দীর্ঘ ১৬ বছর পর ফের চালু হতে যাওয়া জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষার সময়সূচিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। নতুন সময়সূচি অনুযায়ী—আগামী ২৮ ডিসেম্বর এ পরীক্ষা শুরু হবে, যা চলবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ও জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষার নির্বাহী কমিটির সভাপতি বি এম আব্দুল হান্নানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংশোধিত সময়সূচি অনুযায়ী—২৮ ডিসেম্বর বাংলা, ২৯ ডিসেম্বর ইংরেজি, ৩০ ডিসেম্বর গণিত ও ৩১ ডিসেম্বর বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বিষয়ের পরীক্ষা নেওয়া হবে। প্রতিদিন সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরু হবে, চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত।
এর আগে ঘোষিত সূচি অনুযায়ী—২১ ডিসেম্বর পরীক্ষা শুরু হয়ে ২৪ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা ছিল। তাছাড়া ২০২৬ সালের ৩১ জানুয়ারি ফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত ছিল। তবে সংশোধিত নতুন সময়সূচিতে জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশের সময় জানানো হয়নি।
পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ নির্দেশনা
প্রকাশিত সূচিতে শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, পরীক্ষার্থীরা তাদের প্রবেশপত্র নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানপ্রধানের কাছ থেকে পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে সাতদিন আগে সংগ্রহ করবে।
পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে অবশ্যই পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার কক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে। প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত সময় অনুযায়ী পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে।
পরীক্ষার্থীরা তাদের নিজ নিজ উত্তরপত্রের ওএমআর ফরমে তার পরীক্ষার রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বিষয় কোড ইত্যাদি যথাযথভাবে লিখে বৃত্ত ভরাট করবে। কোনো অবস্থাতেই উত্তরপত্র ভাঁজ করা যাবে না।
পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবেন। কেন্দ্রসচিব ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তি ও পরীক্ষার্থী পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোনসহ অন্য কোন ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস সঙ্গে আনতে পারবেন না।
মাউশি সূত্র জানায়, জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষায় অনলাইনে ফরম পূরণ শুরু হবে ৫ অক্টোবর, যা চলবে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত। সোনালী সেবার মাধ্যমে ফি জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১২ অক্টোবর।
প্রশ্নপত্র বণ্টন ও যাচাইকরণের কাজ হবে ২৬ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত। ১৬ থেকে ২৩ নভেম্বরের মধ্যে প্রশ্নপত্র জেলা প্রশাসকদের প্রতিনিধির কাছে হস্তান্তর করা হবে।
অংশ নেবে ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থী, পরীক্ষা ৪ বিষয়ে
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা জানান, শিক্ষার্থীদের দুই ধরনের জনিয়র বৃত্তি দেওয়া হবে। ট্যালেন্টপুল ও সাধারণ বৃত্তি। পরীক্ষা হবে চারটি বিষয়ে। এর মধ্যে তিনটি বিষয়ে ১০০ নম্বর করে ৩০০ এবং দুটি বিষয় একসঙ্গে করে ৫০ নম্বরে করে মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হবে। সর্বমোট নম্বর থাকবে ৪০০।
বাংলা ১০০, ইংরেজি ১০০, গণিত ১০০, বিজ্ঞান ৫০ এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে ৫০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। প্রতিটি পরীক্ষার সময় ৩ ঘণ্টা। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় বরাদ্দ থাকবে।
জুনিয়র বৃত্তির নীতিমালা অনুযায়ী, মাধ্যমিক বা নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত অষ্টম শ্রেণির সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থী (সপ্তম শ্রেণির সব প্রান্তিকের সামষ্টিক মূল্যায়নের ফলের ভিত্তিতে) জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটি সময়ে সময়ে এ সংখ্যা পুনরায় নির্ধারণ করতে পারবে।
এএএইচ/এমআইএইচএস/এএসএম

 2 days ago
                        6
                        2 days ago
                        6
                    








 English (US)  ·
                        English (US)  ·