তানজানিয়ায় ইন্টারনেট ফিরলেও বিক্ষোভের ছবি-ভিডিও শেয়ারে নিষেধাজ্ঞা

4 hours ago 2

তানজানিয়ায় ছয়দিন পর ইন্টারনেট সংযোগ ফিরলেও বিক্ষোভের ছবি-ভিডিও শেয়ারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। তারা নাগরিকদের সতর্ক করে বলেছে, ‘জনগণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে পারে’ বিক্ষোভের এমন কোনো ছবি বা ভিডিও শেয়ার করলে তা রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে অভিযুক্ত হবে। সোমবার (৩ নভেম্বর) রাতে মোবাইল ব্যবহারকারীদের কাছে পাঠানো একাধিক বার্তায় এ সতর্কবার্তা দেওয়া হয়।

ইন্টারনেট সংযোগ ফিরে আসার পর সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে বিক্ষোভে নিহতদের বলে দাবি করা একাধিক ছবি ও ভিডিও। এরই মধ্যে এসব দৃশ্য প্রচার করা একটি ফেসবুক পেজ বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

তানজানিয়ার সরকার এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে নিহতের সংখ্যা প্রকাশ করেনি। তবে সোমবার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট সামিয়া সুলুহু হাসান নিহতের ঘটনা স্বীকার করে নিরাপত্তা বাহিনীকে পরিস্থিতি শান্ত করার নির্দেশ দেন।

মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছে, বিরোধী দল চাদেমা’র দাবি অনুযায়ী এক হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। ক্যাথলিক চার্চ জানিয়েছে, নিহতের সংখ্যা ‘শতাধিক হতে পারে’, যদিও কোনো পক্ষেরই দাবি যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

তানজানিয়ায় গত ২৯ অক্টোবরের নির্বাচনের পর এই সহিংসতা শুরু হয়। নির্বাচনে ৯৭ শতাংশ ভোট পেয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন সামিয়া সুলুহু হাসান। তবে বিরোধী প্রার্থীদের অযোগ্য ঘোষণা করায় নির্বাচনের ফল নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক দেখা দেয়। ক্ষুব্ধ তরুণরা রাস্তায় নামলে নিরাপত্তা বাহিনী গুলি ও টিয়ার গ্যাস ছুড়ে দমন অভিযান চালায়। পরবর্তীতে সারাদেশে কারফিউ জারি করা হয়।

মঙ্গলবার নাগাদ রাজধানী দোদোমা ও বাণিজ্যিক শহর দার এস সালামে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। জ্বালানি স্টেশন, বাজার ও গণপরিবহন আবার চালু হয়েছে। সরকারি কর্মচারীদেরও অফিসে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ তানজানিয়ার সরকারকে এ হত্যাকাণ্ডের তদন্ত এবং পূর্ণাঙ্গ ইন্টারনেট পুনর্বহালের আহ্বান জানিয়েছে। সংস্থাটি বলেছে, দমনপীড়ন ও সেন্সরশিপ দেশটির নির্বাচনী প্রক্রিয়ার প্রতি জনগণের আস্থা আরও দুর্বল করছে এবং মতপ্রকাশ ও তথ্যপ্রাপ্তির মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করছে।

সূত্র: এপি, ইউএনবি
কেএএ/

Read Entire Article