তদন্ত হচ্ছে বিপিসির সেই ১২৫ কোটি টাকা গচ্চার ঘটনা

14 hours ago 6

দেশের আলোচিত সমালোচিত শিল্পগ্রুপ সামিটের মালিকানাধীন বিদ্যুৎকেন্দ্রে কম দামে বিক্রি করা একই ডিজেল চার বছর পর বেশি দামে কেনে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। পুরো প্রক্রিয়াটি ছিল অস্বচ্ছ। এতে বিপিসির গচ্চা যায় প্রায় ১২৫ কোটি টাকা। ঘটনার দুই বছর পর এ বিষয়ে তদন্তে নেমেছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।

এ ঘটনাসহ বিপিসির নানান দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে দু-একদিনের মধ্যে মন্ত্রণালয়ে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে বলে জাগো নিউজকে জানান জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. সাইফুল ইসলাম।

সামিট গ্রুপের মালিকানাধীন ৩৩৫ মেগাওয়াট সামিট মেঘনাঘাট পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (এসএমপিসিএল) কাছে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসের আগে ৩ কোটি ৮ লাখ ৯৩ হাজার ৭১৯ লিটার ডিজেল বিক্রি করে বিপিসি। কিন্তু এসব তেল কিনলেও অদৃশ্য কারণে ডুয়েল ফুয়েল বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ডিজেলগুলো তাদের ট্যাংকে অব্যবহৃত রেখে দেয়। পরে ক্ষমতার অপব্যবহার করে সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় বিপিসির সাবেক চেয়ারম্যান এবিএম আজাদসহ বিপিসির কিছু কর্মকর্তার সহযোগিতায় ২০২৩ সালের ২৫ জুন থেকে ১৬ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে কিনে নেয় বিপিসি। এসব জ্বালানি কিনতে লিটারপ্রতি ৪০ টাকা বেশি পরিশোধ করা হয়। অথচ জ্বালানি নীতি অনুযায়ী, বিক্রি করা তেল বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো থেকে কেনার কোনো নিয়ম নেই।

পুরো বিষয়টি নিয়ে ‘কম দামে বেচা তেল বেশি দামে কেনা’ শিরোনামে দুই পর্বের সিরিজ প্রতিবেদন প্রকাশ করে জাগো নিউজ। ২০২৪ সালের ৫ মার্চ ‘কম দামে বেচা তেল বেশি দামে কিনলো বিপিসি, গচ্চা ১২৫ কোটি’ এবং ৬ মার্চ ‘ডিজেলের মান পরীক্ষায় বিপিসির ছলচাতুরি!’ শিরোনামে প্রতিবেদন দুটি প্রকাশ হয়। প্রতিবেদন প্রকাশের পর দুর্নীতির ঘটনাটি আলোচনায় এলেও বিষয়টি চেপে যায় মন্ত্রণালয়।

সম্প্রতি চট্টগ্রামে এক সরকারি কর্মসূচিতে প্রতিবেদকের এক প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান সামিটের কাছ থেকে বিক্রিত ডিজেল পুনরায় কিনে ১২৫ কোটি টাকা বিপিসির গচ্চার বিষয়টি তদন্ত চলছে বলে জানান।

আরও পড়ুন
ডিজেলের মান পরীক্ষায় বিপিসির ছলচাতুরি!
কম দামে বেচা তেল বেশি দামে কিনলো বিপিসি, গচ্চা ১২৫ কোটি
বেসরকারিতে ঝুঁকছে জ্বালানি খাত, একক নিয়ন্ত্রণ হারাবে বিপিসি
৪৭ বছর ধরে ‘পরের ঘরে’ বিপিসি

বিপিসি সূত্র জানায়, সামিট মেঘনাঘাট পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের ৩৩৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ডুয়েল ফুয়েল কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্রের সঙ্গে বিপিসির জ্বালানি (ডিজেল) সরবরাহের চুক্তি রয়েছে। ২০১৬ সাল থেকে বিপিসির নিয়ন্ত্রণাধীন পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েল থেকে ডিজেল নেয় এসএমপিসিএল। এ প্ল্যান্টে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে গ্যাস দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করলে ডিজেলের ব্যবহার বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু শেষ দুই বছরে (২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসের আগে) বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে ৩ কোটি ১০ লাখ লিটার ডিজেল অব্যবহৃত রয়ে যাওয়ার কথা পিডিবিকে জানায় এসএমপিসিএল। ২০২২ সালের ৭ ডিসেম্বর এসব ডিজেল কেনার অনুরোধ জানিয়ে বিপিসিকে চিঠি দেয় পিডিবি।

