পর্যটকদের পদচারণায় মুখর রাঙ্গামাটির ঝুলন্ত সেতু

2 weeks ago 11

প্রায় ৩ মাস পানিতে ডুবে থাকার পর উন্মুক্ত হয়েছে রাঙ্গামাটির পর্যটনের প্রধান আকর্ষণ ঝুলন্ত সেতুটি। পর্যটকদের পদচারণায় মুখর হয়েছে সেতু এলাকা। শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সকালে সেতুটি পর্যটকদের ভ্রমণের জন্য উন্মুক্ত করা দিয়েছে পর্যটন করপোরেশন কর্তৃপক্ষ।

রাঙ্গামাটি পর্যটন করপোরেশন কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রতি বছর কাপ্তাই হ্রদের পানি বাড়লে সেতুটি পানিতে ডুবে যায়। কখনো ১ মাস আবার কখনো ২ মাস মতো ডুবে থাকে। তবে চলতি বছরে হ্রদের পানি বেড়ে গিয়ে ৪ ফুট পর্যন্ত ডুবে ছিল সেতুটি। পরে ধীরে ধীরে পানি কমতে কমতে ২৩ অক্টোবর সেতুর পাটাতন থেকে পানি নেমে যায়। সেতুটি মেরামত ও রং করে শুক্রবার থেকে পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

ঝুলন্ত সেতুর টিকেট বিক্রেতা মোহাম্মদ সোহেল বলেন, সেতুটি উন্মুক্ত হওয়ায় শুক্রবার ও আজ ব্যাপক পর্যটক এসেছে। ভালো টিকেট বিক্রি হয়েছে। সামনের দিনগুলোতে আরও পর্যটকদের আগমন ঘটবে বলে আশা করছি।

পর্যটকদের পদচারণায় মুখর রাঙ্গামাটির ঝুলন্ত সেতু

পর্যটন বোট ঘাটের লাইনম্যান ফখরুল ইসলাম বলেন, সেতুটি পানিতে ডুবে থাকায় পর্যটক তেমন আসতো না। তবে শুক্রবার থেকে উন্মুক্ত হওয়ায় অনেক পর্যটকের সমাগম ঘটেছে। দুদিনে প্রায় ৫০ টি বোট ভাড়া হয়েছে।

ঢাকা থেকে প্রথমবার রাঙ্গামাটিতে বেড়াতে এসেছেন সাংবাদিক সেলিম আহামেদ। তিনি বলেন, রাঙ্গামাটি এসে প্রথমে মনে পড়েছে ঝুলন্ত সেতুর কথা। তাই সবার আগে এখানে ছুটে এসেছি। এসে জানতে পারলাম গতকাল সেতুটি উন্মুক্ত হয়েছে। রাঙ্গামাটির সবগুলো স্পটই অনেক সুন্দর। তবে ঝুলন্ত সেতুটি বেশি আকর্ষণীয়। এখানকার পাহাড় ও কাপ্তাই লেকের অপরূপ সৌন্দর্য যে কাউকে মুগ্ধ করবে।

চট্টগ্রাম থেকে বন্ধুদের সাথে ঝুলন্ত সেতু দেখতে এসেছেন শিক্ষার্থী শম্পা সাদিয়া। তিনি বলেন, আমি মাস খানেক আগে পরিবারের সঙ্গে বেড়াতে এসেছিলাম এখানে। তখন সেতুটি ডুবে ছিল। শুক্রবার খবর পেলাম সেতুটি ভেসে উঠেছে এবং পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। তাই আজ আমরা বন্ধুরা মিলে ঘুরতে এসেছি। ঝুলন্ত সেতুতে উঠে খুব ভালো লেগেছে। এটা ছাড়া রাঙ্গামাটি ভ্রমণের পূর্ণতা হয় না।

পর্যটকদের পদচারণায় মুখর রাঙ্গামাটির ঝুলন্ত সেতু

রাঙ্গামাটি পর্যটন করপোরেশনের ম্যানেজার আলোক বিকাশ চাকমা বলেন, প্রায় তিন মাস পানিতে সেতুটি ডুবে থাকার পর গত বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সেতুর পাটাতন থেকে পানি নেমে গেছে। শুক্রবার থেকে পর্যটকদের জন্য সেতুটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। প্রথম দিনে এক হাজারে ওপর পর্যটকের সমাগম ঘটছে। আজও অনেক পর্যটকের সমাগম হয়েছে। আশা করছি সামনের পর্যটন মৌসুমে ব্যাপক পর্যটকের সমাগম ঘটবে।

এর আগে এ বছরের ৩০ জুলাই থেকে কাপ্তাই হ্রদের পানি বাড়ার কারণে হ্রদের পানিতে ডুবে যায় পর্যটন কেন্দ্রের ঝুলন্ত সেতুটি। দীর্ঘ ২ মাস ২৬ দিন পর বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) ঝুলন্ত সেতুটি ভেসে উঠেছে।

আরমান খান/আরএইচ/এমএস

Read Entire Article