ওয়ানডে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে জয় পেয়েই আত্মবিশ্বাসে উড়ছে বাংলাদেশ। এবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সোমবার (আজ) থেকে শুরু হচ্ছে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ, যেখানে ঘরের মাঠে টানা পঞ্চম দ্বি-পাক্ষিক টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের সুযোগের সামনে সাকিববিহীন বাংলাদেশ। অপরদিকে, সাতটি টানা টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ মরিয়া নিজেদের হারানো ছন্দ ফিরে পেতে।
জুলাই থেকে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে দুর্দান্ত সময় কাটাচ্ছে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ও নেদারল্যান্ডসকে হারানোর পর এশিয়া কাপে খারাপ পারফরম্যান্স সত্ত্বেও আফগানিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করে দলটি। এবার তাদের সামনে পঞ্চম টানা সিরিজ জয়ের সুযোগ।
বাংলাদেশ দল এই সিরিজের জন্য একই কোর স্কোয়াড ধরে রেখেছে। ব্যাটিং লাইনআপে নিচের দিক পর্যন্ত আক্রমণাত্মক ব্যাটারদের উপস্থিতি দলকে ভারসাম্য এনে দিয়েছে। সঙ্গে রয়েছে কার্যকরী স্পিন আক্রমণ ও অভিজ্ঞ পেস ইউনিট— যা সাম্প্রতিক সাফল্যের মূল চালিকা শক্তি ছিল।
গত বছরের অক্টোবর থেকে টানা সাতটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ হেরেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, যার মধ্যে রয়েছে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে পরাজয়। সবচেয়ে কষ্টের এবং লজ্জাজনক হার ছিল, আরব আমিরাতে নেপালের বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজে, যেখানে নেতৃত্বে ছিলেন আকিল হোসেন।
বর্তমান অধিনায়ক শাই হোপ এবার সিরিজে ব্যাট হাতে ঘুরে দাঁড়াতে চান। যদিও ঢাকায় সদ্য শেষ হওয়া ওয়ানডে সিরিজেও ২-১ ব্যবধানে হারতে হয়েছে ক্যারিবীয়দের। দলের প্রধান কোচ ড্যারেন স্যামি বলেছেন, ‘বাংলাদেশ যেমন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ওয়ানডেতে হেরেও টি-টোয়েন্টিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল, আমরাও এবার সেটা করতে চাই।’
ঢাকার কঠিন ব্যাটিং পিচে ব্যাটাররা ভুগলেও চট্টগ্রামে কিছুটা ‘স্বস্তি’ পাওয়ার আশা দুই দলেরই। বাংলাদেশ দলে ফিরেছেন লিটন দাস, যিনি ওপেনিংয়ে সাইফ হাসানের সঙ্গে জুটি বাধবেন। বাঁ-হাতি ব্যাটারদের মধ্যে তানজিদ হাসান তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমন– দু’জনেরই জায়গার জন্য লড়াই রয়েছে।
মিডল অর্ডারে থাকবেন তাওহিদ হৃদয় ও নুরুল হাসান সোহান, আর ফিনিশিংয়ে দায়িত্বে থাকবেন জাকের আলী ও শামীম হোসেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে টপ অর্ডারে থাকছেন ব্রেন্ডন কিং ও শাই হোপ। মিডল অর্ডারে অ্যালিক আথানাজে, আকিম অগাস্ট ও আমির জাঙ্গু। শেষদিকে বড় শটের দায়িত্ব রোভম্যান পাওয়েল ও শেরফান রাদারফোর্ডের কাঁধে।
চট্টগ্রামের উইকেটে সাধারণত ব্যাটাররাই বেশি সুবিধা পান, তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ চাইবে কিছুটা গতি ও বাউন্স পেতে। জাইডেন সিলস ও জেসন হোল্ডার পেতে পারেন সেই সুবিধা, অন্যথায় নতুন বলে বল করবেন স্পিনার আকিল হোসেন।
গুদাকেশ মোতি চাইবেন ওয়ানডের ব্যর্থতা কাটিয়ে উইকেট নিতে। নজরে থাকবেন নতুন মুখ রামন সিমন্স, যিনি নেপালে দুর্দান্ত অভিষেক করেছিলেন।
বাংলাদেশের দিক থেকে বোলিং ইউনিট যথেষ্ট ভারসাম্যপূর্ণ। শেখ মেহেদি সাধারণত নতুন বলে বোলিং করেন, সঙ্গে রিশাদ হোসেন ও নাসুম আহমেদ সামলান মিডল ওভার। মোস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদকে সিরিজে রোটেশনে খেলানো হবে, আর তানজিম হাসান সাকিবকে ব্যবহার করা হতে পারে ডেথ ওভারে। শরিফুল ইসলাম পেতে পারেন এক-দুই ম্যাচ, যদি উইকেটে সুইং থাকে।
আইএইচএস/

2 weeks ago
9









English (US) ·