এদিকে দীর্ঘদিন ট্যাংকে পড়ে থাকায় এসব ডিজেলের রং পরিবর্তন হয়ে যায়, পাওয়া যায় মাত্রাতিরিক্ত সালফারও। বিপিসির ভাষ্যে ‘অফ-স্পেক’ (বিএসটিআই মানমাত্রা অযোগ্য) ঘোষিত এসব ডিজেল বাজারজাত করা নিয়েও মিথ্যা তথ্যের আশ্রয় নেয় বিপিসি। ব্লেন্ডিং ছাড়াই বাজারে ছাড়া হয় এসব ডিজেল। এর আগে পরীক্ষায় ‘নট কমপ্লাই’ হওয়া এক ট্যাংক ডিজেলের পরীক্ষায়ও ছলচাতুরির আশ্রয় নেয় বিপিসি।

জাগো নিউজের হাতে আসা মন্ত্রণালয়ের সভার কার্যবিবরণী পর্যালোচনায় এসব তথ্য পাওয়া যায়।

দু-একদিনের মধ্যে আমরা এটিসহ বিপিসির অনেকগুলো দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে একটি মিটিং করবো। তখন বিষয়টি পর্যালোচনা করা হবে।- জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. সাইফুল ইসলাম

বাংলাদেশ সচিবালয়ে তৎকালীন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ২০২৩ সালের ২ নভেম্বরের ওই সভায় বিপিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়- ‘সামিট, পিডিবি, বিপিসি, তেল বিপণন কোম্পানি ও সার্ভেয়ারের উপস্থিতিতে সামিটের ১৬ ট্যাংক থেকে ১৫ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ডিজেল গ্রহণ করা হয়। দীর্ঘদিন ট্যাংকে থাকার কারণে সামিটের ডিজেলের রং কিছুটা বিবর্ণ হওয়ায় এবং সালফারের পরিমাণ কিছুটা বেশি থাকায় তা বিপিসির আমদানি করা উচ্চমানের ডিজেলের সঙ্গে ব্লেন্ড করে বিএসটিআই মানে উন্নীত করে বিক্রি করা হয়েছে।’

মন্ত্রণালয়ের সভায় গ্রহণ করা ডিজেল ব্লেন্ড করে বিক্রির কথা বলা হলেও মূলত এসব ডিজেল ব্লেন্ড করা ছাড়াই ডিলারদের মাধ্যমে বাজারে ছেড়েছে বিপিসি। পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড ও মেঘনা পেট্রোলিয়ামের গোদনাইল ডিপো এবং যমুনা অয়েলের ফতুল্লা ডিপোর মাধ্যমে এসব ডিজেল গ্রহণ করে বিপিসি। ওই তিন ডিপোতে ব্লেন্ডিং করার সুযোগ নেই। বিষয়টি ডিপোর কর্মকর্তারাই নিশ্চিত করেন।

২০২৩ সালের ২০ আগস্ট বিপিসিকে দেওয়া পিডিবির চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, সামিট মেঘনাঘাট পাওয়ার থেকে পদ্মা অয়েল গোদনাইল ডিপোতে ছয় জাহাজে এক কোটি ১২ লাখ এক হাজার ৮৬৪ লিটার, মেঘনা পেট্রোলিয়ামের গোদনাইল ডিপোতে পাঁচ জাহাজে ৯৮ লাখ ২০ হাজার ৩০২ লিটার এবং যমুনা অয়েলের ফতুল্লা ডিপোতে পাঁচ জাহাজে ৯৮ লাখ ৭১ হাজার ৫৫৩ লিটার মিলে তিন কোটি ৮ লাখ ৯৩ হাজার ৭১৯ লিটার ডিজেল সরবরাহ দেওয়া হয়।

বিক্রি করা এসব ডিজেল ২০২৩ সালের ২৫ জুন থেকে ১৬ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে পদ্মা অয়েল কোম্পানি, মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড এবং যমুনা অয়েল কোম্পানির গোদনাইল ও ফতুল্লা ডিপো গ্রহণ করে।

