বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (এমআইএসটি) শিক্ষার্থী শেখ আশ-হাবুল ইয়ামিন হত্যাকাণ্ডের অনুসন্ধান প্রতিবেদনে গাফিলতি ও দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নুর আলমের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শৃঙ্খলা-১ শাখা থেকে সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি সাক্ষরিত জারি করা প্রজ্ঞাপনে এ ব্যবস্থার কথা জানানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, মোহাম্মদ নুর আলম অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ), ঢাকা জেলা হিসেবে কর্মরত থাকাকালে ১৮ জুলাই সংঘটিত আশ-হাবুল ইয়ামিন হত্যাকাণ্ডের অনুসন্ধানের জন্য গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির সভাপতি ছিলেন। তবে কমিটির দাখিল করা প্রতিবেদনের নির্ভুলতা ও সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
পর্যালোচনায় দেখা যায়, অনুসন্ধানে কোনো প্রত্যক্ষদর্শী, সাধারণ নাগরিক বা সংবাদকর্মীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়নি। দোষীদের ব্যক্তিগত দায় নির্ধারণের পরিবর্তে সমষ্টিগত দায় দেখানো হয় এবং কোনো দায়ী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক বা বিভাগীয় ব্যবস্থার সুপারিশ করা হয়নি।
এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলা ও উদাসীনতার অভিযোগে নুর আলমের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু করা হয় এবং তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে তিনি লিখিত জবাব দাখিল ও ব্যক্তিগত শুনানির আবেদন করেন।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ অনুযায়ী তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে পুলিশ টেলিকম সংস্থার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলমকে নিয়োগ করা হয়। তদন্তে প্রথম প্রতিবেদনে অভিযোগ প্রমাণিত হলেও সম্পূরক প্রতিবেদনে ‘অসদাচরণ’-এর অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি বলে উল্লেখ করা হয়।
সবশেষে লিখিত জবাব, শুনানিকালীন বক্তব্য ও তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা শেষে নুর আলমের বিরুদ্ধে আনীত ‘অসদাচরণ’-এর অভিযোগে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ এর ৪(২)(১)(ক) অনুযায়ী ‘তিরস্কার’ শাস্তি প্রদান করা হয়েছে।
টিটি/এমএমকে/জিকেএস

7 hours ago
5









English (US) ·