও গাইবান্ধা জেলার প্রধান সমন্বয়কারী নাজমুল হাসান সোহাগ। এনসিপির দলীয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, নাজমুল হাসান সোহাগ ছাত্রজীবন থেকেই সক্রিয়ভাবে বিভিন্ন ন্যায়সংগত আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন। ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক, প্রতিটি ন্যায়সংগত ঢাকা কেন্দ্রিক আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী এবং ২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক।

ছাত্র রাজনীতি থেকে জাতীয় রাজনীতিতে পদার্পণ করার পর থেকেই তিনি এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন। বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের মধ্যে তিনি একজন তরুণ, উদ্যমী ও জনবান্ধব নেতা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।

আরও পড়ুন : বিএনপির সর্বকনিষ্ঠ এমপি প্রার্থী হয়ে যা বললেন ডা. প্রিয়াংকা

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, নাজমুল হাসান সোহাগ দীর্ঘদিন ধরে গাইবান্ধা অঞ্চলে এনসিপির সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার এবং তৃণমূল পর্যায়ে দলের অবস্থান সুদৃঢ় করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তরুণ নেতৃত্ব হিসেবে তিনি স্থানীয়ভাবে জনসম্পৃক্ত ও ইতিবাচক রাজনীতির প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন।

এনসিপির কেন্দ্রীয় দপ্তর জানিয়েছে, তৃণমূলের মতামত ও সাংগঠনিক মূল্যায়নের ভিত্তিতে গাইবান্ধা-৩ আসনে নাজমুল হাসান সোহাগের ব্যাপারে গ্রিন সিগন্যাল দেওয়া হয়েছে।

দলটির শীর্ষ নেতারা বিশ্বাস করেন উন্নয়নকেন্দ্রিক চিন্তা, স্বচ্ছ নেতৃত্ব এবং জনগণের কল্যাণে নিবেদিত অঙ্গীকারের মাধ্যমে তিনি এলাকায় উন্নয়ন ও পরিবর্তনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সক্ষম হবেন।

প্রার্থিতা ঘোষণার পর প্রতিক্রিয়ায় নাজমুল হাসান সোহাগ বলেন, আমি রাজনীতি করি মানুষের সেবা করার জন্য। গাইবান্ধা-৩ আসনের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণই আমার লক্ষ্য। জনগণের ভালোবাসা ও দোয়া পেলে উন্নয়ন ও পরিবর্তনের নতুন অধ্যায় সূচনা করব।

উল্লেখ্য, সাদুল্লাপুর ও পলাশবাড়ী-এ দুই উপজেলা নিয়ে ৩১, গাইবান্ধা-৩ আসনটি গঠিত। এর মধ্যে সাদুল্লাপুর উপজেলার ১১ ইউনিয়নে ২ লাখ ৭২ হাজার ৫৬৩ ও পলাশবাড়ী উপজেলায় এক পৌরসভা এবং ৭ ইউনিয়নে ২ লাখ ৩৩ হাজার ৩৩৩ জন ভোটারসহ মোট ৫ লাখ ৫ হাজার ৮৯৬ ভোটার রয়েছে বলে উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে।

Read Entire Article