জাবি শিক্ষক নাহরিনের বিরুদ্ধে জামায়াত নেতার মানহানি মামলা

8 hours ago 6

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. নাহরিন ইসলাম খানের বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগ এনে মামলা করেছেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ও সিরাজগঞ্জ-২ (সদর-কামারখন্দ) আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক জাহিদুল ইসলাম।

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জ সদর থানা আমলি আদালতে এ মামলা করেন তিনি। আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

আদালতের আইনজীবী আবু তালেব আকন্দ জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি মামলার বরাত দিয়ে বলেন, গত ২৫ অক্টোবর বেসরকারি একটি টেলিভিশনের অনুষ্ঠানে ড. নাহরিন ইসলাম খান সিরাজগঞ্জ জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক জাহিদুল ইসলামের বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারের কথা উল্লেখ করে মিথ্যা, ‘বানোয়াট ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেন। ড. নাহরিন ইসলাম খান ওই বক্তব্যে বলেন, ‘‘সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি বিবিসির এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ নেতারা পালিয়ে গেলে তাদের স্ত্রীদের প্রতি জামায়াতের হক রয়েছে।’’ ওই বক্তব্যে তিনি দর্শকদের বুঝিয়েছেন, জামায়াতের লোকেরা নারী লোভী।’

জাবি শিক্ষক নাহরিনের বিরুদ্ধে জামায়াত নেতার মানহানি মামলা

বক্তব্যের ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে৷ এই বক্তব্যকে মিথ্যা, বানোয়াট ও কুরুচিপূর্ণ দাবি করে এতে অধ্যাপক জাহিদুল ইসলামের সম্মানহানি হয়েছে বলে মামলায় বলা হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ১১ অক্টোবর বিবিসি নিউজ বাংলায় প্রকাশিত জামায়াত নেতা অধ্যাপক জাহিদুল ইসলাম ওই সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের কিছুসংখ্যক হয়ত ভোটদান থেকে বিরত থাকতে পারে। আর অধিকাংশ লোক ভোটটা আমাদের (জামায়াত) দেবে, যাতে তারা নিরাপদে থাকতে পারেন। ৫ আগস্টের পরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হয়েছেন। তবে আমাদের দ্বারা কেউ এই হয়রানির শিকার হয়নি। যার ফলশ্রুতিতে সাধারণ ভোটার ও সাপোর্টার ভোটার যারা আছেন, এরা আমাদের দ্বারা যেহেতু হয়রানির শিকার হয়নি, সেহেতু আমাদের ধারণা তাদের ভোটটা আমাদের দিকেই আসবে ইনশাআল্লাহ।’

জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক জাহিদুল ইসলাম বলেন, জাবি শিক্ষক ড. নাহরিন ইসলাম খান আমার বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়ে আমার ব্যক্তিগত মর্যাদা ও জামায়াতে ইসলামীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে। এ কারণে তার বিরুদ্ধে আমি আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছি।

এম এ মালেক/এমএন/জেআইএম

Read Entire Article