জকসু নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র হচ্ছে, অভিযোগ ছাত্রশক্তি ও শিবিরের

1 day ago 12

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে জাতীয় ছাত্রশক্তি ও ইসলামী ছাত্রশিবির। রোববার (২ অক্টোবর) পৃথক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠন দুটি এ অভিযোগ করে।

আজ সকালে জকসু নির্বাচনের আচরণবিধি প্রণয় বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে মতবিনিময় সভা হয়। এতে মেশিনের পরিবর্তে ম্যানুয়ালি ভোট গণনা, ভোটের সময় পিছিয়ে দেওয়া ও নির্বাচনের ৯৬ ঘণ্টা আগ পর্যন্ত কল্যাণমূলক কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ দেওয়ার দাবি জানান জবি ছাত্রদলের নেতারা। ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিক প্রবেশের ক্ষেত্রে ছাত্রসংগঠনগুলোর অনুমতি নেওয়ারও দাবি করেন।

এর পরিপ্রেক্ষিতে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে জবি শাখা জাতীয় ছাত্রশক্তির আহ্বায়ক ফয়সাল মুরাদ অভিযোগ করেন, ছাত্রদল জকসু নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র করছে। অপরদিকে ছাত্রশিবিরের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম দাবি করেন, নির্বাচন কমিশন একটি বিশেষ গোষ্ঠীর হয়ে নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র করেছে।

ছাত্রশক্তির সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সদস্যসচিব শাহিন মিয়া বলেন, ‘একটি সংগঠন নির্বাচন পেছানোর চেষ্টা করছে, আরেকটি সংগঠন তড়িঘড়ি করে নির্বাচন দিতে চাইছে। আমরা চাই এমন একটি নির্বাচন, যেখানে শিক্ষার্থীরা অবাধে অংশ নিতে পারবে এবং সবাই সমান সুযোগ পাবে। নির্বাচন কমিশন যেন প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে একটি গ্রহণযোগ্য সময়সূচি ঘোষণা করে এবং কোনো পক্ষের ওপর প্রভাবে না পড়ে।

শাহিন আরও বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের যে সাহসী ও নিরপেক্ষ ভূমিকা দেখানোর কথা, আজকের মতবিনিময় সভায় আমরা তা দেখতে পাইনি।’

অন্যদিকে শিবিরের সংবাদ সম্মেলনে জবি শাখার সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের সবাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অংশ। তারা ২৭ নভেম্বর নির্বাচন হওয়ার বিষয়ে আগে থেকেই অবগত। কিন্তু তারপরও ১০ ডিসেম্বরকে সামনে রেখে নির্বাচনের খসড়া প্রণয়ন করে। একটা গ্রুপকে সুবিধা দিয়ে অন্য একটা গ্রুপকে অসুবিধায় ফেলতে, সর্বোপরি শিক্ষার্থীদের ভোটাধিকার হরণের পাঁয়তারা করছে নির্বাচন কমিশন।’

রিয়াজুল বলেন, ‘তারা (কমিশন) একটা পক্ষকে বিশেষ সুবিধা দিতে ১০ ডিসেম্বর নির্বাচনের জন্য খসড়া রোডম্যাপ প্রস্তুত করে মিটিংয়ে উপস্থিত হয়েছেন এবং আরও পেছানোর বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। আলোচনার টেবিলে তারা একটা পক্ষের সব কথা শুনছেন কিন্তু অন্যদের কথায় গুরুত্ব দিচ্ছেন না। তাদের সার্বিক কাজের ধরন দেখে মনে হচ্ছে তারা নির্বাচন পেছানোর মানসিকতা নিয়েই আলোচনার টেবিলে বসছেন।’

শিবির সভাপতি জানান, ১৩ ডিসেম্বর থেকে নতুন ব্যাচের ভর্তি পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে। ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। নির্বাচন কমিশন ১৬ ডিসেম্বরের পরে নির্বাচন নিয়ে বিলম্বিত করতে চায়। কিন্তু তখন যদি জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয় কিংবা আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়, তবে জকসু নির্বাচন করা কঠিন হয়ে পড়বে। এরপর আসবে শীতকালীন ছুটি। তখন শিক্ষার্থীরা থাকবে না, অনেকে বাসায় যাবেন। ফলে ২০ তারিখের পরও নির্বাচন করা সম্ভব নয়।

টিএইচকিউ/একিউএফ/জিকেএস

Read Entire Article