পাঁচ বছরের নিচের শিশুদের জন্য আলোকিত ভবিষ্যৎ

20 hours ago 5

শিশুদের জন্য পুষ্টি, স্বাস্থ্য এবং ওয়াশ খাতে উল্লেখযোগ্য বহুপাক্ষিক সহযোগিতামূলক উদ্যোগ ‘রাইট টু গ্রো’র জাতীয় সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৪ নভেম্বর ঢাকায় রাইট টু গ্রো কান্ট্রি কনসোর্টিয়ামের পক্ষ থেকে ম্যাক্স ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের নেতৃত্বে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে সরকারি কর্মকর্তা, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, জাতিসংঘ সংস্থা, বেসরকারি খাত, সিভিল সোসাইটি এবং কর্মসূচি এলাকাসমূহের কমিউনিটি প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন রাইট টু গ্রো কনসোর্টিয়ামের গ্লোবাল লিড ও দ্য হাঙ্গার প্রজেক্ট নেদারল্যান্ডসের কান্ট্রি ডিরেক্টর মিসেস আনেলিস কানিস, নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের সিনিয়র পলিসি অ্যাডভাইজার ওসমান হারুনি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল নিউট্রিশন কাউন্সিলের মহাপরিচালক ড. মো. রিজওয়ানুর রহমান, স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্ম সচিব খন্দকার মো. নাজমুল হুদা শামীম, ন্যাশনাল নিউট্রিশন কাউন্সিলের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর সুমন সেনগুপ্ত, দ্য হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর প্রশান্ত ত্রিপুরা, অ্যাকশন এগেইনস্ট হাঙ্গারের কান্ট্রি ডিরেক্টর মোহাম্মদ আকমল শরীফ, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের সিনিয়র ডিরেক্টর (অপারেশনস) চন্দন জে. গোমেজ। এ ছাড়া কনসোর্টিয়াম এবং অংশীদার সংস্থার অন্যান্য ঊর্ধ্বতন প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনী বক্তব্যে ম্যাক্স ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ও রাইট টু গ্রো কান্ট্রি স্টিয়ারিং কমিটির চেয়ারপারসন ড. এটিএম তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘রাইট টু গ্রো দেখিয়েছে যে সরকার, সিভিল সোসাইটি এবং স্থানীয় কমিউনিটি একসঙ্গে কাজ করলে শিশু ও মাতৃ পুষ্টি, স্বাস্থ্য এবং স্যানিটেশন উন্নয়নে টেকসই পরিবর্তন সম্ভব।’

বক্তারা বলেন, ‘ওয়াশ-পুষ্টি সেবা টেকসইভাবে সম্প্রসারণ ও শক্তিশালীকরণের জন্য বেসরকারি খাতের সক্রিয় অংশগ্রহণ অপরিহার্য। রাইট টু গ্রো কর্মসূচির সফল পদ্ধতি ও শিক্ষাগুলোকে সরকারি কাঠামো এবং কমিউনিটি নেতৃত্বাধীন স্থানীয় ব্যবস্থার সাথে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সংযুক্ত করা বাংলাদেশের এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’

আরও পড়ুন
সোরিয়াসিস শুধু চর্ম রোগ নয়, রোগের সমাহার
শিশু ও তরুণদের জন্য ছুটি রিসোর্ট পূর্বাচলে চতুর্থ আর্ট কার্নিভাল

দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে ছিল তিনটি মূল সেশন। উদ্বোধনী পর্বে রাইট টু গ্রো প্রোগ্রামের যাত্রা, অর্জন ও শিক্ষণ তুলে ধরেন রাইট টু গ্রো কনসোর্টিয়ামের টিম লিড ইকবাল আজাদ। সমাপনী বক্তব্য দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত জোরিস ভ্যান বোমেল। অনুষ্ঠানে দেখানো হয় ‘গতির ওপর প্রভাব: পরিবর্তনের গল্প’ ভিডিও এবং ইমপ্যাক্ট গ্যালারি প্রদর্শনী।

দ্বিতীয় পর্বে আলোচনার বিষয় ছিল ‘স্থানীয় সরকার পর্যায়ে ওয়াশ-নিউট্রিশন বাজেট ও ব্যয় ব্যবস্থার প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ’। আলোচনায় অংশ নেন প্রফেসর ড. সৈয়দ আবদুল হামিদ, ওসমান হারুনি, মো. এমতিয়াজুল হাসান মজুমদার, এএইচএম খালেকুর রহমান, মোহাম্মদ আকমল শরীফ, মোহাম্মদ মোনিরুল আলম, ড. সালাহ উদ্দিন আহমেদ। সেশনটি পরিচালনা করেন সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর শুমন সেনগুপ্ত।

তৃতীয় পর্বের বিষয় ছিল ‘এলজিআই পর্যায়ে ওয়াশ-পুষ্টি বাজেট এবং ব্যয় ব্যবস্থাপনার প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ’। আলোচনায় অংশ নেন ড. মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, মো. নাজমুল হুদা শামীম, প্রশান্ত ত্রিপুরা, চন্দন জেড. গোমেজ, ড. মো. মুহসিন আলী, মোহাম্মদ জোবায়ের হাসান। সেশনটি পরিচালনা করেন হেলথ ইকোনমিক্স ইউনিটের মহাপরিচালক ড. মো. এনামুল হক।

বিকেলে অনুষ্ঠিত হয় সমাপনী অধিবেশন। এতে উপস্থিত ছিলেন পুষ্টি ও ওয়াশ খাতের বিভিন্ন পর্যায়ের উপকারভোগী, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সিভিল সোসাইটির নেতৃবৃন্দ এবং হেলথ প্রোমোশন এজেন্টরা। অনুষ্ঠানে ‘স্বীকৃতি ও প্রশংসা পুরস্কার’ দেওয়া হয়। যেখানে অংশীদার প্রতিষ্ঠান, স্থানীয় নায়ক এবং উদ্ভাবনমূলক কাজের জন্য কমিউনিটি চ্যাম্পিয়নদের সম্মানিত করা হয়।

এসইউ/এএসএম

Read Entire Article