‘বেড়া দেওয়া হয় ক্ষেত পাহারা দেওয়ার জন্য; কিন্তু সেই বেড়াই যদি ক্ষেত খাওয়া শুরু করে দেয়, তাহলে সেই ক্ষেত রক্ষা হবে কিভাবে?’- বাংলা প্রবাদ বাক্যেরই যেন হুবহু বাস্তবায়ন হলো তুরস্ক ফুটবলে। দেশটির সরকারী তদন্তে উঠে এসেছে ফুটবল রেফারীদের ফিক্সিংয়ের ভয়াবহ তথ্য। যে রেফারিদের হাতে ফুটবল নিরাপদ থাকার কথা, তারাই ব্যাপকহারে জড়িয়েছেন বাজির সঙ্গে।
তুরস্কের ফুটবলে এক নজিরবিহীন কেলেঙ্কারি ফাঁস হয়েছে। তুর্কি ফুটবল ফেডারেশন (টিএফএ) জানিয়েছে, পেশাদার লিগের ১৫০ জনের বেশি রেফারি ফুটবল ম্যাচে অবৈধভাবে বাজি ধরেছেন, যার মধ্যে রয়েছেন শীর্ষ স্তরের রেফারিরাও।
ফেডারেশনের সভাপতি ইব্রাহিম হাজিওসমানোগলু সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, সরকারী সংস্থাগুলোর তদন্তে পাওয়া গেছে- ৫৭১ জন সক্রিয় রেফারির মধ্যে ৩৭১ জনের অন্তত একটি বেটিং কোম্পানির অ্যাকাউন্ট রয়েছে।

এর মধ্যে ১৫২ জন রেফারি ওই অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে ফুটবল ম্যাচে বাজি ধরেছেন, যার মধ্যে ৭ জন শীর্ষ পর্যায়ের রেফারি ও ১৫ জন সহকারী রেফারি রয়েছেন।
হাজিওসমানোগলু জানান, ১০ জন রেফারি গত পাঁচ বছরে ১০ হাজরেরও বেশি ম্যাচে বাজি ধরেছেন। এর মধ্যে একজন রেফারি একাই ১৮ হাজার ২২৭ ম্যাচে বাজি ধরেছেন, যদিও কেউ কেউ কেবল একবার করে বাজি ধরেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা জানি, তুর্কি ফুটবলে পরিবর্তন প্রয়োজন। আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে তুর্কি ফুটবলকে তার প্রকৃত মর্যাদায় ফিরিয়ে আনা এবং এর ভেতরের সব অশুদ্ধতা দূর করা।’
ফেডারেশন সভাপতি আরও জানান, শৃঙ্খলা বোর্ড দ্রুত তদন্ত করে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।
এ ঘটনার পর তুর্কি ফুটবলে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। সমালোচকরা বলছেন, এটি তুরস্কের ফুটবল ইতিহাসে সবচেয়ে বড় নৈতিক সংকটগুলোর একটি, যা খেলাধুলার বিশ্বাসযোগ্যতাকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে।
আরআই/আইএইচএস/

1 week ago
8








English (US) ·