পাকিস্তানকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজ শুরু দক্ষিণ আফ্রিকার

3 days ago 5

দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় সারির দলই যথেষ্ট ছিল পাকিস্তানকে হারাতে। করবিন বোশ ও জর্জ লিন্ডের দুর্দান্ত বোলিং ও রিজা হেন্ড্রিকসের ঝলমলে ব্যাটিংয়ে সফরকারীরা ৫৫ রানের বিশাল জয়ে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি নিজেদের করে নিলো।

রাওয়ালপিন্ডির ব্যাটিংবান্ধব উইকেটে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার ওপেনার রিজা হেন্ড্রিকস ও কুইন্টন ডি কক শুরু থেকেই ঝড় তোলেন। নাসিম শাহ বোলিংয়ে আসতেই হেন্ড্রিকস ছক্কা হাঁকিয়ে রানের চাকা ঘুরিয়ে দেন। ডি ককও তাল মিলিয়ে বাউন্ডারি হাঁকাতে থাকেন। যদিও তিনি সাইম আইয়ুবের বলে আউট হন, তবে টনি ডি জর্জি এসে রানের গতি ধরে রাখেন। মাত্র সাত ওভারের মধ্যেই দক্ষিণ আফ্রিকার রান দাঁড়ায় ৮৯।

মাঝে কিছুটা ধীরগতি এলেও শেষ পাঁচ ওভারে জর্জ লিন্ডে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৯৪ রানে পৌঁছে দেন। শাহিন শাহ আফ্রিদির এক ওভারে তিনি চারটি চার মেরে ২২ বলে ৩৬ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন।

১৯৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পাকিস্তানের ইনিংস শুরু থেকেই ধুঁকতে থাকে। সাহিবজাদা ফারহান ও সাইম আইয়ুব শুরুতে ঝড় তোলার চেষ্টার করেন; কিন্তু ৩১ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ২৪ রানে আউট হয়ে যান ফারহাান।

এরপর দীর্ঘদিন পর টি-টোয়েন্টিতে ফিরে আসা বাবর আজম দ্বিতীয় বলেই করবিন বোশের গতির সামনে বিভ্রান্ত হয়ে ক্যাচ তুলে দেন— ফেরেন শূন্য রানে। এর ফলে পাকিস্তান শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারেনি।

অধিনায়ক সালমান আগা আবারও ব্যর্থ। পাওয়ারপ্লে শেষে তিনি ক্রিজে এলেও ছয় বলে মাত্র ২ রান করার পর বোশের দ্রুতগতির বল তার সামনের উরুতে আঘাত হানে। রিভিউ নিলেও লাভ হয়নি— এলবিডব্লিউ। করবিন বোশ একাই পাকিস্তানের শিবিরে তাণ্ডব চালান, ৪ ওভারে ১৪ রানে ৪ উইকেট নিয়ে নিয়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেন স্বাগতিকদের।

দুই দলের দুই স্পিনার জর্জ লিন্ডে ও মোহাম্মদ নওয়াজ দুজনেই দিনটা নিজেদের নামে লেখেন। লিন্ডে বল হাতে ৩১ রানে নেন ৩ উইকেট। পাশাপাশি ব্যাট হাতে গুরুত্বপূর্ণ ৩৬ রান যোগ করেন।

অন্যদিকে নওয়াজও সমানতালে খেলেন— বল হাতে ২৬ রানে ৩ উইকেট নিয়ে নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার মাঝের ওভারগুলোতে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেন; পরে ব্যাট হাতে ২০ বলে ৩৬ রান করেন চারটি চার ও দুটি ছক্কায়।

তবে তাতে হারের ব্যবধান কমেনি। পাকিস্তান ১৮.১ ওভারে ১৩৯ রানে গুটিয়ে যায়। ফলে দক্ষিণ আফ্রিকা ৫৫ রানের জয়ে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে যায়।

পাকিস্তানের হতাশাজনক পারফরম্যান্স দেখে রাওয়ালপিন্ডির দর্শকরা ম্যাচ শেষ হওয়ার আগেই স্টেডিয়াম ছেড়ে চলে যান। দক্ষিণ আফ্রিকার তরুণদের নিয়ন্ত্রিত ও শৃঙ্খলিত খেলাই প্রমাণ করল— অভিজ্ঞতার চেয়ে আত্মবিশ্বাসই অনেক সময় বড় ভূমিকা রাখে।

আইএইচএস/

Read Entire Article