ঠাকুরগাঁওয়ের বিস্তীর্ণ মাঠ এখন সোনালি ফসলের ঢেউ। এবার জেলায় ধানের ফলন ভালো ফসল হওয়ায় খুশি কৃষকরা। তবে হাসির আড়ালে লুকিয়ে আছে এক নিঃশব্দ কষ্ট। ফলন ভালো হলেও ন্যায্য দাম না পেয়ে হতাশ কৃষকরা।
জেলার বিভিন্ন উপজেলা ঘুরে দেখা গেছে, মাঠে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। কেউ ধান কাঁধে করে ঘরে তুলছেন, কেউবা মাড়াই করে করছেন চাল। তবে উৎপাদন খরচের তুলনায় বাজারে ধানের দাম কম হওয়ায় তারা লাভের মুখ দেখতে পারছেন না।
স্থানীয় কৃষক শুভ, রিপন আলী, ইব্রাহিম ও আবুল হোসেন জানান, ৫০ শতকরে এক বিঘা জমিতে এবার ধানের ফলন হয়েছে ৩০ থেকে ৩৫ মণ। কিন্তু উৎপাদন খরচ (সার, বীজ, শ্রম, জমি লিজ ও পরিবহন) মিলে প্রতি বিঘায় প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা ব্যয় হচ্ছে। অন্যদিকে বাজারে ধানের দাম প্রতি দুই মণের বস্তা ২ হাজার ২০০ থেকে ২, হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা দিয়ে খরচও উঠছে না।
তারা আরও বলেন, ধানের ফলন ভালো হয়েছে, কিন্তু দাম নেই। যদি তিন হাজার টাকা বস্তা পেতাম, তাহলে কিছুটা লাভ থাকতো। তবে সরকার যদি ন্যায্য দাম নির্ধারণ করে ধান ক্রয় করে তাহলে কৃষকরা ন্যূনতম লাভে টিকে থাকতে পারবে।
ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. মাজেদুল ইসলাম বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার জেলায় ধানের ফলন ভালো হয়েছে। তবে বাজারে দামের কিছুটা ওঠানামা থাকলেও কৃষকরা পরবর্তী ফসলের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন। সরকার ধানের মূল্য নির্ধারণ করলে দামও কিছুটা বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
কৃষি অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে ঠাকুরগাঁও জেলার ১ লাখ ৩৭ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৮৮ হাজার টন চাল। ইতিমধ্যে প্রায় ১০ শতাংশ জমির ধান কাটা সম্পন্ন হয়েছে।
তানভীর হাসান তানু/এনএইচআর/জেআইএম

4 hours ago
5









English (US) ·