প্রথমে ‘নট কমপ্লাই’ ডিজেল যেভাবে হয়ে যায় ‘কমপ্লাই’

সামিটের ডিজেল গ্রহণ নিয়ে বিপিসির কমিটি সামিট মেঘনাঘাট পাওয়ার প্ল্যান্টের আটটি (৭-১, ৭-২, ৭-৩, ২-১, ২-২, ২-৩, ২-৪ এবং ২-৫) ট্যাংক থেকে ডিজেলের আলাদা আলাদা স্যাম্পল (নমুনা) সংগ্রহ করে। আলাদা বোতলে ভর্তি এসব স্যাম্পল পরীক্ষার জন্য ২০২৩ সালের ১৬ জানুয়ারি ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডে (ইআরএল) পাঠানো হয়। স্যাম্পল পরীক্ষা শেষে ৩১ জানুয়ারি বিপিসিকে রিপোর্ট দেয় ইআরএল। পরীক্ষায় ‘২-৫’ ট্যাংকের স্যাম্পলে ‘এএসটিএম ডি ৮৬’ মানটি ৩৭০.৯ পাওয়া যাওয়ায় ‘নট কমপ্লাই’ রিপোর্ট দেওয়া হয়। বিএসটিআই মান অনুযায়ী ‘এএসটিএম ডি ৮৬’ মান সর্বোচ্চ ৩৬৫ হওয়ার কথা। তবে পরীক্ষায় অন্য স্যাম্পলগুলো কমপ্লাই হয়।

বিপিসির কমিটি প্রথমে ওই ট্যাংকের (২-৫) ডিজেল গ্রহণ না করার বিষয়ে মতামত দেয়। পরে আবার গ্রহণ করার জন্য নতুন কৌশল প্রণয়ন করে। এবার সবগুলো ট্যাংকের স্যাম্পল ব্লেন্ডিং করে একটি ‘এএসটিএম ডি ৮৬’ মান বের করার সিদ্ধান্ত নেয় বিপিসি। যাতে নির্ধারিত মানের অন্য সাতটির সঙ্গে মিশে ‘নন কমপ্লাই’ ট্যাংকটিও কমপ্লাই করা যায়।

কৌশল অনুযায়ী ২০২৩ সালের ৩০ এপ্রিল ইআরএলকে পুনরায় স্যাম্পল পরীক্ষার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দেন কমিটির আহ্বায়ক। আগের পরীক্ষায় ‘২-৫’ ট্যাংকের স্যাম্পলে ‘এএসটিএম ডি ৮৬’ মান ‘নট কমপ্লাই’ হওয়ার কথা উল্লেখ করে চিঠির একটি অংশে উল্লেখ করা হয়- ‘সামিট মেঘনাঘাট পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের প্ল্যান্ট থেকে সংগৃহীত ডিজেলের ৮ বোতল নমুনা পুনরায় বেল্ডিং করে শুধু ‘এএসটিএম ডি ৮৬’ মানটি পরীক্ষণের বিষয়ে বিপিসি কর্তৃপক্ষের অনুমোদন রয়েছে।’

যথারীতি সবগুলো বোতলের স্যাম্পল ব্লেন্ডিং (একত্রে মেশানো) করে ‘এএসটিএম ডি ৮৬’ মান ৩৬৪.৭ পায় ইআরএল। এতে বেল্ডিং করা স্যাম্পল ‘কমপ্লাই’ উল্লেখ করে ২০২৩ সালের ৭ মে বিপিসিকে রিপোর্ট দেয় ইআরএল।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইস্টার্ন রিফাইনারির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বলেন, ‘বিপিসি থেকে আমাদের যেসব স্যাম্পল দেওয়া হয়, সেগুলো বিপিসির নির্দেশনা অনুযায়ী পরীক্ষা করে রিপোর্ট দেওয়া হয়। সামিট মেঘনাঘাট পাওয়ার প্ল্যান্টের ডিজেল পরীক্ষার ক্ষেত্রে আটটি আলাদা বোতলে ডিজেলের স্যাম্পল দেওয়া হয় পরীক্ষার জন্য। আলাদা আলাদা বোতলের ডিজেল পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেওয়া হয়। পরবর্তীসময়ে বিপিসি আলাদা চিঠিতে আবার আট বোতল ডিজেল একত্রে ব্লেন্ড করে রিপোর্ট দিতে বলে। এরপর আমরা ব্লেন্ড করার পর যে মাত্রা পাওয়া গেছে তার প্রতিবেদন দিয়েছিলাম।’

