জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচন বানচালের চেষ্টা প্রয়োজনে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য হতে পারে।
সোমবার (১২ মে) দিনগত মধ্যরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে নির্বাচন কমিশন সই করা ৭ পৃষ্ঠার খসড়া নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা প্রকাশ করা হয়। বিধিমালার ২১ নম্বর বিধিতে বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।
সেখানে বলা হয়, কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি নির্বাচন বানচাল করা বা করার চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য শৃঙ্খলা সংক্রান্ত অধ্যাদেশ ২০১৮’ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কমিশন প্রয়োজনে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় আইনে ব্যবস্থা নিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করবে।
১৬ নম্বর বিধিতে নির্বাচনী প্রার্থীর খরচ সংক্রান্ত বিষয়ে বলা হয়েছে, কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হল সংসদ নির্বাচনের জন্য সর্বোচ্চ চার হাজার টাকা এবং কেন্দ্রীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য সর্বোচ্চ সাত হাজার টাকা ব্যয় করতে পারবে।
বিধিমালার ৬ (ক)(খ)(গ) নম্বরে নির্বাচনী সভা-সমাবেশ ও মিছিল সংক্রান্ত বাধা নিষেধ বিষয়ে বলা হয়, ক্যাম্পাসে যে কোনো ধরনের সভা-সমাবেশ ও মিছিল নিষিদ্ধ থাকবে।
নির্বাচনী প্রচারণার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১০ জনের অধিক একসঙ্গে জমায়েত হওয়া যাবে না বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। একইসঙ্গে নির্বাচনী প্রচারণায় কোনো বহিরাগত ব্যক্তি থাকতে পারবে না। এসব বিধিনিষেধ চূড়ান্ত আচরণ বিধিমালা প্রকাশের সময় থেকে কার্যকর হবে।
এরআগে গত ৩০ এপ্রিল জাকসুর তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মো. মনিরুজ্জামান। তফসিল অনুযায়ী ১২ মে খসড়া নির্বাচনী আচরণবিধি প্রকাশ করা হয়।
সৈকত ইসলাম/এসআর/এমএস

5 months ago
30









English (US) ·