চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি নিষিদ্ধ ৩৯ টন ঘনচিনি (সোডিয়াম ক্লাইমেট) আটক করেছে কাস্টমস। চট্টগ্রাম কাস্টমসের অডিট, ইনভেস্টিগেশন ও রিসার্চ (এআইআর) শাখার একটি টিম এই চিনির চালান আটক করে।
সোমবার (১০ নভেম্বর) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
এতে বলা হয়, ২৮ অক্টোবর কায়িক পরীক্ষার পর সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষার পর চালানটিতে মিথ্যা ঘোষণায় ঘনচিনি আমদানির বিষয়ে নিশ্চিত হয় কাস্টমস। পলিঅ্যালুনিমিয়াম ক্লোরাইড (পানি জীবানুরোধী করার কাঁচামাল) ঘোষণা দিয়ে ঘনচিনির চালানটি আমদানি করা হয় বলে জানিয়েছে কাস্টমস।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপ-কমিশনার (প্রিভেন্টিভ) এইচ এম কবীর সোমবার রাতে বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
রাজস্ব বোর্ডের স্বাক্ষরবিহীন ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঢাকার বংশাল এলাকার ২১৮ মিটফোর্ড রোডের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এসপি ট্রেডার্স চীন থেকে পলিঅ্যালুনিমিয়াম ক্লোরাইড ঘোষণা দিয়ে ৬৩ টন পণ্য আমদানি করে। গত ৪ অক্টোবর চালানটি চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। ৭ অক্টোবর আমদানিকারকের পক্ষে চট্টগ্রামের জুবিলি রোড এলাকার সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান সি-বার্ড কর্পোরেশন চালানটি খালাসের জন্য কাস্টমসের এসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করে।
পরে চালানটি খালাসের অনুমতি পেয়ে সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান কনটেইনার থেকে পণ্য ট্রাকে লোড করছিল। এমন সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম কাস্টমসের এআইআর শাখার কর্মকর্তারা চালানটির খালাস স্থগিত করে। পরে গত ২৮ অক্টোবর সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে চালানটি শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করে। কায়িক পরীক্ষায় দুই ধরনের পণ্য পাওয়া যায়। এ সময় পণ্য দুটির নমুনা সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম কাস্টমস ল্যাবে রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। পরীক্ষায় একটি নমুনায় ২৪ টন পলিঅ্যালুনিমিয়াম ক্লোরাইড এবং আরেকটি নমুনায় ৩৯ টন সোডিয়াম ক্লাইমেট (ঘনচিনি) পাওয়া যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘনচিনি একটি কৃত্রিম মিষ্টিকারক, যা সাধারণ চিনির চেয়ে প্রায় ৩০ থেকে ৫০ গুণ বেশি মিষ্টি। বিভিন্ন ধরনের মিষ্টান্ন, বেকারি আইটেম, আইসক্রিম, বেভারেজ, জুস, চকোলেট, কনডেন্সড মিল্ক এবং শিশুখাদ্য তৈরিতে সাধারণ চিনির পরিবর্তে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী এই ক্ষতিকারক কৃত্রিম উপাদানটি ব্যবহার করে থাকে। ঘনচিনি দিয়ে তৈরি খাদ্য জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। ঘনচিনির দ্বারা প্রস্তুত খাদ্য ক্যানসারসহ কিডনি ও লিভারের জটিল রোগের কারণ হতে পারে। জনস্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর বিধায় সরকার আমদানি নীতি আদেশ ২০২১-২০২৪ অনুসারে পণ্যটিকে আমদানি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।
নিষিদ্ধ ঘনচিনি আমদানি করায় কাস্টমস আইন, ২০২৩ এর বিধান মোতাবেক পণ্যচালানটি চট্টগ্রাম কাস্টমস আটক করে। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছেন উপ-কমিশনার (প্রিভেন্টিভ) এইচ এম কবীর।
এমডিআইএইচ/ইএ/জেআইএম

10 hours ago
5









English (US) ·