বিপিসির ১২৫ কোটি টাকা গচ্চা যেভাবে

বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক সভার কার্যবিবরণীতে উল্লেখ করা সিদ্ধান্তে দেখা যায়, ‘বিপিসি সামিটের প্ল্যান্ট থেকে সংগৃহীত ডিজেলের মূল্য ডিজেলের ভোক্তা পর্যায়ে বিক্রয় মূল্য ১০৯ টাকা/লিটার থেকে লিটারপ্রতি ব্যয়িত খরচ (ভ্যাট ১৩.২৩ টাকা+ সমান পরিবহন ভাড়া ০.৯০ টাকা+ ফাইন্যান্সিং চার্জ ১.৯৮ টাকা= ১৬.১১ টাকা) বাদ দিয়ে প্রাপ্ত মূল্য (১০৯.০০-১৬১১= ৯২.৮৯ টাকা/লিটারের ওপর ৭ শতাংশ উৎসে কর কেটে লিটারপ্রতি মূল্য পরিশোধ করবে। বিপিসি তেলের মূল্যবাবদ প্রদেয় সমুদয় অর্থ পিডিবি ও কোম্পানির সমন্বয়ে গঠিত অ্যাসক্রো অ্যাকাউন্ট হিসেবে জমা দেবে।

এরপর ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের উপ-সচিব শেখ মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেনের জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে সামিট মেঘনাঘাট পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের প্ল্যান্ট থেকে বিপিসির অনুকূলে গোদনাইল ও ফতুল্লা ডিপোতে সরবরাহ করা ৩ কোটি ৮ লাখ ৯৩ হাজার ৭১৯ লিটার ডিজেল করপূর্ব মূল্য ৯২ হাজার ৮৯০ টাকা/কিলোলিটার এবং মূসক করপূর্ব মূল্যের ১৫ শতাংশ হিসেবে ১৩ হাজার ৯৩৩.৫০ টাকা/কিলোলিটারসহ কর-উত্তর মূল্য ১ লাখ ৬ হাজার ৮২৩.৫০ টাকা/কিলোলিটার হিসেবে দর নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। এতে প্রতি লিটার ডিজেলের করপূর্ব মূল্য নির্ধারণ করা হয় ৯২ টাকা ৮৯ পয়সা।

২০১৭ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সামিটকে যখন ডিজেল সরবরাহ করা হয় তখন ভোক্তা পর্যায়ে ডিজেলের মূল্য ছিল লিটারপ্রতি ৬৫ টাকা। ২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল থেকে এ দামে ভোক্তা পর্যায়ে ডিজেল বিক্রি করে আসছে বিপিসি। ডিজেলের দর নির্ধারণ ও সমন্বয়ের জন্য ২০১৬ সালের ২৪ এপ্রিল জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ জারি করা প্রজ্ঞাপনে ওই ডিজেলের করপূর্ব মূল্য নির্ধারণ করা ছিল লিটারপ্রতি ৫২ টাকা ১৮ পয়সা। ওই হিসেবেই সামিট মেঘনাঘাট পাওয়ার কোম্পানিতে ডিজেল সরবরাহ করে বিপিসি। এতে সামিটের ফেরত দেওয়া ডিজেলে করপূর্ব মূল্যের হিসেবে বিক্রিত মূল্যের চেয়ে প্রতি লিটারে ৪০ টাকা ৭১ পয়সা বেশি পরিশোধ করতে হয়েছে বিপিসিকে। এতে শুধু করপূর্ব মূল্যের হিসেবে ৩ কোটি ৮ লাখ ৯৩ হাজার ৭১৯ লিটার ডিজেল ফেরত নিয়ে বিক্রিমূল্যের চেয়ে ১২৫ কোটি ৭৬ লাখ ৮৩ হাজার ৫৬ টাকা গচ্চা দিতে হয়েছে বিপিসিকে।

বিপিসির ১২৫ কোটি টাকার গচ্চার বিষয়ে তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. সাইফুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘দু-একদিনের মধ্যে আমরা এটিসহ বিপিসির অনেকগুলো দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে একটি মিটিং করবো। তখন বিষয়টি পর্যালোচনা করা হবে।’

এমডিআইএইচ/এএসএ/এমএফএ/এমএস

Read Entire Article